February 2020
১০০০কোটি টাকা ১২ রবিউল আউয়াল ৫০০ বিশিষ্ট নাগরিকের আহবান ৫৭ ধারায় ৬৩ দিন ৬৪জেলা ৭১টিভি ৯৯৯ bbc ntv অবমাননা অসাংবিধানিক আইজিপি আইন আইনমন্ত্রী আইনি নোটিশ আইপিএল আইমান ফোরম আওয়ামী ওলামা লীগ আদালত আল বাইয়্যনাত ইফা ইসকন ঈদে মিলাদুন্নবী ঈমান বাঁচানো ফাণ্ড ঈশার আযান বন্ধ একাত্তর টিভি এনটিভি এনায়েতআব্বাসী কটুক্তি কটূক্তি কড়িগ্রাম মসজিদ কমিটি করোনা করোনা ভাইরাস কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী কুরবানি নিষিদ্ধ কুরবানির পশু কুরবানী কুরবানীর হাট কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ কোরবানি ক্যাম্পেইন বন্ধে ক্লোজআপ কাছে আসার রিকশা গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গান-বাজনা গ্রহণযোগ্য নয় গ্রিক দেবী গ্রিক দেবীর মূর্তি চাঁদ দেখা চ্যালেঞ্জ ছবি জয় হিন্দ জররি সেবা জাতীয় পরিচয় পত্র জাফর ইকবাল জাফরুল্লাহ জিয়া জুয়া জেলা প্রশাসন ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিএমপি কমিশনার ডিওএইচএস পরিষদ ডিসি ঢাবি শিক্ষক ঢাবি শিক্ষক জিয়া তথ্যমন্ত্রী তদন্তে সিআইডি দাড়ি দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায় দেবী চলচ্চিত্র দৈনিক আল ইহসান দৈনিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বদেশ দ্বীন ইসলাম ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ন ডরাই নগ্নতা উৎসাহিত নবীজীর ম‌ানহানি নানীর বাণী-দ্য আরেফিন নিধার্রিত স্থানে নিষেধাজ্ঞা নুরুল ইসলাম সুজন নৌপরিবহন সচিব পবিত্র কাবা শরীফ পরিচালক পর্দা পশু জবাই পশুর হাট পহেলা বৈশাখ পাঠ করা পুবিত্র মিলাদ শরীফ পুলিশ সুপার পেীর মেয়র প্রকাশক প্রতিবাদ প্রতিবাদলিপি প্রদর্শনী প্রধান শিক্ষক প্রসাদ প্রসাশন প্রিয় নুসরাত প্রেসক্লাব ফিঙ্গার প্রিন্ট ফেরেশতা ফ্রান্স ফ্ল্যাট বগুড়া বালা-মুসিবত বাল্যবিবাহ বিপিএল বিবিসি বিবিসি বাংলা বোরকা-হিজাব বোরখা হাইকোর্টে রিট দায়ের বোরখা-হিজাব ভারত ভাস্কর্য ভোরের কাগজ মঙ্গল যাত্রা মজলিসু রইয়াতিল হিলাল মসজিদ মসজিদ অবমাননা মসজিদ ভাঙ্গা মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মাদরাসায় নৃত্য মাদ্রাসার বই মানহানি মানহানী মামলা মারজিয়া আক্তার শিলা- নরসিংদী মাস্ক ব্যবহার মাহমুদুল মাদানী মিলাদ শরীফ মুযাফফর মূর্তি মূর্তি নিয়ে অপব্যাখ্যা মূর্তি-ভাস্কর্য পক্ষের কথিত সাংবাদিকের যুক্তি খণ্ডন মোমবাতি প্রজ্জলন যুব আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত রমেক হাসপাতাল রাজারবাগ দরবার শরীফ রাজারবাগ শরীফ রাজ্জাক রাবি ভিসি রাসূলের অবমাননায় পূর্বদেশের বিরুদ্ধে মামলা রাস্তায় কুকুর রাস্তায় কুকুরের উপদ্রব রিট রুল রেল মন্ত্রী লকডাউন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৮ লিগ্যাল নোটিশ শবে বরাত শরীয়ত বিরোধী শান মুবারক শাবান মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রা সময় টিভি সম্পাদক সম্মিলিত ইসলামী জোট সরকারী সাইয়্যিদুল আইয়াদ ১২ শরীফ সুন্নতি সামগ্রী সুন্নতি সামগ্রী প্রদর্শনী সুপ্রিম কোর্ট স্কুলছাত্রী স্কুলে মন্ত্রপাঠ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ্জ পালন নিষিদ্ধ করায় প্রতিবাদলিপি হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম হাইকমিশনার হাইকোর্ট হাউজিং কমপ্লেক্স হাজরে আসওয়াদ হাজরে আসওয়াদকে মূর্তির হাদীস শরীফ হারাম হাসানুল হক ইনু হিউম্যান মিল্ক ভ্যাংক হিযাব

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ‘নানীর বাণী-দ্য আরেফিন’ বই দুটি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, ‘নানীর বাণী-দ্য আরেফিন’ বই দুটি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

‘নানীর বাণী ও দ্য আরেফিন’ বই দুইটির প্রকাশনা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সঙ্গে সঙ্গে, একুশে বইমেলা থেকে বই দুইটি সরিয়ে নিতে বাংলা একাডেমির ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিসি-এসপি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে বই দুইটির প্রকাশনা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে আদেশ দেন।
এ দুইটি বই মানুষের ধর্মীয় ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত করেছে উল্লেখ করে ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আজহার উল্লাহ ভূইঁয়া আদালতের নজরে আনেন।
অ্যাডভোকেট আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া জানান, বই দুইটি মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত করেছে। আইনজীবীদের পক্ষে বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছি। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আদেশ দেন। আদেশে বই দুইটির প্রকাশনা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেন। একুশে বইমেলা থেকে বই দুইটি সরিয়ে নিতে বাংলা একাডেমির ডিজিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিসি-এসপি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বই দুইটির লেখক দিয়ার্ষি আরাগ।






নিজস্ব প্রতিবেদক: বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের শুনানি আজ [সোমবার] অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ আজ রিট মামলাটির প্রাথমিক শুনানি শেষে আগামী রবিবার [১ মার্চ] পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।

ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মুহম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিশ্ববার্তা২৪-এর সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমানের দায়েরকৃত রিট মামলাটি শুনানি করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ। শুনানিকালে রিটকারীদের আইনজীবী আদালতকে বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বাংলাদেশে প্রচলিত অন্যান্য আইন ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। মুসলিম পার্সোনাল ল (শরীয়াত) এপ্লিকেশন আইন, ১৯৩৭-এর আওতায় মুসলিম নারী-পুরুষদেরকে ১৫ বছর বা তার ঊর্ধ্বে স্বেচ্ছায় বিয়ে করার যে এখতিয়ার দিয়েছে, সেটাকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-তে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। শরীয়াহ আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত বৈধ বিয়েকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের আওতায় বন্ধ করে দিচ্ছেন—এটাও মুসলিমদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপের শামিল।

রিটকারীদের পক্ষে প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত আগামী রবিবার [১ মার্চ] সরকারপক্ষে বক্তব্য প্রদান করার জন্য এটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।

Image result for কোর্ট“সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রীক র্মূতি স্থাপন দেশের সংবিধান ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক”: ওলামা লীগ

সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রীক দেবী মূর্তি স্থাপনের তীব্র প্রতিবাদ করে শীর্ষস্থানীয় ইসলামী নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রীক মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের কোন ধর্মের সংস্কৃতি নয় এমনকি বাঙ্গালী সংস্কৃতিও নয় বরং এটা গ্রীকদের সংস্কৃতি ইউরোপীয় সংস্কৃতি। সুপ্রিমকোর্টের সামনে গ্রীক মূর্তি স্থাপন এদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এমনকি রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সাথেও সাংঘর্ষিক। এটা সংবিধানের ২ (ক), ১২ এবং ২৩ অনুচ্ছেদের সম্পূর্ণ বিরোধী। ১৯৪৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে যখন কোন মূর্তি ছিল না। তখন কি সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় বিচার হয়নি? বাংলাদেশের কোন সমাজেই গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। সরকারের বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ করে দিতেই এ ষড়যন্ত্র।অবিলম্বে এটা অপসারণ করতে হবে।
এদিকে দেশের আলেম-ওলামা কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদ করায় এর বিরোধীতা করে নাস্তিক্যবাদী চেতনার ধারকবাহক ও ইসলাম বিদ্বেষী বাম ও হিন্দু নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ওলামা ও বাংলাদেশ ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, যারা সকলেই ইসলাম বিদ্বেষী এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ ও কুখ্যাত। সবসময় ইসলামের বিপক্ষে যাদের অবস্থান। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, পাঠ্যপুস্তক থেকে হিন্দুত্ববাদী লেখা বাদ দেওয়া, এবং অপসংস্কৃতির ধারক ভারতসহ সকল বিদেশী চ্যানেল নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে যাদের অবস্থান তারাই মূর্তির পক্ষে বলতে পারে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, মাওলানা, মুফতি আব্দুর রহিম (পীর সাহেব) শেরপুর, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, সাধারণ সম্পাদক- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মিরপুর নূর-এ মদীনা চিশতীয়া দরবারের পীর সাহেব মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি, আজিমপুর ছোট দায়রা শরীফ শাহী মসজিদের খতীব আলহাজ্ব মাওলানা মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশনের সভাপতি লায়ন মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক, পীরজাদা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম (হবিগঞ্জ), মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী টাঙ্গাইল, মাওলানা তাজুল ইসলাম (বড়নগরী) বাক্ষণবাড়ীয়া, সাপ্তাহিক ওলামা কণ্ঠের সম্পাদক আখতার হুসাইন বিন ফারুকী, বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যান সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি হুযূর, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল নারায়নগঞ্জী, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল কাদের শরীয়তপুরী, আলহাজ্জ মাওলানা মাহবুবুর রহমান রংপুরী প্রমুখ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, যারা সুপ্রীম কোর্টে মূর্তি স্থাপনের পক্ষে সাফাই গেয়েছে তাদের অন্যতম হলো সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অজয় রায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষাবলম্বনকারী সুলতানা কামাল, আব্দুল গাফফার চৌধুরী, বদরুদ্দীন উমর, বিচারপতি গোলাম রব্বানী, বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, কামাল লোহানী প্রমুখ।
বিবৃতিতে তারা বলেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বিবৃতিতে বলেছেন, মূর্তি অপসারণের দাবী নাকি আপোসযোগ্য নয় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। এই বক্তব্য দিয়ে পবিত্র কোরআনের নির্দেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এই লোক। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে রীটকারী ১৪জন চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষীর একজন এই অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার এর কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন কাজ হবে না এই নির্বাচনী ওয়াদাকেও অবমাননাকারী। কারণ পবিত্র কোরআন শরীফে মূর্তি অপসারণের কথা বলা হয়েছে। রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং মূর্তি ধ্বংসের কথা বলেছেন। আর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ইসলামের সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। বঙ্গবন্ধু ইনশাআল্লাহ বলেই স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাছাড়া ৭০ সালের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল “কোরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবেনা।।” মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের কোথাও মূর্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আমি আপনাদের আদেশ দিচ্ছি শত্রুর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ চালিয়ে যান বিজয় না হওয়া পর‌্যন্ত। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো ইনশাআল্লাহ’র চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের এই ঘোষণাতে বঙ্গবন্ধু মুর্তির স্বপক্ষে কোন কথা বলেননি বরং আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করেছেন। বঙ্গবন্ধু মূর্তির পক্ষে ছিলেন না বলেই প্রথম রাষ্ট্রপতি হওয়া স্বত্তেও সুপ্রিম কোর্টের সামনে কোন মূর্তি স্থাপন করেন নি। সুতরাং মূর্তি অপসারণের দাবী স্বাধীনতার ঘোষণার বিরোধী নয় বরং পক্ষে। অতএব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মূর্তির স্বপক্ষে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অবান্তর।
বিবৃতিতে তারা বলেন শাহবাগী আন্দোলনের গডফাদার ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, যে মুর্তি অপসারণের দাবীতে হেফাজতের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নাকি সরকার প্রশ্রয় দিয়েছে। অথচ এটা হেফাজতের কথা নয় বরং মূর্তি অপসারণ কোরআন সুন্নাহ কথা এবং এই দেশের সব মুসলমানদের মনের কথা । সুতরাং বাঁচাল ইমরান সরকারের কথা এই দেশের ইসলামী জনতার নিকট হাস্যরসের খোরাক।
তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পক্ষাবলম্বনকারী এবং হিন্দু স্বামীওয়ালা সুলতানা কামাল মূর্তির পক্ষে বলবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ যার কাছে পাবর্ত্য বাঙ্গালীদের কোন মূল্য নাই, দেশের কোন মূল্য না; তার কাছে কাছে ইসলাম ধর্মেরও কোন মূল্যায়ন আশা করা যায় না।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে বলে দাবী করেছে, এবং এর বিরুদ্ধাচারী মুসলমানদেরকে মৌলবাদী বলেছে। এ বিষয়ে ঘাদানিক নেতৃবৃন্দের জানা থাকা দরকার, মূর্তি ন্যায় বিচারের প্রতীক গ্রীকদের ধর্মে হতে পারে বা অন্য কোন ধর্মে হতে পারে কিন্তু মুসলমানদের ধর্মে নয়। এদেশ শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ এবং ধর্ম ইসলাম। মুসলমানদের কিতাব পবিত্র কোরআনের নির্দেশ হচ্ছে মূর্তি ধ্বংস করা। মুসলমানদের শেষ নবী রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে তিনি মূর্তি ধ্বংস করতে প্রেরিত হয়েছেন। সেখানে ৯৫ ভাগ মুসলমানদের উপর অন্য ধর্ম চাপিয়ে দেয়ার চেষ্ঠা করা চরম দৃষ্টতা। ঘাদানিকরা তো নিজ বাড়ীতেই এখনো মূর্তি স্থাপন করেননি। তাহলে সর্বোচ্চ বিচারালয়ে মূর্তি স্থাপনের খাহেশ কাদের স্বার্থে?
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সামনেও ন্যায় বিচারের প্রতীক রুপে গ্রীক দেবীর মূর্তি নাই । তাছাড়া আখেরী রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম, ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের সামনে লিপিবদ্ধ আছে। বাংলাদেশেও তাই করতে হবে কোন গ্রীক মূর্তি নয়। সুতরাং ঘাদানিক এর ন্যায় বিচারের প্রতীকের দাবি অবান্তর এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এছাড়া মূর্তির পক্ষাবলম্বনকারী অন্যতম রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং মাদ্রাসা শিক্ষার ঘোর বিরোধী অজয় রায় নিজে যেহেতু মূর্তি পূজারী সেহেতু তার থেকে মূর্তি বিপক্ষে কিছু আশা করা যায় না।
বিবৃতিতে তারা বলেন, মূর্তি স্থাপনের পক্ষে যেকোন বিবৃতি এদেশের মুসলমানদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ভারতে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ট হওয়ায় যদি গরু কুরবানী করা না যায়, তাহলে ৯৫ ভাগ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের বাংলাদেশে সুপ্রিমকোর্টসহ দেশের কোথাও কোন মূর্তি স্থাপন ও সংরক্ষণ করতে দেয়া যাবেনা। অবিলম্বে সব মূর্তি অপসারণ করতে হবে। 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ চেয়ে রিট

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ চেয়ে রিট

স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে  স্থাপিত গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি অপসারণ চেয়ে  হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।
আজ রোববার জনস্বার্থে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে রিট আবেদনটি করেন বিশ্ববার্তা ২৪ ডটকম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমান।
আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ‘মূর্তি’ অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।
রিটে ধর্ম সচিব, আইন সচিব, গণপূর্ত সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও রেজিস্ট্রার, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদককে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনের যুক্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন সংবিধানের ১২ ও ২৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আর ইসলাম ধর্মে মূর্তি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পাশেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দান রয়েছে। এখানে মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে। এছাড়াও সুপ্রীম কোর্ট নির্মানের মূল পরিকল্পনা ডিজাইনে এমন মূর্তি স্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ্য নাই।
আবেদনে বলা হয়, ‘১৯৪৮ সালে সুপ্রিমকোর্ট স্থাপিত হয়। ন্যায় বিচারের প্রতিক হিসেবে ছিল দাঁড়িপাল্লা। বিগত ৬৮ বছর ধরে কেউ এর বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করেনি। ৬৮ বছর পর হঠাৎ করে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লার জায়গায় গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে কী ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে সেটা জনগণের কাছে বোধগম্য নয়।’
আবেদনে আরোও বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের পার্শ্বে জাতীয় ঈদগাহ্ ময়দান। সালাতে সালাম ফেরানোর সময় চোখে পড়ে গ্রিক দেবীর মূর্তি। মুসলমানগণ একত্ববাদে বিশ্বাস করেন। মূর্তি একত্ববাদের সাথে সাংঘর্ষিক। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক মুসলমান। এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না তারা।’ তাই এই মূর্তি অপসারণ চাওয়া হয়েছে।
.
বিশ্ববার্তা/০৯ এপ্রিল ২০১৭/এবিএইচকে/এমএআর

নিধার্রিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার বাধ্যবাধকতা বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

নিধার্রিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার বাধ্যবাধকতা বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

নিধার্রিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার বাধ্যবাধকতা বাতিল চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
সরকারের পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ সচিবসহ মোট ছয়জনের প্রতি মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম সোমবার এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম এই তথ্য নিজেই জানিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, এ নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে বর্জ্য অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এতে বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণের নামে এহেন কর্মকাণ্ড মূলত আমার মক্কেলের এবং অপরাপর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান প্রতিপালনের সাংবাধানিক অধিকার তথা সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস মাত্র।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমার মক্কেল ধর্মপরায়ন মুসলিম। তারা ওয়াজিব হিসেবে কোরবানি যথাযথ ধর্মীয় মর্যদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপন করে আসছেন। তার এই ধর্মীয় আচার পালনে কখনো কোনো বাধার সম্মুখীন হন নাই। অতি সম্প্রতি আপনাদের কিছু পদক্ষেপ নোটিশ আকারে বিভিন্ন মাধ্যমে জনসম্মুখে আসে, যা আমার মক্কেলের দৃষ্টি গোচর হইয়াছে। যাহার ভাবার্থ হইল “কোরবানী প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে
সম্পন্ন করা”, যাহার মোটেই বাস্তব সম্মত নয়। উদাহরন স্বরুপ:
একটি পশু কোরবানীর সাথে কোরবানী দাতা ছাড়াও বহু সংখ্যক লোক সংযুক্ত থাকে। এত বিশাল সংখ্যক লোক ক্ষুদ্র পরিসরে নির্ধারিত কোরবানীর স্থানে কোরবানী সম্পন্ন করতে গেলে একটি পশু জবাই করিবার স্থানে দিনে (ঈদের জামায়াতের পর হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত) ১০ টির বেশী পশু কোরবানী করত: প্রসেসিং করা সম্ভব নহে। ফলে বিপুল সংখ্যক লোক কোরবানী যথাযথ সময়ে সম্পন্ন করিতে পারিবেন না। অধিকন্তু পশু কোরবানীর জন্য
কোরবানী দাতাদের ক্রমবিন্যাশ অনুযায়ী নামের তালিকা না থাকায় বিশৃঙ্খলা ও হানাহানির সমূহ সম্ভাবনা থাকিবে। এইরুপ বাস্তবতা বিবর্জিত পদক্ষেপ মূলত পরিবেশ সংরক্ষনের নামে কোরবানীকে নিরুৎসাহিত করিবার প্রচেষ্টা মাত্র।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কোন সরকারী লোকবল দ্বারা কোরবানী পরবর্তী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এককভাবে সুনিশ্চিত করা অসম্ভব। এই কার্যে নিয়োাজিত সরকারী লোকবল এতই অপ্রতুল যে নির্ধারিত স্থান সমূহ প্রথম ও দ্বিতীয় কোরবানীর পর উক্ত স্থানে ব্যবহারের অনুপযোগী হইবার সমূহ সম্ভাবনা রহিয়াছে। সেক্ষেত্রে কোরবনাী বঞ্চিত লোকের সংখ্যা বহুগুন বৃদ্ধি পাইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, কোরবানী পরবর্তী সময়ে জনসাধারন স্বতস্ফুর্তভাবে বর্জ অপসারন সহ পরিবেশ সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিজ উদ্যোগেই করিয়া থাকেন। বর্জ্য অপসারনের দ্রুত ব্যবস্থা না করিয়া এহেন পদক্ষেপ গ্রহন কোরবানীকে নিরুৎসাহিত করিবার কৌশল মাত্র।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বক্তব্য দেয়ায় আইজিপিকে আইনী নোটিশ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বক্তব্য দেয়ায় আইজিপিকে আইনী নোটিশ

ঢাকা: ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন জাতীয় শিক্ষা মিশন বাংলাদেশের সভাপতি লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক। পুলিশের মহা-পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ডিএমপি এবং উপ পুলিশ-কমিশনার গুলশান বিভাগ, ডিএমপি ঢাকাকে এ নোটিশ পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব বরারবর এর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নোটিশদাতার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আব্দুল হালিমের পাঠানো আইনী নোটিশে বলা হয়, বিগত ০১/০৪/২০১৭ ইং তারিখে এক সংবাদ সম্মেলনে আপনি ১নং নোটিশ গ্রহীতা বলেন যে, ‘যে ঘরে টিভি নাই তারা জঙ্গিবাদের সহিত সম্পৃক্ত’। যাহা পরদিন ০২/০৪/২০১৭ ইং “দৈনিক আমাদের অর্থনীতি” তে “ভাড়াটিয়ার টিভি না থাকলে পুলিশকে জানান” শিরোনামে এবং অন লাইন মিডিয়াতে প্রচার হয়। অপরদিকে গুলশান বিভাগ, ডি. এম. পি. ঢাকা হইতে একটি লিফলেট ছড়ানো হয় যাহার শিরোনাম ‘জঙ্গি ভাড়াটিয়া চিহ্নিত করার উপায়’ শীর্ষক লিফলেটটি আমার মোয়াক্কেলের দৃষ্টি গোচর হয়েছে ।
নোটিশে আরো বলা হয়, আমার সম্মানিত মোয়াক্কেল একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং তিনি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ^াসী। পাশাপাশি যারা ধর্মকে পুঁজি করে ব্যবসা করে তাহাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু আপনাদের উক্ত মন্তব্য এবং লিফলেটের বক্তব্য আমার সম্মানিত মোয়াক্কেলকে মর্মাহত করেছে। আপনারা নোটিশ গ্রহীতাগণ প্রত্যেকেই ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকে ধর্মপ্রান মুসলমান বটে। আপনারা ভালভাবে অবগত রয়েছে যে ইসলামের প্রত্যেকটি অনুসঙ্গ, নিয়ম-কানুন যাহা কুরআন শরীফ, হাদিস শরীফ, ইজমা এবং ক্বিয়াসে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে তাহা প্রত্যেক মুসলানদের জন্য পালন করা আবশ্যকীয়। ক্ষেত্র বিশেষ ফরজ, ওয়াজিব এবং সুন্নত বটে।
আরো বলা হয়, আপনারা নোটিশ গ্রহীতাগন ভালভাবে অবগত আছেন যে, পর্দা পালন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরজ। কিন্তু আপনাদের দ্বারা প্রচারিত উক্ত লিফলেট এর বক্তব্য যেমন ‘বাসার মধ্যে মহিলা/নারী থাকলে তারা বাইরে আসে কম” বক্তব্য দ্বারা পর্দা পালনকারীদেরকে জঙ্গি চিনার উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ পবিত্র কুরআন শরীফে সূরা আহযাব, সূরা নিসা, সূরা নূর, সূরা মোমতাহিনাহ’ চারটি সূরায় স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক পর্দা পালন করা ফরয ঘোষণা করেছেন। সেহেতু ধর্মপ্রাণ মুসলমান মহিলাগণ স্বাভাবিকভাবেই পর্দা পালন করেন এবং প্রয়োজন ব্যতীত বাহিরে বের হন না। কিন্তু আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা বাহিরে কম আসেন বলে ধর্মপ্রাণ সকল মহিলাই জঙ্গি হিসেবে সাব্যস্থ হয়। যা সুস্পষ্ট ধর্মীয় অবমাননা। পাশাপাশি ধর্মীয় অধিকার পালনের সাংবিধানিক অধিকারের সুষ্পষ্ট লংঘন।
নোটিশে বলা হয়, আপনারা নোটিশ গ্রহীতাগন আরও অবগত রয়েছেন যে, প্রানীর ছবি, আঁকা, রাখা ইত্যাদিকে পবিত্র হাদিছ শরীফে কঠোরভাবে নিষেধ করা হইয়াছে এবং আপনারা আরও জানেন যে, টিভি মুলত ছবির একটি চলমানরূপ। অর্থাৎ অসংখ্য ছবির দ্বারা টিভির প্রত্যেকটি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সুতরাং ধর্মপ্রাণ মুসলমান মাত্র পবিত্র হাদিছ শরীফ দ্বারা নিষেধকৃত ছবি আঁকা, রাখা, তোলা এবং দেখা হতে বিরত থাকিবে। কিন্তু আপনাদের বক্তব্য দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, যে ঘরে বা যাহারা টিভি রাখবে না বা দেখবে না তাহারা জঙ্গিবাদের সহিত সম্পৃক্ত। যাহা স্পষ্ট হাদিছ শরীফ এর সরাসরি বিরোধীতা করার সামিল। যাহা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতহানার সামিল।
উক্তরূপ বক্তব্য যাহা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতহানে তাহা অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করিয়া আমার মোয়াক্কেলকে অবহিত করবেন। অন্যথায় মেয়াদান্তে আপনাদের উক্তরূপ বক্তব্য ও কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যার দায়ভার সম্পূর্নরূপে আপনাদের উপর বর্তাবে।

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশ : হাইকোর্ট

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশ : হাইকোর্ট

ঢাকা : ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ আগামী শনিবার পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে যেকোন ধরনের শোভাযাত্রা, মাহফিল পালনে পুলিশকে বাধা না দেয়ার নির্দেশ  দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এ বিষয়টি পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতেও বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মাদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
রাজারবাগ দরবার শরীফ-এর পক্ষে সাংবাদিক মুহম্মদ আরিফুর রহমান আদালতে নির্দেশনা চাইলে  বিচারপতি সৈয়দ গোলাম দস্তগীর গাজী ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের আদালত আজ এ নির্দেশ দেন। নির্দেশনাটি ডিএমপিকে বলে দেয়ার জন্য এটর্নী জেনারেলকে বলে দেন আদালত ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক ও আইনজীবী তৈয়মুর আলম খন্দকার। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে বুধবার (২৯ নভেম্বর-২০১৭) ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শোভাযাত্রা কিংবা জশনে জুলুসের অনুমতি পুলিশ দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে ডিএমপি’র রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আউটডোরে সভা-সমাবেশ করার কোনও অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। পোপ চলে যাওয়ার পর কেউ সভা-সমাবেশ করতে চাইলে করতে পারবেন।’
আইনজীবীদের শুনানি শেষ হলে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে এ বিষয়ে শুনানিতে অংশ নিতে আহ্বান জানান।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে উপস্থিত হলে আদালত তাকে বিষয়টি অবহিত করে বলেন, ‘আগামী ২ ডিসেম্বর পোপ দেশেই (ঢাকায়) থাকবেই। কিন্তু তারা ওই সময়ে শোভাযাত্রা করতে চায়।’
এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন,‘এটি ধর্মীয় বিষয়। তারা শোভাযাত্রা করতেই পারে। কিন্তু যেখানে পোপের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, সেই জায়গাগুলো এড়িয়ে তারা শোভাযাত্রা করুক।’
এরপর আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তাহলে তারা যেন শোভাযাত্রা করতে পারে, সেই বিষয়টি ডিএমপিকে জানিয়ে দেবেন। আমরা এ বিষয়ে কোনও আদেশ দিতে চাই না।’
উত্তরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমি অবশ্যই বিষয়টি তাদের (ডিএমপি) জানিয়ে দেবো।’
পরে আইনজীবী তৈয়মুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পোপের আগমন উপলক্ষে ঢাকায় যেকোনও ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা এ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনেছি। আমি আদালতকে বলেছি, প্রয়োজনে পুলিশ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে শোভাযাত্রার জন্য ভিন্ন রোডম্যাপ করে দিতে পারতো। কিন্তু পোপের আগমন উপলক্ষে ঢাকায় ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  শোভাযাত্রা হবে না, এটা তো হতে পারে না। কেননা, সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শোভাযাত্রা করার অধিকার আমাদের রয়েছে। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন।’
অ্যাডভোকেট তৈয়মুর আলম খন্দকার জানান, এরপর আদালত বলেছেন, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে শোভাযাত্রা করা যাবে। তবে পোপ ফ্রান্সিস যে নির্দিষ্ট এলাকায় সেদিন সমাবেশ করবেন, সেই এলাকা এড়িয়ে আমাদের শোভাযাত্রা করতে বলা হয়েছে।
.
বিশ্ববার্তা/বৃহস্পতিবার-৩০ নভেম্বর ২০১৭/এএরএইচ/এবিএইচকে

মাদরাসার বইয়ের হাদিস শরীফকে অশ্লীল বলায় ভোরের কাগজকে নোটিশ

মাদরাসার বইয়ের হাদিস শরীফকে অশ্লীল বলায় ভোরের কাগজকে নোটিশ

দৈনিক ভোরের কাগজে গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত “মাদরাসার বইয়ে অশ্লীলতা” শীর্ষক সংবাদের প্রেক্ষিতে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও প্রতিবেদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য্যকে ৭ দিনের সময় দিয়ে দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার সম্পাদক আল্লামা মাহবুবুল আলম আরিফের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের এ্যাড. মোঃ আব্দুল হালিম গতকাল এক উকিল নোটিশ দিয়েছেন।
উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠার “মাদ্রাসার বইয়ে অশ্লীলতা” শিরোনামে এক প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনের শুরুতে একটি হাদিস শরীফ উল্লেখ করা হয় এবং উক্ত হাদিস শরীফকে অশ্লীল অযৌক্তিক, দ্বীন ইসলাম অবমাননাকর, ব্যঙ্গাত্মক, রসাত্মক মনগড়া বলে উল্লেখ করা হয়। যাহা সুস্পষ্ঠভাবে পবিত্র হাদিস শরীফকে হেয় করা অর্থাৎ মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের দ্বীনি অনুভুতিতে আঘাত হানার নামান্তর।
উক্ত প্রতিবেদনের শিরোনামের মাধ্যমে মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমের সকল বইকেই অশ্লীল হিসেবে কুট কৌশলে বুঝানো হইয়াছে। যার দ্বারা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাধারন মানুষের কাছে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। যাহা সুষ্পষ্ঠ ভাবে দ্বীনি অনুভুতিতে আঘাত হানার এবং মাদ্রাসা শিক্ষাকে বন্ধ করার অপপ্রয়াস। ইহা সুস্পষ্ঠ যে, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে দ্বীন ইসলাম উনাকে কটাক্ষ ও অবমাননা করার লক্ষ্যেই উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যাহা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।
যেহেতু উক্ত প্রতিবেদনের প্রতিবেদক এবং সম্পাদক আপনারা উভয়ই হিন্দু ধর্মাবলম্বী, সেহেতু পবিত্র হাদিস শরীফকে হেয় করে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করার দ্বারা দ্বীন ইসলামের প্রতি বিদ্ধেষপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেদনের মাধ্যমে মুসলমানগণ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরমধ্যে শ্রেণীবিদ্বেষসৃষ্টির চেষ্টা করা হইয়াছে। যাহা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।
উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, এ নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে উক্ত প্রতিবেদনের জন্য ভুল স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে আর এমন ভুল হবেনা এই মর্মে পুনরায় প্রতিবেদন প্রকাশ করে আমার মোয়াক্কেলকে অবহিত করতে হবে। অন্যথায় মেয়াদান্তে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে সকল দায়ভার আপনাদের উপর বর্তাবে।
Download WordPress Themes Freeonline free course

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের পক্ষ থেকে ভারতের হাইকমিশনারকে আইনি নোটিশ

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের পক্ষ থেকে ভারতের হাইকমিশনারকে আইনি নোটিশ

ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাকে বাংলা ভাষা অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের পক্ষ থেকে আজ এক আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেকেই হিন্দি সিরিয়াল ও সিনেমা দেখেন বলে এদেশে ভাষাটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’।
এ কথার মাধ্যমে ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১ এর আর্টিক্যাল ৪১ লঙ্ঘন হওয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল জলিলের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আব্দুল হালিম আজ বৃহস্পতিবার রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে আইনি নোটিশ পাঠান।
নোটিশে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তার এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রত্যাহার করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা’কে অসম্মান ও ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১ এর আর্টিক্যাল ৪১ লঙ্ঘঘনের দায়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের রেজিস্ট্রি রশিদ নং-১২৩ তারিখ : ২৫-০১-২০১৮ যোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

গান-বাজনা বন্ধে আইনি নোটিশ

গান-বাজনা বন্ধে আইনি নোটিশ

আবাসিক এলাকায় উচ্চস্বরে গান-বাজনা বন্ধে সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, আইজিপি, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পুলিশ কমিশনারকে এক আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুক্তাদুল ইসলাম সিলেট, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী চট্টগ্রাম ও মুহম্মদ আরিফুর রহমান ঢাকা এর পক্ষে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আহসান রেজিষ্ট্রিডাকে নোটিশটি পাঠায়।
নোটিশে বলা হয়, অতিসম্প্রতি আর.কে. মিশন রোডের গায়ে গলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গান-বাজনা বন্ধ করতে অনুরোধ করায় সাবেক এক সরকারী কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরকম জন দূর্ভোগের অসংখ্য ঘটনা বিভিন্ন শহরে ঘটে চলেছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ লংঘন করে জনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় উচ্চস্বরে গান-বাজনা হচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অডিন্যান্স ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অডিন্যান্স ১৯৭৮, সিলেট মহানগর পুলিশ আইন ২০০৯ লংঘন করে বাড়ির ছাদে বিভিন্ন (গায়ে হলুদ, বিবাহ, বৌভাত, জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গান-বাজনার কনসার্ট অহরহ হয়ে চলেছে।
অনুমতি ব্যতিত এসকল অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গান-বাজনা, কনসার্ট, ডিজে পার্টি করতে পারবেনা মর্মে অত্র নোটিশটি প্রসাশনের সংশ্লিষ্টদেরকে পাঠানো হয়।
নোটিশে আরো বলা হয়, অত্র নোটিশ প্রাপ্তির চার কর্মদিবসের মধ্যে এসকল অনুষ্ঠানে ও আবাসিক এলাকায় উচ্চস্বরে গান-বাজনা, কনসার্ট, ডিজে পার্টি ইত্যাদি বন্ধে সার্কুলার জারিসহ প্রয়োজনীয় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে মেয়াদান্তে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট মামলা দায়ের করা হবে।

নগ্নতা উৎসাহিত করায় তথ্যমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

নগ্নতা উৎসাহিত করায় তথ্যমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

‘বিবস্ত্র নারীর চিএরুপ সমাজের লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার প্রেরণা হতে পারে’- এমন বক্তব্যের মাধ্যমে নগ্নতাকে উৎসাহিত করে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন করায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিস্টার আব্দুল হালিমের মাধ্যমে লিগ্যাগ নোটিশটি পাঠিয়েছেন আওয়ামী ওলামালীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল জলিল।
নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে এবং আইনের দ্বারা আরোপিত বাধানিষেধ সাপেক্ষে বাকস্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে। নগ্নতাকে উৎসাহিত করে তথ্যমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের মাধ্যমে সাংবিধানিক বিধিনিষেধ ও দেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।
সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম দ্বীন ইসলাম। সম্মানিত দ্বীন ইসলামে সব ধরনের নগ্নতা, মূর্তি, চিত্র তৈরী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
নোটিশে আরো বলা হয়, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ২ ধারায় যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ভাষ্কর্য, কল্পমূর্তি ও মূর্তিকে ‘পর্নোগ্রাফি’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ দন্ডবিধির ২৯৪ ধারায় প্রকাশ্যে অশালীন বক্তব্য দিলে তিন মাস কারাদন্ড ও অর্থদন্ড বিধান রয়েছে। অথচ তথ্যমন্ত্রী নগ্ন নারীমূর্তিকে উৎসাহিত করে প্রকাশ্যে অশালীন বক্তব্য প্রদান করেছেন।
রেজিষ্ট্রী ডাকে পাঠানো নোটিশে তথ্যমন্ত্রীকে চার কর্মদিবসের মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার পূর্বক ক্ষমা চাইতে আহবান জানানো হয়েছে। অন্যথায় নোটিশদাতা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget