
নিধার্রিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার বাধ্যবাধকতা বাতিল চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
নিধার্রিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার বাধ্যবাধকতা বাতিল চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
সরকারের পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ সচিবসহ মোট ছয়জনের প্রতি মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম সোমবার এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম এই তথ্য নিজেই জানিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, এ নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে বর্জ্য অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এতে বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণের নামে এহেন কর্মকাণ্ড মূলত আমার মক্কেলের এবং অপরাপর ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান প্রতিপালনের সাংবাধানিক অধিকার তথা সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস মাত্র।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, আমার মক্কেল ধর্মপরায়ন মুসলিম। তারা ওয়াজিব হিসেবে কোরবানি যথাযথ ধর্মীয় মর্যদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপন করে আসছেন। তার এই ধর্মীয় আচার পালনে কখনো কোনো বাধার সম্মুখীন হন নাই। অতি সম্প্রতি আপনাদের কিছু পদক্ষেপ নোটিশ আকারে বিভিন্ন মাধ্যমে জনসম্মুখে আসে, যা আমার মক্কেলের দৃষ্টি গোচর হইয়াছে। যাহার ভাবার্থ হইল “কোরবানী প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে
সম্পন্ন করা”, যাহার মোটেই বাস্তব সম্মত নয়। উদাহরন স্বরুপ:
একটি পশু কোরবানীর সাথে কোরবানী দাতা ছাড়াও বহু সংখ্যক লোক সংযুক্ত থাকে। এত বিশাল সংখ্যক লোক ক্ষুদ্র পরিসরে নির্ধারিত কোরবানীর স্থানে কোরবানী সম্পন্ন করতে গেলে একটি পশু জবাই করিবার স্থানে দিনে (ঈদের জামায়াতের পর হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত) ১০ টির বেশী পশু কোরবানী করত: প্রসেসিং করা সম্ভব নহে। ফলে বিপুল সংখ্যক লোক কোরবানী যথাযথ সময়ে সম্পন্ন করিতে পারিবেন না। অধিকন্তু পশু কোরবানীর জন্য
কোরবানী দাতাদের ক্রমবিন্যাশ অনুযায়ী নামের তালিকা না থাকায় বিশৃঙ্খলা ও হানাহানির সমূহ সম্ভাবনা থাকিবে। এইরুপ বাস্তবতা বিবর্জিত পদক্ষেপ মূলত পরিবেশ সংরক্ষনের নামে কোরবানীকে নিরুৎসাহিত করিবার প্রচেষ্টা মাত্র।
সম্পন্ন করা”, যাহার মোটেই বাস্তব সম্মত নয়। উদাহরন স্বরুপ:
একটি পশু কোরবানীর সাথে কোরবানী দাতা ছাড়াও বহু সংখ্যক লোক সংযুক্ত থাকে। এত বিশাল সংখ্যক লোক ক্ষুদ্র পরিসরে নির্ধারিত কোরবানীর স্থানে কোরবানী সম্পন্ন করতে গেলে একটি পশু জবাই করিবার স্থানে দিনে (ঈদের জামায়াতের পর হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত) ১০ টির বেশী পশু কোরবানী করত: প্রসেসিং করা সম্ভব নহে। ফলে বিপুল সংখ্যক লোক কোরবানী যথাযথ সময়ে সম্পন্ন করিতে পারিবেন না। অধিকন্তু পশু কোরবানীর জন্য
কোরবানী দাতাদের ক্রমবিন্যাশ অনুযায়ী নামের তালিকা না থাকায় বিশৃঙ্খলা ও হানাহানির সমূহ সম্ভাবনা থাকিবে। এইরুপ বাস্তবতা বিবর্জিত পদক্ষেপ মূলত পরিবেশ সংরক্ষনের নামে কোরবানীকে নিরুৎসাহিত করিবার প্রচেষ্টা মাত্র।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কোন সরকারী লোকবল দ্বারা কোরবানী পরবর্তী পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এককভাবে সুনিশ্চিত করা অসম্ভব। এই কার্যে নিয়োাজিত সরকারী লোকবল এতই অপ্রতুল যে নির্ধারিত স্থান সমূহ প্রথম ও দ্বিতীয় কোরবানীর পর উক্ত স্থানে ব্যবহারের অনুপযোগী হইবার সমূহ সম্ভাবনা রহিয়াছে। সেক্ষেত্রে কোরবনাী বঞ্চিত লোকের সংখ্যা বহুগুন বৃদ্ধি পাইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, কোরবানী পরবর্তী সময়ে জনসাধারন স্বতস্ফুর্তভাবে বর্জ অপসারন সহ পরিবেশ সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিজ উদ্যোগেই করিয়া থাকেন। বর্জ্য অপসারনের দ্রুত ব্যবস্থা না করিয়া এহেন পদক্ষেপ গ্রহন কোরবানীকে নিরুৎসাহিত করিবার কৌশল মাত্র।
Post a Comment