লকডাউন কার্যকরের পক্ষে বক্তব্য দেয়ায় ঢামেক অধ্যাপককে আইনী নোটিশ
‘লকডাউন’ কঠিনভাবে কার্যকরের কোনো বিকল্প নেই’- এমন বিতর্কিত ও জনবিরোধী বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে সতর্ক ও সাবধান করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম সামসুজ্জামানকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গতকাল ইয়াওমুল খামীস (বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই) দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাদ্বয়ের সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষ থেকে এই আইনী নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে লকডাউন নিয়ে তার বক্তব্যের প্রতিবাদে বলা হয়, তার লিখিত ও প্রচারিত অভিমতের উক্ত শিরোনাম বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বাস্তবতাবর্জিত, অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর। লকডাউন করোনার মৃত্যুহার থামাতে পারে- এমন মন্তব্যের কোনো প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
নোটিশে রেফারেন্স হিসেবে ল্যানসেটসহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়, তারা প্রমাণ করেছেন লকডাউন করোনা প্রতিরোধে একটি ভুল পদক্ষেপ।
এতদ্বপ্রেক্ষিতে নোটিশে বলা হয়, লকডাউনের পক্ষ নিয়ে যে সকল মন্তব্য করা হচ্ছে সেগুলোর কারণে জনমনে অহেতুক আতংক সৃষ্টি হতে পারে এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে বিভ্রান্তির শিকার হতে পারেন। এই ধরনের ভুল, অতিরঞ্জিত ও অসমর্থিত তথ্য/মতামত গণমাধ্যমে প্রকাশ করা দায়িত্বহীনতার পরিচয় । এ অবস্থায় গুজব কিংবা অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ না করার জন্য সরকারের তরফ থেকে বারবার আহবান জানানো হয়েছে। যা দেশের পরিস্থিতিকে অহেতুক ঘোলাটে করে ফেলতে পারে। যাহা বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে দ-নীয় অপরাধ।
নোটিশে আরও বলা হয়, বর্তমানে লকডাউনের কারণে দরিদ্র লোকজন এমনকি মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার চরম দুর্ভোগের সাথে দিনাতিপাত করছে। দেশের বর্তমান অবস্থায় এ জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অসৎ উদ্দেশ্যে এই ধরনের বাস্তবতাবর্জিত, অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার ৩ (তিন দিনের) মধ্যে এ ধরণের মন্তব্যসমূহ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

Post a Comment