পর্দানশীন মহিলাদের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র করণের জন্য ছবির পরিবর্তে ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবস্থা করতে হবে।

Published from Blogger Prime Android App
এনআইডিতে ছবির বদলে বায়োমেট্রিক

নিয়মের দাবি পর্দানশিন নারীদের
 অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) পর্দার বিধান রক্ষার দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। এ জন্য এনআইডিতে ছবির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের কথা বলেছেন তারা। সেইসঙ্গে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে সরকারি অফিসে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখার দাবি তাদের।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমীন ইয়াসমিন এসব দাবি তুলে ধরেন। 
তিনি বলেন, ‘দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়। পর্দা রক্ষার্থে এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না, যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’ 
‘এই পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ, সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
‘পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি’,- সংবাদ সম্মলনে বলেন শারমীন ইয়াসমিন। 
https://www.bd-pratidin.com/national/2022/03/21/751861


মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়ম দাবি

পর্দাশীল নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দাশীল নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দাশীল হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দাশীল নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ ও মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.dailyamarsangbad.com/capital/news-216699


মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়ম দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ মার্চ ২০২২, ০২:০৪ পিএম
পর্দানশিন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.dhakapost.com/national/105369


মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে
বায়োমেট্রিক নিয়মের দাবি
মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে বায়োমেট্রিক নিয়মের দাবি
জাতীয় পরিচয়পত্রে পর্দার বিধান রক্ষা করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়।
চেহারা খুলে ছবি না তোলার কারণে এসব নারীরা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অনেক সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না।
শারমিন ইয়াসমিন দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
https://www.rtvonline.com/country/dhaka/170717/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF


মুখ দেখাতে আপত্তি, পরিচয়পত্রে বায়োমেট্রিক নিয়ম দাবি
 জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
 প্রকাশিত: ২০:০৫, ২১ মার্চ ২০২২  
পর্দানশিন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন; যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ ও মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.risingbd.com/national/news/450960


পর্দানশিন নারীদের ছবি না তুলে বায়োমেট্রিক নিয়মের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ২১ মার্চ ২০২২
মুখ না দেখিয়ে পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমান। একই সঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা শনাক্তকরণের জন্য নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যবস্থা রাখার দাবি জানান তারা।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সম্মেলনে মোহাম্মদিয়া জামেয়া শরিফ গবেষণাগারের মুফতি আব্দুল হালিম কোরআনে বর্ণিত সুরা আজহাবের শেষ আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, নারীদের চোখসহ পুরো অঙ্গ ডেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ নিজেই। নারীদের সৌন্দর্য তাদের মুখ বা চোখের মাধ্যমেই বোঝা যায়। এখান থেকেই যতো ফেতনা শুরু হয়।
রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়রে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় শনাক্তের জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়রে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি।
তিনি বলেন, পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়রে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়েছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় পর্দানশিন নারীদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় অনেক নারী রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শারমিন দাবি জানিয়ে বলেন, শনাক্তকরণে ছবির পরিবর্তে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় রাজারবাগ দরবার শরিফের নারী আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফেরদৌসিসহ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজারবাগ দরবার শরিফের পুরুষ সদস্যরাও অংশ নেন।
https://www.jagonews24.com/women-and-children/news/748153


পর্দা করা নারীদের পরিচয়পত্রে শুধু বায়োমেট্রিকের 
দাবি মহিলা আনজুমানের
২১ মার্চ ২০২২, ১৯:১৮
পর্দা করা নারীদের পরিচয়পত্রে শুধু বায়োমেট্রিকের দাবি মহিলা আনজুমানের
পর্দা করা নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদির ক্ষেত্রে শুধু বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এসময় তারা সরকারি অফিসে পর্দা করা নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখার দাবিও জানিয়েছেন।
মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনও গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র করতে চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় ও গায়েরে মাহরাম তার চেহারা দেখে। পর্দা করা নারীরা এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনও সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, ‘এতে বিধবা, তালাক হওয়া নারী বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। সন্তান-সন্ততি নিয়ে তাদের জীবন ধারণও জটিল হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। তাই, পর্দা করা নারীদের সনাক্তকরণে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.banglatribune.com/others/734542/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0





পরিচয়পত্রে ছবি চান না পর্দা করা নারীরা
মেরিনা মিতুমেরিনা মিতু, ঢাকা ২১ মার্চ, ২০২২ ১৬:৪৮ আপডেট: ২১ মার্চ, ২০২২ ২০:৫৪google_news
বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায় উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তানসন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
যে নারী পর্দা করেন, তাকে শনাক্তে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য নথিতে ছবির বদলে আঙুলের ছাপ ব্যবহারের দাবি তুলেছে রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমান। সরকারি অফিসে পর্দানশীন নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা শনাক্তকরণে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যবস্থা রাখারও দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রাজারবাগ শরিফের মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় শনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি।
‘পর্দানশীন হওয়ায় এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না এবং কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’
বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায় উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তানসন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, ‘শনাক্তকরণে ছবির ব্যর্থতায় আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল।
‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কখনও দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এই পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দানশীন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।’
https://www.newsbangla24.com/news/184281/Demand-to-take-fingerprints-not-pictures-on-the-identity-card-of-the-veiled-woman


চেহারা দেখিয়ে ছবি নয়, পরিচয়পত্রে 
বায়োমেট্রিকের ব্যবহার চান পর্দাশীল নারীরা!
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৫ বিকাল মার্চ ২১, ২০২২
পর্দা রক্ষা করে চলেন এমন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার নিয়ম মেনে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান। একই সঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দাশীল নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তুলে ধরেন মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন নথির সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।”
“পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। ফলে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবনধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।”
সংগঠনটির দাবি, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতির নাম বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় এতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। এ পদ্ধতিতে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/03/21/1647868432211

রাজারবাগ দরবার শরীফের 
মহিলা আনজুমানের সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ: সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৫ পিএম আপডেট: ২১.০৩.২০২২ ৭:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ  
'ছবি ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র করতে না দেয়া বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে অসাংবিধানিক'- এমন দাবি করে পর্দার বিধান মেনে পর্দানশীন নারীদের পরিচয় সনাক্তের ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব প্রদান করেছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান। জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে সোমবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তারা। সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা জানান, পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সঙ্গে সকল রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিত করা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচক হিসেবে ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শারমিন ইয়াসমিন। তিনি জানান, ছবি থেকে পরিচয় সনাক্তকরণের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলেই বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এ কারণেই ছবির বদলে সর্বক্ষেত্রে পরিচয় সনাক্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি জানায় সংগঠনটি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয় এটি তার ছবি। পর্দানশীন হওয়ায় এসব মহিলারা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য।  কারণ সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন রহিমা আহমদ নামক একজন বিধবা, ত্বহিরা জাহান নামক একজন প্রবাসীর স্ত্রী, শিল্পী আহমদ নামক একজন স্বামী পরিত্যক্তা এবং মার্জিয়া আহমদ নামক একজন অসুস্থ ব্যক্তির স্ত্রীর। তারা প্রত্যেকেই পর্দানশীন মহিলা হওয়ায় চেহারা খুলে ছবি তুলে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেনি, যাদের নিকটস্থ মাহরাম পুরুষ না থাকায় তাদের প্রত্যেকের জীবনে তৈরি হয়েছে মানবিক সংকট।
সংবাদ সম্মেলনের আলোচক আরো বলেন, কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় এরকম আরো অনেক পর্দানশীন নারী অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন: সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, চাকরির আবেদন করা, অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, বাসা ভাড়া নেয়া, সম্পত্তির উত্তরাধিকার হওয়া, জমি রেজিস্ট্রি করা, সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ব্যাংক লেনদেন করা, জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ওএমএস কার্ড করা, স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, জরুরি কাজে বাহিরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ট্রেড লাইসেন্স করা, বিদ্যুৎ বিল দেয়া, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা, মোবাইল ব্যাংকিং করা, দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা এবং নমিনি হওয়া।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১ (১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, 'প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে'। সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।  কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরিতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে গিয়ে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই যমজ ভাই বা দুই যমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্রিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে। যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে এবং নিরপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে। যেমন: ২০১৯ সালে আলোচিত জাহালম নামক এক ব্যক্তির কথা আপনাদের মনে থাকার কথা। ব্যাংক জালিয়াত সালেকের সঙ্গে চেহারায় মিল থাকায় যিনি ৩ বছর বিনা অপরাধে জেল খেটেছিলেন।
সনাক্তকরণে ছবির ব্যর্থতায় আধুনিক যুগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত হয়ে উঠেছে দাবি করে শারমিন ইয়াসমিন বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। উদাহরণস্বরূপ: বায়োমেট্রিক পদ্ধতি, যেমন- ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকরণ নিয়ে বলা যায়; পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন যমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্ট হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনাক্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছ।
তিনি বলেন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের সুবিধাও অনেক। একজন মানুষ কোথাও গেলে আইডি কার্ড ভুলে বাসায় ফেলে আসতে পারে, হারিয়েও ফেলতে পারে। কিন্তু হাতের আঙ্গুল কখনই সে ফেলে আসে না বা হারিয়ে ফেলে না। মূলত: ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই 'জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০'- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলার মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।
এ সময় আলোচকগণ সরকার ও প্রশাসনের কাছে ২টি দাবি উত্থাপন করেন। তাদের প্রথম দাবি, পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে  জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।  এ ক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
তাদের দ্বিতীয় দাবি, সরকারি অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ/আদান-প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য নারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
https://www.shomoyeralo.com/details.php?id=174970


পর্দানশীন মহিলাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেওয়ার দা‌বি
 সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২
ঢাকা : সরকার ও প্রশাস‌নের প্রতি পর্দানশীন মহিলাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হ‌লে এক সংবাদ সম্মেলন তারা এ দা‌বি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও আজকের অনুষ্ঠানের আহবায়ক শারমিন ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখায় নিশ্চিত করতে হয়।তারা তা কর‌তে পার‌ছে না ব‌লে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারী কাগজ তৈরী করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।
তি‌নি ব‌লেন, পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না।এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
বক্তারা বলেন, কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজী না হওয়ায় অনেক পর্দানশীন মহিলারা অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন- ১. সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, ২. চাকরির আবেদন করা, ৩.অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, ৪.বাসা ভাড়া নেয়া, ৫. সম্পত্তির উত্তোরাধিকার হওয়া, ৬. জমি রেজিস্ট্রি করা, ৭.সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, ৮. সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ৯. ব্যাংক লেনদেন করা, ১০. জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ১১. ওএমএস কার্ড করা, ১২. স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, ১৩. জরুরী কাজে বাইরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ১৪. ট্রেড লাইসেন্স করা, ১৫. বিদ্যুৎ বিল দেয়া, ১৬. বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা। ১৭.মোবাইল ব্যাংকিং করা ১৮.দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, ১৯.সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা, ২০. নমিনি হওয়া।
বক্তারা বলেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১।(১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”। সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই জমজ ভাই বা দুই জমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্তিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে। যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে, এবং নিরাপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে।
তারা ব‌লেন, আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন জমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্টও হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনান্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০”- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা সরকার প্রশাসনের কাছে ২টি দাবী উত্থাপন করে-
১) পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরীর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
২) সরকারী অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ/আদান -প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
http://www.primenewsbd.net/2022/03/21/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F/






ছবি ছাড়া এনআইডি পাওয়ার দাবিতে 
রাজারবাগের নারী মুরিদদের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা 
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২২, ১৯:৫৫
পর্দানশীন নারীদের পর্দার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমানের নেত্রীরা। 
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন নেত্রীরা। 
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
মহিলা আনজুমানের নেত্রীরা বলেন, রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন নথিপত্র তৈরির সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় অনেক পর্দানশীন নারী অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 
নেত্রীরা বলেন, ছবি দিয়ে শনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ ’— এ ছবি দিয়ে শনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও ছবির মতো একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার কারণে অসংখ্য পর্দানশীন নারীর মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে। 
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শারমিন ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.ajkerpatrika.com/159804/%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80

সরকারি সব কাজে পর্দানশীল মহিলাদের 
ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার দাবি
হাসনাত নাঈম
২১/৩/২০২২ ১:৫২:৩০ PM
পর্দানশিন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরির ব্যবস্থায় তাদের পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান। একইসঙ্গে তারা সরকারী অফিসে পর্দানশীল মহিলাদের সাথে যোগাযোগ বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখাও দাবি জানিয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন।
https://ridmik.news/article/3P9Knw/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF


ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়মের দাবি জানিয়েছেন 
মহিলা আনজুমান
জাতীয়
২১ মার্চ ২০২২News Desk
পর্দানশিন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://dinajpurnews.com/332715



এনআইডিতে ছবি নয় বায়োমেট্রিকের 
নিয়ম দাবি পর্দানশিন নারীদের
চ্যানেল 24 ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৫:১৪, ২১ মার্চ ২০২২ আপডেট: ১৫:১৬, ২১ মার্চ ২০২২
জাতীয় পরিচয়পত্রে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। সেই সঙ্গে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে সরকারি অফিসে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দা রক্ষার্থে এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না, যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। 
পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
শারমিন ইয়াসমিন দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
https://www.channel24bd.tv/national/article/96138/%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0






মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে 
বায়োমেট্রিকের দাবি
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২২, ১৭:২১  
নিজস্ব প্রতিবেদক
পর্দাশীল নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দাশীল নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দাশীল নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দাশীল হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন-ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দাশীল নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ ও মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.bd-journal.com/bangladesh/196128/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF










মুখ খুলে ছবি নয়, বায়োমেট্রিক নিয়মের দাবি পর্দাশীল নারীদের
March 21, 2022
এবার জাতীয় পরিচয়পত্রে পর্দার বিধান রক্ষা করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। আজ সোমবার ২১ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, “দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন নথির সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। ফলে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।”
তিনি বলেন, ”পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবনধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।”
এদিকে সংগঠনটির দাবি, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতির নাম বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় এতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। এ পদ্ধতিতে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না।
https://news.bd24report.com/post/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0/


পর্দানশীন মহিলাদের মুখ দেখানোতে আপত্তি
ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়ম চালুর দাবি
 একুশে সংবাদ  প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২২
সরকার ও প্রশাসনের প্রতি রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের আহবান-পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সাথে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার প্রাপ্তির ব্যবস্থাকরন ও পর্দানশিন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের কার্যক্রম চালু করতে হবে। সেইসঙ্গে সংগঠনটি এও দাবি করেছেন যে, সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখতে হবে।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমানের আলোচকরা পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সাথে সকল রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিতের দাবী তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও আজকের অনুষ্ঠানের আহবায়ক শারমিন ইয়াসমিন।  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
আলোচক শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন।  তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখায় নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি। পর্দানশীন হওয়ায় এসব মহিলারা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না।  এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারী কাগজ তৈরী করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন রহিমা আহমদ নামক একজন বিধবা, ত্বহিরা জাহান নামক একজন প্রবাসীর স্ত্রী, শিল্পী আহমদ নামক একজন স্বামী পরিত্যক্তা এবং মার্জিয়া আহমদ নামক একজন অসুস্থ ব্যক্তির স্ত্রীর, যারা প্রত্যেকেই পর্দানশীন মহিলা হওয়ায় চেহারা খুলে ছবি তুলে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেনি, যাদের নিকটস্থ মাহরাম পুরুষ না থাকায় তাদের প্রত্যেকের জীবনে তৈরী হয়েছে মানবিক সংকট।
সংবাদ সম্মেলনের আলোচক বলেন, কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজী না হওয়ায় এরকম আরো অনেক পর্দানশীন মহিলারা অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন- ১. সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, ২. চাকরির আবেদন করা, ৩.অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, ৪.বাসা ভাড়া নেয়া, ৫. সম্পত্তির উত্তোরাধিকার হওয়া, ৬. জমি রেজিস্ট্রি করা, ৭.সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, ৮. সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ৯. ব্যাংক লেনদেন করা, ১০. জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ১১. ওএমএস কার্ড করা, ১২. স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, ১৩. জরুরী কাজে বাইরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ১৪. ট্রেড লাইসেন্স করা, ১৫. বিদ্যুৎ বিল দেয়া, ১৬. বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা। ১৭.মোবাইল ব্যাংকিং করা ১৮.দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, ১৯.সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা, ২০. নমিনি হওয়া।
আলোচক বলেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১।(১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”।  সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই জমজ ভাই বা দুই জমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্তিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে।  যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।  উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে, এবং নিরাপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে। যেমন- ২০১৯ সালে আলোচিত জাহালম নামক এক ব্যক্তির কথা আপনাদের মনে থাকার কথা।  ব্যাংক জালিয়াত সালেকের সাথে চেহারায় মিল থাকায় যিনি ৩ বছর বিনা অপরাধে জেল খেটেছিলেন।  
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আলোচক আরো বলেন, সনাক্তকরণে ছবির ব্যর্থতায় তাই আধুনিক যুগে তাই বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না।  বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। উদাহরস্বরূপ, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি, যেমন-ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকরণ নিয়ে বলা যায়, পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন জমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্টও হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনান্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের সুবিধাও অনেক।  একজন মানুষ কোথাও গেলে আইডি কার্ড ভুলে বাসায় ফেলে আসতে পারে, হারিয়েও ফেলতে পারে। কিন্তু হাতের আঙ্গুল কখনই সে ফেলে আসে না বা হারিয়ে ফেলে না। মূলতঃ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০”- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা মৌলিক অধিকার হরণ করা  হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা সরকার প্রশাসনের কাছে ২টি দাবী উত্থাপন করে বলেন-
১) পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরীর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
২) সরকারী অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ/আদান -প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
https://www.ekusheysangbad.com/amp/national/news/345005


মুখ দেখানোয় আপত্তি, ছবির বদলে
 বয়োমেট্রিকের নিয়ম করার দাবি
 March 21, 2022  নিজস্ব প্রতিবেদক  0 Comments
Share this:
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার ও প্রশাসনের প্রতি রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সাথে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার প্রাপ্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (২১ মার্চ) সংগঠনটির উদ্যোগ জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমানের আলোচকরা এ দাবি তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও আজকের অনুষ্ঠানের আহবায়ক শারমিন ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
আলোচক শারমিন ইয়াসমিন বলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখায় নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি। পর্দানশীন হওয়ায় এসব মহিলারা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারী কাগজ তৈরী করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন রহিমা আহমদ নামক একজন বিধবা, ত্বহিরা জাহান নামক একজন প্রবাসীর স্ত্রী, শিল্পী আহমদ নামক একজন স্বামী পরিত্যক্তা এবং মার্জিয়া আহমদ নামক একজন অসুস্থ ব্যক্তির স্ত্রীর, যারা প্রত্যেকেই পর্দানশীন মহিলা হওয়ায় চেহারা খুলে ছবি তুলে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেনি, যাদের নিকটস্থ মাহরাম পুরুষ না থাকায় তাদের প্রত্যেকের জীবনে তৈরী হয়েছে মানবিক সংকট।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য আলোচকরা বলেন, ‘কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজী না হওয়ায় এরকম আরো অনেক পর্দানশীন মহিলারা অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন- ১. সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, ২. চাকরির আবেদন করা, ৩.অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, ৪.বাসা ভাড়া নেয়া, ৫. সম্পত্তির উত্তোরাধিকার হওয়া, ৬. জমি রেজিস্ট্রি করা, ৭.সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, ৮. সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ৯. ব্যাংক লেনদেন করা, ১০. জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ১১. ওএমএস কার্ড করা, ১২. স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, ১৩. জরুরী কাজে বাইরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ১৪. ট্রেড লাইসেন্স করা, ১৫. বিদ্যুৎ বিল দেয়া, ১৬. বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা। ১৭.মোবাইল ব্যাংকিং করা ১৮.দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, ১৯.সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা, ২০. নমিনি হওয়া।’
তারা বলেন, ‘সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১।(১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”। সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই জমজ ভাই বা দুই জমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্তিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে। যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে, এবং নিরাপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে। যেমন- ২০১৯ সালে আলোচিত জাহালম নামক এক ব্যক্তির কথা আপনাদের মনে থাকার কথা। ব্যাংক জালিয়াত সালেকের সাথে চেহারায় মিল থাকায় যিনি ৩ বছর বিনা অপরাধে জেল খেটেছিলেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা আরো বলেন, ‘সনাক্তকরণে ছবির ব্যর্থতায় তাই আধুনিক যুগে তাই বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। উদাহরস্বরূপ, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি, যেমন-ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকরণ নিয়ে বলা যায়, পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন জমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্টও হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনান্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের সুবিধাও অনেক। একজন মানুষ কোথাও গেলে আইডি কার্ড ভুলে বাসায় ফেলে আসতে পারে, হারিয়েও ফেলতে পারে। কিন্তু হাতের আঙ্গুল কখনই সে ফেলে আসে না বা হারিয়ে ফেলে না। মূলতঃ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০”- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা সরকার প্রশাসনের কাছে ২টি দাবী উত্থাপন করে-
১) পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরীর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
২) সরকারী অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ/আদান -প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
https://dailybangladeshtime.com/archives/5667


জাতীয় পরিচয়পত্রে পর্দার বিধান রক্ষার দাবি জানিয়েছে পর্দানশিন নারীরা
By স্টাফ রিপোর্টার -মার্চ ২১, ২০২২15 0
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) পর্দার বিধান রক্ষার দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। এ জন্য এনআইডিতে ছবির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের কথা বলেছেন তারা। সেইসঙ্গে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে সরকারি অফিসে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখার দাবি তাদের।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমীন ইয়াসমিন এসব দাবি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়। পর্দা রক্ষার্থে এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না, যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’
‘এই পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ, সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
‘পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি’,- সংবাদ সম্মলনে বলেন শারমীন ইয়াসমিন।
https://protidinshebok.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%9f%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0/







পর্দানশিন মহিলাদের সনাক্তকরণে 
পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না: আনজুমান
মার্চ ২১, ২০২২, ২:৪০ অপরাহ্ণ | অনলাইন সংস্করণ
পর্দানশিন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা,
বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরির ব্যবস্থায় তাদের পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান।
একইসঙ্গে তারা সরকারী অফিসে পর্দানশিন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখাও দাবি জানিয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন।
https://dailykolomkotha.com/bangladesh/national/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d/


মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়ম দাবি
ঢাকা, ২১ মার্চ – পর্দাশীল নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দাশীল নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দাশীল নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দাশীল হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন-ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দাশীল নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ ও মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.deshebideshe.com/162336/


পর্দানশীন মহিলাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেওয়ার দা‌বি

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২
ঢাকা : সরকার ও প্রশাস‌নের প্রতি পর্দানশীন মহিলাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হ‌লে এক সংবাদ সম্মেলন তারা এ দা‌বি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও আজকের অনুষ্ঠানের আহবায়ক শারমিন ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখায় নিশ্চিত করতে হয়।তারা তা কর‌তে পার‌ছে না ব‌লে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারী কাগজ তৈরী করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।
তি‌নি ব‌লেন, পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না।এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
বক্তারা বলেন, কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজী না হওয়ায় অনেক পর্দানশীন মহিলারা অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন- ১. সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, ২. চাকরির আবেদন করা, ৩.অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, ৪.বাসা ভাড়া নেয়া, ৫. সম্পত্তির উত্তোরাধিকার হওয়া, ৬. জমি রেজিস্ট্রি করা, ৭.সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, ৮. সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ৯. ব্যাংক লেনদেন করা, ১০. জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ১১. ওএমএস কার্ড করা, ১২. স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, ১৩. জরুরী কাজে বাইরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ১৪. ট্রেড লাইসেন্স করা, ১৫. বিদ্যুৎ বিল দেয়া, ১৬. বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা। ১৭.মোবাইল ব্যাংকিং করা ১৮.দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, ১৯.সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা, ২০. নমিনি হওয়া।
বক্তারা বলেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১।(১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”। সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই জমজ ভাই বা দুই জমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্তিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে। যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে, এবং নিরাপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে।
তারা ব‌লেন, আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন জমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্টও হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনান্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০”- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা সরকার প্রশাসনের কাছে ২টি দাবী উত্থাপন করে-
১) পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরীর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
২) সরকারী অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ/আদান -প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
https://www.timesofbangla24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f/26441/


এনআইডিতে ছবির বদলে বায়োমেট্রিক 
নিয়মের দাবি পর্দানশিন নারীদের
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) পর্দার বিধান রক্ষার দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। এ জন্য এনআইডিতে ছবির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের কথা বলেছেন তারা। সেইসঙ্গে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে সরকারি অফিসে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখার দাবি তাদের।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমীন ইয়াসমিন এসব দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়।
গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়। পর্দা রক্ষার্থে এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না, যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’ ‘এই পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ, সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না।
এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’ ‘পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না।
বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি’,- সংবাদ সম্মলনে বলেন শারমীন ইয়াসমিন।
https://deshdorpon.com/news/enaidite-chbir-bdle-bayometrik-niymer-dabi-prdanshin-nareeder

Post a Comment

[facebook][blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget