কুরবানীতে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে মিরপুর ডিওএইচএস পরিষদকে আইনী নোটিশ
রাজধানরী মিরপুর ডিওএইচএস এর অভ্যন্তরে কুরবানীর পশু প্রবেশ ও কুরবানীতে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে মিরপুর ডিওএইচএস পরিষদ কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গতকাল ইয়াওমুল আরবিয়া (গতকাল ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার), ১৪ জুলাই) মিরপুর ডিওএইচএস’র স্থানীয় অধিবাসী মাশহুদা আফরোজ চৌধুরীর পক্ষ থেকে এই আইনী নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশ থেকে জানা যায়, “মিরপুর ডিওএইচএস পরিষদ"-এর পক্ষ থেকে ফ্ল্যাট মালিকদেরকে প্রদত্ত এক বিজ্ঞপ্তি মিরপুর ডিওএইচএস অভ্যন্তরে পশু জবাই (কোরবানী) না করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতদ্বপ্রেক্ষিতে নোটিশে পবিত্র কুরবানীর ফযীলত ও গুরুত্ব তুলে ধরে বলা হয়, যেহেতু পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলমানগণের একটি দ্বীনি উৎসব এবং পশু কুরবানী একটি দ্বীনি ইবাদাত। পবিত্র ঈদুল আযহায় সাধ্যমতো পশু কুরবানী করা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমগণের একটি ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক) আমল।
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরবানী সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন- “আপনার মহান রব তায়ালা উনার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কুরবানী করুন।” (পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)
তিনি কুরবানী সম্পর্কে আরও ইরশাদ করেন- “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য পবিত্র কুরবানী এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত করেছি, যেন তারা ওই নির্দিষ্ট গৃহপালিত পশুগুলির উপর (যবেহ করার সময়) মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক উচ্চারণ করে যা তিনি তাদেরকে রিযিক হিসেবে দান করেছেন। (পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)
পবিত্র দ্বীন ইসলামে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান লোকের জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব। পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাসের ১০ তারিখের ছুবহে ছাদিক হতে ১২ তারিখের সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পবিত্র কুরবানী ওয়াজিব হিসেবে আদায় করিতে হয়।
উপরোক্ত কারনে যুগ যুগ ধরে মুসলমানগণ জিলহ্জ্জ্ব মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ পশু কুরবানী দিয়া থাকেন। কুরবানীর ওয়াজিব আমল পালন করা প্রত্যেক মুসলমানগণের ধর্মীয় অধিকার যাহা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত যাহা হইতে বিরত রাখা কিংবা কোনরূপ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরা আইনানুগ নহে।
নোটিশে বলা হয়, যেহেতু তথাকথিত করোনাভাইরাসের সাথে পশু কুরবানী করা কিংবা কুরবানীর পশুর কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার কিংবা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আসন্ন ঈদুল আযহায় পশু কুরবানী করা কিংবা হাউজিং কমপ্লেক্সে পশু প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। এমনি সরকার আসন্ন কুরবানী উপলক্ষে সকল প্রকার বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। যাহা দ্বারা ইহাই প্রমাণিত হয় যে, সবাই সকল স্থানে কুরবানী দিতে পারবে। এমন অবস্থায় মিরপুর ডিওএইচএস পরিষদ এর কোনো আইনগত এখতিয়ারই নেই যে, তারা মিরপুর ডিওএইচএস এর অভ্যন্তরে পশু প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে একটি বেআইনি নির্দেশনা জারি করবে।
সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, সুতরাং দ্বীন ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ দ্বীন পালনের অধিকার রয়েছে। সুতরাং পবিত্র ঈদুল আযহায় পশু কুরবানী করা বাংলাদেশের প্রত্যেক মুসলমানের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ আপনারা [নোটিশগ্রহীতাগণ] মিরপুর ডিওএইচএস এ বসবাসরত মুসলমানগণকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করেছেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, মিরপুর ডিওএইচএস এ কুরবানীর পশু প্রবেশে বাধা দেওয়ার এবং কুরবানী না করার সিদ্ধান্ত পবিত্র দ্বীনি অধিকারে হস্তক্ষেপ এবং দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত করার শামিল, যা বাংলাদেশ দ-বিধি, ১৮৬০-এর ২৯৫(ক) ধারা মোতাবেক একটি ফৌজদারী অপরাধ।
এমতাবস্থায় নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে মিরপুর ডিওএইচএস পবিত্র কুরবানীর পশু প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত এবং কুরবানী না করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
লিংক-http://al-ihsan.net/view-post/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/5/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%9A%E0%A6%8F%E0%A6%B8-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B6/148309

Post a Comment