সৌদি সরকার কর্তৃক আযানের উপর বিধিনিষেধ আরোপের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদলিপি

 সৌদি সরকার কর্তৃক আযানের উপর বিধিনিষেধ আরোপের নিন্দা জানিয়ে


প্রতিবাদলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌদি সরকার সে দেশের মসজিদগুলোতে লাগানো লাউডস্পিকার তথা মাইকের শব্দের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তাদের উক্ত ইসলামবিরোধী তথা আযান বিরোধী বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন।
গত ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার, ৩০ জুন) এই প্রতিবাদলিপি সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে সৌদি সরকার বরাবর এই প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হয়।
প্রতিবাদলিপি থেকে জানা যায়, সৌদি সরকারের ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল লতিফ আল-শেখ দাবি করেছে, অনেক বাবা-মা আছেন, লাউড স্পিকারের শব্দে তাদের শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। যারা নামাজ পড়তে চান তাদের ইমামের ডাকের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। তাই এমন বিধিনিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
সৌদি সরকারের এমন ইসলাবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এই ন্যাক্কারজনক কাজ কেবল আমাদের নয়, গোটা মুসলিম বিশ্ব তাদের এমন জঘন্য দ্বীন ইসলাম বিরোধী কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন। পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের খাদিম দাবিদার সৌদি শাসকদের কর্তব্য পালনে আরো সচেতন হতে আহ্বান জানানো হয় প্রতিবাদলিপিতে।
উক্ত প্রতিবাদলিপিতে আজানে শুরুর সময়ের ইতিহাস তুলে ধরে বলা হয়, মুসলমানরা যখন পবিত্র মদিনা শরীফ পৌঁছেছিল তখন উনারা সম্মানিত নামাজের জন্য একত্রিত হত, এবং এর জন্য সময় অনুমান করত। এই দিনগুলিতে, নামাজের জন্য আজানের প্রথা চালু হয়নি। একবার উনারা নামাযের আহ্বান সম্পর্কিত এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। কেউ কেউ ঘণ্টা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন, আবার কেউ কেউ শিংয়ের মতো শিংগার মাধ্যেমে আওয়াজের প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু 'হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম তিনিই প্রথম পরামর্শ দিয়েছিলেন যে একজন ব্যক্তিকে নামাযের জন্য ডাকতে হবে; সুতরাং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে পবিত্র নামাজ উনার জন্য পবিত্র আযান করার নির্দেশ মুবারক দিলেন।
হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন সালাতের জন্য আযান দেয়া হয়, তখন শয়তান হাওয়া ছেড়ে পলায়ন করে, যাতে সে আযানের শব্দ না শুনে। যখন আযান শেষ হয়ে যায়, তখন সে আবার ফিরে আসে। আবার যখন সালাতের জন্য ইক্বামাত বলা হয়, তখন আবার দূরে সরে যায়। ইক্বামাত শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে এসে লোকের মনে কুমন্ত্রণা দেয় এবং বলে এটা স্মরণ কর, ওটা স্মরণ কর, বিস্মৃত বিষয়গুলো সে মনে করিয়ে দেয়। এভাবে লোকটি এমন পর্যায়ে পোঁছে যে, সে কয় রাক’আত সালাত আদায় করেছে তা মনে করতে পারে না। (সহিহ বুখারী শরীফ, পবিত্র হাদিস শরীফ নং ৬০৮)
উক্ত প্রতিবাদলিপিতে সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ও র্নিভুল সিদ্ধান্ত পেতে বর্তমান জামানার মুজাদ্দিদ জামানার ইমাম, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন! উনার কাছ থেকে প্রকৃত দ্বীন ইসলাম উনার বিধি বিধান জেনে বুঝে তা পবিত্র ভূমি সৌদি আরবে জারী করার আহ্বান জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বাংলাদেশের ৫ বিশিষ্ট নাগরিক বলেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আযান সম্পর্কিত সৌদি সরকারের দ্বীন ইসলাম ও শরীয়ত বিরোধী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত। অন্যথায় সৌদী সরকাদের দ্বীন ইসলাম বিরোধী করমকান্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিকার পেতে মুসলমানরা আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে বাধ্য হবে।
লিংক- http://al-ihsan.net/view-post/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/5/%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%83%E0%A6%95-%E0%A6%86%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A7-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%BF/147620

Post a Comment

[facebook][blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget