
পাঠ্যবইয়ে ইসলামী শিক্ষার বিরোধীতা করে বক্তব্য দেয়ায় আইনি নোটিশ
পাঠ্যবইয়ে ইসলামী শিক্ষার বিরোধীতা করে বক্তব্য দেয়ায় আইনি নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: টকশোতে বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কুল প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণির জন্য নির্ধারিত ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ পাঠ্যপুস্তকে আরবি বর্ণমালা, পবিত্র সালাত/নামাজ শিক্ষা, ওযু শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার তীব্র নিন্দা করায় সোমবার কথিত অধ্যাপক মমতাজ লতিফকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সাসনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক সৈয়দ মুহম্মদ মুক্তাদুল ইসলাম। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান তিনি লিগ্যাল নোটিশটি প্রেরণ করেন।
নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে। পবিত্র দ্বীন ইসলামে প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা বাধ্যতামূলক [ফরজ] করা হয়েছে। শিশু বয়স থেকেই দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা পবিত্র ইসলামী শরীয়তে রয়েছে। মুসলিম শিশুদের দ্বীনি অধিকার ও শিক্ষাগ্রহণের অধিকার নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকে প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে আরবি বর্ণমালা, পবিত্র সালাত/নামাজ শিক্ষা, ওযু শিক্ষা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ কথিত ওই অধ্যাপক টক শো-তে প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণির জন্য নির্ধারিত ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ পাঠ্যপুস্তকে আরবি বর্ণমালা, পবিত্র সালাত/নামাজ শিক্ষা, ওযু শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে বলেছে। মূলত কথিত ওই ব্যক্তি এসব কটূক্তিমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুসলিম শিক্ষার্থীদের দ্বীনি শিক্ষাগ্রহণের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করতে চেয়েছে। পাশাপাশি তার মন্তব্য ইসলামবিদ্বেষ এবং বাংলাদেশের মুসলমান নাগরিকদের দ্বীনি অনভূতিতে চরম আঘাত করেছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, উক্ত টকশোতে দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অপরাধ করেছে কথিত ওই অধ্যাপক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ধারায় বলা হয়েছে:
(১) যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদ-ে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। একই আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে: (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। একইভাবে, তার মন্তব্যসমূহ বাংলাদেশের দন্ড বিধি, ১৮৬০-এর ২৯৫(ক) ধারার অধীনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নোটিশে, উক্ত অধ্যাপকের ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের কারণে মুসলমানদের দ্বীনি অনভুতিতে আঘাত দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয় এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি মুসলিম শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা বিষয়ক তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের বেআইনি কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার না করা হলে কথিত ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শক্ত আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারী প্রদান করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে। পবিত্র দ্বীন ইসলামে প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা বাধ্যতামূলক [ফরজ] করা হয়েছে। শিশু বয়স থেকেই দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণের নির্দেশনা পবিত্র ইসলামী শরীয়তে রয়েছে। মুসলিম শিশুদের দ্বীনি অধিকার ও শিক্ষাগ্রহণের অধিকার নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকে প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে আরবি বর্ণমালা, পবিত্র সালাত/নামাজ শিক্ষা, ওযু শিক্ষা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ কথিত ওই অধ্যাপক টক শো-তে প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণির জন্য নির্ধারিত ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ পাঠ্যপুস্তকে আরবি বর্ণমালা, পবিত্র সালাত/নামাজ শিক্ষা, ওযু শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে বলেছে। মূলত কথিত ওই ব্যক্তি এসব কটূক্তিমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুসলিম শিক্ষার্থীদের দ্বীনি শিক্ষাগ্রহণের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করতে চেয়েছে। পাশাপাশি তার মন্তব্য ইসলামবিদ্বেষ এবং বাংলাদেশের মুসলমান নাগরিকদের দ্বীনি অনভূতিতে চরম আঘাত করেছে।
নোটিশে আরো বলা হয়, উক্ত টকশোতে দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অপরাধ করেছে কথিত ওই অধ্যাপক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ধারায় বলা হয়েছে:
(১) যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদ-ে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। একই আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে: (১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। একইভাবে, তার মন্তব্যসমূহ বাংলাদেশের দন্ড বিধি, ১৮৬০-এর ২৯৫(ক) ধারার অধীনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নোটিশে, উক্ত অধ্যাপকের ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের কারণে মুসলমানদের দ্বীনি অনভুতিতে আঘাত দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয় এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি মুসলিম শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা বিষয়ক তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের বেআইনি কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার না করা হলে কথিত ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শক্ত আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারী প্রদান করা হয়।
link- https://bisshobarta24.com/2020/10/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%87%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%b0/
Post a Comment