November 2020
১০০০কোটি টাকা ১২ রবিউল আউয়াল ৫০০ বিশিষ্ট নাগরিকের আহবান ৫৭ ধারায় ৬৩ দিন ৬৪জেলা ৭১টিভি ৯৯৯ bbc ntv অবমাননা অসাংবিধানিক আইজিপি আইন আইনমন্ত্রী আইনি নোটিশ আইপিএল আইমান ফোরম আওয়ামী ওলামা লীগ আদালত আল বাইয়্যনাত ইফা ইসকন ঈদে মিলাদুন্নবী ঈমান বাঁচানো ফাণ্ড ঈশার আযান বন্ধ একাত্তর টিভি এনটিভি এনায়েতআব্বাসী কটুক্তি কটূক্তি কড়িগ্রাম মসজিদ কমিটি করোনা করোনা ভাইরাস কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী কুরবানি নিষিদ্ধ কুরবানির পশু কুরবানী কুরবানীর হাট কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ কোরবানি ক্যাম্পেইন বন্ধে ক্লোজআপ কাছে আসার রিকশা গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গান-বাজনা গ্রহণযোগ্য নয় গ্রিক দেবী গ্রিক দেবীর মূর্তি চাঁদ দেখা চ্যালেঞ্জ ছবি জয় হিন্দ জররি সেবা জাতীয় পরিচয় পত্র জাফর ইকবাল জাফরুল্লাহ জিয়া জুয়া জেলা প্রশাসন ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিএমপি কমিশনার ডিওএইচএস পরিষদ ডিসি ঢাবি শিক্ষক ঢাবি শিক্ষক জিয়া তথ্যমন্ত্রী তদন্তে সিআইডি দাড়ি দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায় দেবী চলচ্চিত্র দৈনিক আল ইহসান দৈনিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বদেশ দ্বীন ইসলাম ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ন ডরাই নগ্নতা উৎসাহিত নবীজীর ম‌ানহানি নানীর বাণী-দ্য আরেফিন নিধার্রিত স্থানে নিষেধাজ্ঞা নুরুল ইসলাম সুজন নৌপরিবহন সচিব পবিত্র কাবা শরীফ পরিচালক পর্দা পশু জবাই পশুর হাট পহেলা বৈশাখ পাঠ করা পুবিত্র মিলাদ শরীফ পুলিশ সুপার পেীর মেয়র প্রকাশক প্রতিবাদ প্রতিবাদলিপি প্রদর্শনী প্রধান শিক্ষক প্রসাদ প্রসাশন প্রিয় নুসরাত প্রেসক্লাব ফিঙ্গার প্রিন্ট ফেরেশতা ফ্রান্স ফ্ল্যাট বগুড়া বালা-মুসিবত বাল্যবিবাহ বিপিএল বিবিসি বিবিসি বাংলা বোরকা-হিজাব বোরখা হাইকোর্টে রিট দায়ের বোরখা-হিজাব ভারত ভাস্কর্য ভোরের কাগজ মঙ্গল যাত্রা মজলিসু রইয়াতিল হিলাল মসজিদ মসজিদ অবমাননা মসজিদ ভাঙ্গা মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মাদরাসায় নৃত্য মাদ্রাসার বই মানহানি মানহানী মামলা মারজিয়া আক্তার শিলা- নরসিংদী মাস্ক ব্যবহার মাহমুদুল মাদানী মিলাদ শরীফ মুযাফফর মূর্তি মূর্তি নিয়ে অপব্যাখ্যা মূর্তি-ভাস্কর্য পক্ষের কথিত সাংবাদিকের যুক্তি খণ্ডন মোমবাতি প্রজ্জলন যুব আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত রমেক হাসপাতাল রাজারবাগ দরবার শরীফ রাজারবাগ শরীফ রাজ্জাক রাবি ভিসি রাসূলের অবমাননায় পূর্বদেশের বিরুদ্ধে মামলা রাস্তায় কুকুর রাস্তায় কুকুরের উপদ্রব রিট রুল রেল মন্ত্রী লকডাউন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৮ লিগ্যাল নোটিশ শবে বরাত শরীয়ত বিরোধী শান মুবারক শাবান মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রা সময় টিভি সম্পাদক সম্মিলিত ইসলামী জোট সরকারী সাইয়্যিদুল আইয়াদ ১২ শরীফ সুন্নতি সামগ্রী সুন্নতি সামগ্রী প্রদর্শনী সুপ্রিম কোর্ট স্কুলছাত্রী স্কুলে মন্ত্রপাঠ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ্জ পালন নিষিদ্ধ করায় প্রতিবাদলিপি হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম হাইকমিশনার হাইকোর্ট হাউজিং কমপ্লেক্স হাজরে আসওয়াদ হাজরে আসওয়াদকে মূর্তির হাদীস শরীফ হারাম হাসানুল হক ইনু হিউম্যান মিল্ক ভ্যাংক হিযাব

 ঢাকার কিছু এলাকায় কুরবানির পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আইনি নোটিশ

পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আইনি নোটিশ

ঢাকার কিছু এলাকায় কুরবানির পশু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:  জাপান গার্ডেন সিটিসহ রাজধানীর আরও কিছু ফ্লাট মালিক সমিতি ও হাউজি সোসাইটি পবিত্র কুরবানির পশু প্রবেশ ও কুরবানি করতে নিষেধাজ্ঞামূলক নির্দেশনা দিয়েছে বলে বেশ কয়েকটি সংবাদ সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষত জাপান গার্ডেন সিটির কুরবানীর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানগণের একটি দ্বীনি উৎসব এবং পশু কুরবানী একটি দ্বীনি ইবাদাত। পবিত্র ঈদুল আজহায় সাধ্যমতো পশু কুরবানী করা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের একটি ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক) আমল। ‘জাপান গার্ডেন সিটি মালিক ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতি”-সহ দেশের সকল হাউজিং সোসাইটি, ফ্ল্যাট মালিক সমিতি বাংলাদেশে প্রচলিত আইনের অধীনে নিবন্ধিত সোসাইটি। নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী এই ধরনের সমিতি অবশ্যই বাংলাদেশে প্রচলিত আইন মেনে চলতে বাধ্য। কোনো হাউজিং সোসাইটি বা ফ্ল্যাট মালিক সমিতি যদি অনিবন্ধিতও হয়, সেক্ষেত্রেও তারা বাংলাদেশে প্রচলিত আইন মেনে চলতে বাধ্য।
নোটিশ আরও বলা হয়, তথাকথিত করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাথে পশু কুরবানী করা কিংবা কুরবানীর পশুর কোনো সম্পর্ক নেই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কিংবা ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন আসন্ন ঈদুল আজহায় পশু কুরবানী করা কিংবা হাউজিং কমপ্লেক্সে পশু প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। এমন অবস্থায় “জাপান গার্ডেন সিটি মালিক ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতি”-র কার্যনির্বাহী কমিটি কিংবা একই ধরনের অন্যান্য হাউজিং সোসাইটি বা ফ্ল্যাট মালিক সমিতির কোনো আইনগত এখতিয়ারই নেই যে, তারা এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে কুরবানীর পশু প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।

নোটিশে বলা হয়, সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, সুতরাং দ্বীন ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ দ্বীন পালনের অধিকার রয়েছে। সুতরাং পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কুরবানী করা বাংলাদেশের প্রত্যেক মুসলমানগণের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ “জাপান গার্ডেন সিটি মালিক ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতি”-র কার্যনির্বাহী কমিটি কিংবা একই ধরনের অন্যান্য হাউজিং সোসাইটি বা ফ্ল্যাট মালিক সমিতিগুলো ওই সকল হাউজিং কমপ্লেক্সে বসবাসরত মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করেছেন। বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটিতে সংঘটিত এই ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা এবং মুসলিমদের সুষ্ঠুভাবে পশু কুরবানীর ব্যবস্থা করা আপনার এখতিয়ার ও দায়িত্ব বটে।

সুতরাং কুরবানীর পশু প্রবেশে বাধা দেয়ার সিদ্ধান্ত পবিত্র দ্বীনি অধিকারে হস্তক্ষেপ এবং দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত, যা বাংলাদেশ দ-বিধি, ১৮৬০-এর ২৯৫(ক) ধারা মোতাবেক একটি ফৌজদারী অপরাধ। কুরবানীর পশু প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে একই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ঢাকার অন্যান্য হাউজিং সোসাইটি, ফ্ল্যাট মালিক সমিতিও একই দায় বহন করে।

উক্ত নোটিশের মাধ্যমে জাপান গার্ডেন সিটিসহ ঢাকার সকল হাউজিং কমপ্লেক্সে পবিত্র কুরবানীর পশু প্রবেশের ব্যবস্থাসহ পশু কুরবানীর সকল ধরনের ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নোটিশটি জাপান গার্ডেন সিটির বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি শেখ ওমর শরীফের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/07/%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%9b%e0%a7%81-%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8/

 কুরবানীর পশুর হাট নিয়ে অবিবেচক সিন্ধান্তের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আইনী নোটিশ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আইনী নোটিশ

কুরবানীর পশুর হাট নিয়ে অবিবেচক সিন্ধান্তের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আইনী নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:  গত ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই বছর রাজধানীতে কুরবানীর পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না।’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই অবিবেচক ও অপরিপক্ক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল ইয়াওমুছ ছুলাছা (১৪ জুলাই) বিশিষ্ট নাগরিক খন্দকার মুহম্মদ জালাল উদ্দিনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি শেখ ওমর শরীফ।

নোটিশে মুসলমানদের জন্য পবিত্র কুরবানীর গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা এবং পশু কুরবানী মুসলমানদের জন্য একটি দ্বীনি ইবাদত। পবিত্র ঈদুল আজহায় সাধ্যমতো পশু কুরবানী করা প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের একটি ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক) আমল।

কুরবানীর অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরে নোটিশে বলা হয়, কুরবানীর সঙ্গে শুধু দ্বীনি বিধানই জড়িত নয়, এর সঙ্গে বাংলাদেশের বহু নাগরিকের জীবন-জীবিকা ও দেশের অর্থনীতিও জড়িত। অনেক খামারি আছেন, যাঁরা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বছরব্যাপী পশু লালন-পালন করেন। গ্রামের অনেক দরিদ্র মানুষ আছেন, যাঁরা একটা-দুটো গরু-ছাগল পালন করেন ঈদুল আজহার হাটে বিক্রির জন্য। এতে যা আয় হয়, তাতে তাদের জীবন চলে বা অভাব কমে। আবার কুরবানীর পশুর চামড়া দেশের চামড়াশিল্পের কাঁচামালের জোগানের সিংহভাগ পূরণ করে, এই শিল্পের বিভিন্ন পর্যায়েও বহু শ্রমিক ও ব্যবসায়ী জড়িত। এমনকি পশুর হাটের আয়োজন, পশু বাড়িতে আনা, কুরবানী দেওয়া, কাটাকাটির করার সঙ্গেও বহু মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। এছাড়া দেশে এমন কিছু প্রান্তিক মানুষ আছেন, যাঁরা সারা বছর মাংস খেতে পান না, পবিত্র ঈদুল আজহার কুরবানীর জন্য তারা অপেক্ষা করেন।
কুরবানীর পশুর হাট, পশু কেনা-বেচা, পশু কুরবানী ইত্যাদি কাজ সারতে সারা বছরে মাত্র ৩/৪ দিন লাগে। কুরবানীর পশুর হাট প্রকৃতপক্ষে ঢাকাবাসীর নাগালের মধ্যেই বসাতে হবে। কুরবানীর জন্য পশু কিনতে পারা মুসলিমদের একটি নাগরিক অধিকার।
বর্তমান লকডাউনভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার কুরবানী মৌসুমে প্রায় ৪০ লাখ পশু অবিক্রিত থাকতে পারে বলে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। এমন অবস্থায় ঢাকায় পশুর হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত কুরবানীর পশুর ব্যবসাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

নোটিশে আরও বলা হয়, তথাকথিত লকডাউনভাইরাস সংক্রমণের সাথে পশু কুরবানী করা কিংবা কুরবানীর পশুর কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার ইতোমধ্যে সারা দেশে ‘সাধারণ ছুটি’-এর মাধ্যমে ঘোষিত কথিত লকডাউনও অনেকটাই তুলে নিয়েছে। তাছাড়া মানুষকে ঘরে আটকে রেখে লকডাউন করলে লকডাউনয় মৃত্যুহার কমে- এমন ধারণার পক্ষে কোনো প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

নোটিশে কুরবানী করা এবং কুরবানীর পশু ক্রয়ের অধিকারকে দ্বীনি অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, একজন মুসলমানদের নাগরিক অধিকার সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, সুতরাং ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: “আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে।” সুষ্ঠুভাবে কুরবানীর পশু কিনতে পারা ও পশু কুরবানী করতে পারা বাংলাদেশের প্রত্যেক মুসলিমের সাংবিধানিক অধিকার। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ধরণের সিদ্ধান্ত ঢাকাবাসী মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করছেন।

লিংক-https://bisshobarta24.com/2020/07/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%ac/

সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আইনের দ্বারা আরোপিত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো আইনসঙ্গত কারবার বা ব্যবসায়-পরিচালনার অধিকার রয়েছে। প্রতি বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকাতেই সবচেয়ে বেশি পশু বেচাকেনা হয়। এই বছর ঢাকায় পশুর হাট বসাতে না দিলে লক্ষ লক্ষ গরু ব্যবসায়ীসহ ট্যানারি মালিক, চামড়া শ্রমিক ও প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হবে।

নোটিশদাতা গরু ব্যবসার সাথে জড়িত বিধায় তিনি এ সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রহস্ত হওয়া আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ গরু ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রতি বছর তিনি ঢাকায় কুরবানীর হাটে পশু বিক্রি করেন। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষেও তিনি ঢাকায় পশু বিক্রির জন্য প্রায় ৫০ টি গরুতে গত এক বছর ধরে বিনিয়োগ করে আসছেন। এই বছর ঢাকায় গরুর হাট বসতে না দেওয়ার মাধ্যমে গরু ব্যবসাকে কঠিন ও প্রায় অসম্ভব করে তুলেছেন এবং এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধানস্বীকৃত পেশাগত স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

নোটিশগ্রহীতাকে এই নোটিশ পাওয়ার দুই কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকায় এই বছর পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ঢাকায় পশুর হাটের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।

 বিনা অনুমতিতে ছবি তুলে মানহানিকর সংবাদ প্রচার করায় একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে আইনি নোটিশ

একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে আইনি নোটিশ

বিনা অনুমতিতে ছবি তুলে মানহানিকর সংবাদ প্রচার করায় একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনা অনুমতিতে ছবি তুলে মানহানিকর ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করার দায়ে ‘দৈনিক সময়ের আলো’ নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার সাংবাদিক মুহম্মদ রাসেলের পক্ষ থেকে নোটিশটি প্রেরণ করেছেন এডভোকেট মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী।

নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী নোটিশদাতার ছবি সংযোজন করে একটি উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার করা হয়।

নোটিশদাতা নোটিশে তার অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, তিনি দৈনিক আল ইহসান-এর রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। তিনি তার কর্মস্থলের কার পার্কিং থেকে অফিসের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় তার অজান্তে ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে ও প্রতিবেদনে আমার মক্কেলকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিনা অনুমতিতে ছবি তুলে ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনের সাথে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছবি ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্যক্তিস্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে ছবি তোলার বিষয়ে নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত “ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, ২০১৮”-এর ২৬ (১) ধারায় বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তি আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে অপর কোনো ব্যক্তির পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, বিক্রয়, দখল, সরবরাহ বা ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।” একই আইনের ২৫ ধারায় বলা হয়েছে: “যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে, ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।” একই আইনের ২৯ ধারা অনুযায়ী, অনলাইনে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচারও একটি অপরাধ।

নোটিশদাতা জানান, কোনো আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে এভাবে ছবি তুলে অনলাইনে প্রকাশ করে এবং উক্ত প্রতিবেদন দ্বারা নোটিশদাতা বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ ও হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। কর্মস্থলে প্রবেশের একটি সাধারণ ছবিকে অনলাইনে মানহানিকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় নোটিশদাতা দাবি করেন- উক্ত নোটিশ পাওয়ার ২ দিনের মধ্যে উল্লেখিত আপত্তিকর ছবি ও প্রতিবেদন প্রত্যাহার করার এবং একই পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/07/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%9b%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a6%be/

 হাউজিং কমপ্লেক্সে কুরবানি নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে রিটের শুনানি: ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানানোর পরামর্শ

হাউজিং কমপ্লেক্সে কুরবানি নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে রিটের শুনানি

হাউজিং কমপ্লেক্সে কুরবানি নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে রিটের শুনানি: ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানানোর পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক:  পবিত্র ঈদুল আজহায় কয়েকটি হাউজিং সোসাইটিতে পবিত্র কুরবানী নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আদালতে করা রিটের শুনানির বিষয়ে কুরবানির পশু রাখা ও জবাইয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানানোর জন্যে পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিষয়টি জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী শেখ ওমর শরীফ।

এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারক ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ পরামর্শ দেয়। আদালতে গতকাল রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ ওমর শরীফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল অমিত তালুকদার।

এর আগে (২০ জুলাই) জাপান গার্ডেন সিটির এক ফ্ল্যাট মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন শিশিরের পক্ষে তার আইনজীবী শেখ ওমর শরীফ এ রিট করেছিলেন।

রিটের তথ্যে জানা যায়, করোনার অজুহাতে জাপান গার্ডেন সিটির প্রকল্পের অভ্যন্তরে কুরবানির পশু প্রবেশ ও জবাই নিষিদ্ধ করে জাপান গার্ডেন সিটি ফ্ল্যাট মালিক সমিতি। এ বিষয়ে ৫ জুলাই তারা নোটিশ জারি করে। ইস্টার্ন টাওয়ার ফ্ল্যাট মলিক সমবায় সমিতি, লাক্সারি অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটিও পবিত্র কুরবানী বিরোধী এ নোটিশ জারি করে।

পরে ১৪ জুলাই এ বিষয়ে জাপান গার্ডেন সিটির এক ফ্ল্যাট মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন শিশির আইনি নোটিশ দেন।

ওই নোটিশে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সাথে পশু কুরবানি করা কিংবা কুরবানির পশুর কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার কিংবা সিটি করপোরেশন হাউজিং কমপ্লেক্সে পশু প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বরং সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কুরবানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। এমন অবস্থায় জাপান গার্ডেনসহ অন্যান্য হাউজিং সোসাইটির কমপ্লেক্সে পশু প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির এখতিয়ার নেই।

নোটিশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাউজিং কমপ্লেক্সে কুরবানির পশু প্রবেশে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এরপর তিনি রিট করেন বলে জানান আইনজীবী ওমর শরীফ। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিবাদী করা হয়।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/07/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%82-%e0%a6%95%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8/

 মাস্ক ব্যবহার নিয়ে সরকারী পরিপত্রের বিপক্ষে আইনী নোটিশ

মাস্ক ব্যবহার নিয়ে সরকারী পরিপত্রের বিপক্ষে আইনী নোটিশ

মাস্ক ব্যবহার নিয়ে সরকারী পরিপত্রের বিপক্ষে আইনী নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে মাস্ক ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছে তার বিপক্ষে যুক্তি পেশ করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব বরাবর আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার নোটিশটি আল মুতমাইন্নাহ মা ও শিশু হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার ডা. মুহম্মদ আব্দুল আলী মারুফের পক্ষ থেকে পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ।

নোটিশে বলা হয়েছে, ঢালাওভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধানের নির্দেশনা কোনোক্রমেই বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত কোনো পদক্ষেপ নয়। ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ আইওয়া’স কলেজ অফ মেডিসিন’-এর মেডিসিন ও এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ এলি পেরেনচেভিচ বলেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি পাশের বাড়িতেও থাকে তাও আপনার মাস্ক ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই। একজন সুস্থ মানুষের মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি নয়, উচিতও নয়।”

মাস্ক ব্যবহার বিপজ্জনক উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, ঢালাওভাবে মাস্ক ব্যবহার করা বিপজ্জনক হতে পারে বলে জানিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, মুখে মাস্ক পরে শরীরচর্চা, প্রাতঃভ্রমণ বা জগিং করলে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না। এ অবস্থায় অক্সিজেন কমে গিয়ে উল্টো তা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এছাড়া ভারী ধরনের কাজ, খুব বেশি দৈহিক পরিশ্রম হয় এমন কাজের সময়ও মাস্ক পরে থাকলে শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের স্বাভাবিক ছন্দ বিঘ্নিত হতে পারে। যার ফলে দেখা দিতে পারে একাধিক আকস্মিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এজন্য খুব বেশি দৈহিক পরিশ্রম হয় এমন কাজের সময় মাস্ক না পরা এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নেই এমন স্থানেই যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। শরীরচর্চা, প্রাতঃভ্রমণ, জগিং, অত্যাধিক দৈহিক পরিশ্রমযুক্ত ভারী কাজের সময় মাস্ক পরে থাকলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে অস্বাভাবিক ক্লান্তি, শরীরের বিভিন্ন অংশের পেশিতে টান পড়া বা খিঁচুনি, বমি ভাব, মাথা ঘোরানো এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

মাস্ক পরিধান করে অনেকেই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে বলে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে, বেশি সময় ধরে মাস্ক ব্যবহারের ফলে অনেকের নাক-মুখে ছোট লালচে ও গোলাপি ব্রন, জধংয উঁকি দিচ্ছে। খসখসে ত্বক, চুলকানি, ঠোঁটের চারপাশে লাল লাল গুটির মতো দাগ হচ্ছে। যারা বয়ঃসন্ধিতেও ব্রনের সমস্যায় ভোগেননি, তারাও মাস্ক ব্যবহারের ফলে সমস্যায় পড়েছেন। ডারমাটোলজিস্টরা এই মাস্কঘটিত ব্রনের নাম দিয়েছেন ‘মাস্কনে’, অর্থাৎ মাস্কের কারণে যে ব্রন বা অ্যাকনে।

ঢালাও মাস্ক পরিধান করা হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে নোটিশে বলা হয়, মাস্ক ব্যবহার সংক্রান্ত পরিপত্রটি সুস্পষ্টভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ)-এর নির্দেশনার বিপরীত। পরিপত্রের নির্দেশনাসমূহ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সকল শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিক, হকার, রিকশা ও ভ্যান চালকদের জন্য মাস্ক পরিধান গুরুতর স্বাস্থ্যগত সংকট সৃষ্টি করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে অত্যাধিক দৈহিক পরিশ্রমযুক্ত ভারী কাজের সময় মাস্ক না পরতে, অথচ পরিপত্রে বাংলাদেশের পরিশ্রমী শ্রমিক, রিকশা ও ভ্যান চালকদেরকে মাস্ক পরিধানে বাধ্য করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারিকৃত মাস্ক ব্যবহার সংক্রান্ত পরিপত্রটিতে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নির্দেশনা থাকায় বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নোটিশদাতা সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদাধিকারীদের থেকে এমনটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়।

উল্লিখিত যুক্তির প্রেক্ষিতে নোটিশে দাবি করা হয়, নোটিশে পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারিকৃত মাস্ক ব্যবহার সংক্রান্ত পরিপত্রটি যেন প্রত্যাহার করে নেয় হয়। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/07/%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0/

 বগুড়ায় কুরবানীর হাট বন্ধ করায় ডিসিকে আইনি নোটিশ

বগুড়ায় কুরবানীর হাট বন্ধ করায় ডিসিকে আইনি নোটিশ

বগুড়ায় কুরবানীর হাট বন্ধ করায় ডিসিকে আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া পৌরসভার কালিতলা হাটে পবিত্র কুরবানীর হাট বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়ায় বগুড়া জেলার ডিসি জিয়াউল হককে রোববার লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সত্বর এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে হাট বসানোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে বগুড়ার বিশিষ্ট নাগরিক মুহম্মদ কামরুল বাসার কমল এবং মুহম্মদ আব্দুর রউফ এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান এই নোটিশটি প্রেরণ করেন।

নোটিশে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা এবং পশু কুরবানী একটি দ্বীনি ইবাদাত। কুরবানীর পশুর হাট, পশু কেনা-বেচা, পশু কুরবানী ইত্যাদি কাজ সারতে সারা বছরে মাত্র ৩/৪ দিন লাগে। পবিত্র কুরবানীর পশুর হাট প্রকৃতপক্ষে বগুড়া শহরবাসীর নাগালের মধ্যেই বসাতে হবে। সহজভাবে পশু কিনতে পারা বগুড়া শহরের মুসলিমদের একটি নাগরিক অধিকার। অথচ বগুড়া পৌর এলাকার মধ্যকার একমাত্র পশুর হাটটি এই বছর না বসানোর নির্দেশ দেয়ার ফলে বগুড়া শহরের মুসলিমগণ এই বছর পবিত্র কুরবানীর জন্য পশু কিনতে গিয়ে ব্যাপক বিড়ম্বনার শিকার হবেন। এই নির্দেশের ফলে বগুড়া শহরের মুসলিমদেরকে শহরের বাইরে গিয়ে পশু কিনতে হবে এবং সেই পশু শহরের বাসায় নিয়ে আসার জন্যও বাড়তি খরচ, শ্রম ও বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হবে।

নোটিশে আরও বল হয়, সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, সুতরাং ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বগুড়া শহরের মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: “আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”। অথচ ডিসির এই নির্দেশনা বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করেছে। যা পবিত্র দ্বীনি অধিকারে হস্তক্ষেপ এবং দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত।

এমতাবস্থায় এই নোটিশ পাওয়ার দুই কার্যদিবসের মধ্যে বগুড়ার কালিতলা হাটে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কুরবানীর পশুর হাট না বসানোর জন্য নির্দেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/07/%e0%a6%ac%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a7%9c%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7/

ফ্ল্যাটে কুরবানী করতে বাধা প্রদান না করার নির্দেশ আদালতের

ভার্চুয়াল-নিয়মিতসহ হাইকোর্টে ৫৩ বেঞ্চ গঠন

ফ্ল্যাটে কুরবানী করতে বাধা প্রদান না করার নির্দেশ আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্ল্যাটে  কুরবানী করতে কোন প্রকার বাধা প্রদান না করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সহকারী জজ ১ম আদালতের বিচারক কানিজ তানিয়া রুপা আজ এই আদেশ প্রদান করেন।

আদেশে বলা হয়, মোকদ্দমার গুরুত্ব এবং সার্বিক বিবেচনায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পযন্ত বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে বাদী পক্ষের প্রার্থীত মতে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা মঞ্জুর করা হলো। তৎমর্মে আসন্ন ঈদুল আযহা ২০২০ উপলক্ষে ‘ক’ তফসিল বর্ণিত  ভূমিতে সরকারী নিদের্শনা ‍ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাদী পক্ষের কুরবানী পশু প্রবেশ ও কুরবানী কার্য সম্পাদন হতে বাধাগ্রস্থ করা থেকে বিবাদীগণকে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করা হলো।

জাপান গার্ডেন সিটির বাসিন্দা মুহম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন শিশিরের পক্ষে শুনানী করেন অ্যাডভোকেট নুরে আলম মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী, উক্ত বিবাদীগণকে সেই সাথে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে কারন দর্শাতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই করোনার অজুহাত দিয়ে কুরবানী বন্ধের ঘোষণা দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল জাপান গার্ডেন সিটি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমন হটকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান রাজারবাগ শরীফ সহ বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠন। 

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/07/%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be/

 ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে কটূক্তি করায় আইনি নোটিশ

ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামদের নিয়ে কটূক্তি করায় আইনি নোটিশ

ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে কটূক্তি করায় আইনি নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেসবুকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে কটূক্তি করায় ‘আমরা মানুষ ফাউন্ডেশন’ নামক একটি সংগঠনের সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন মুসলমানদের অধিকার বিষয়ক সংস্থা ‘মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশন’র সাধারণ সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান বৃহস্পতিবার নোটিশটি প্রেরণ করেন।


নোটিশে বলা হয়, গত ২২ সেপ্টেম্বর ‘আমরা মানুষ ফাউন্ডেশন’ নামক সংস্থাটির সভাপতি ফেসবুকে কিছু কুকুরদের খাওয়ানোর ছবি পোষ্ট করে সেই পোষ্টের ক্যাপশনে লিখে, ফেরেস্তাদের সাথে ফেরেস্তারাই থাকে।’ (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!) এ ধরণের বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণকে কটূক্তি করার সামিল। কারণ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণের ওপর বিশ্বাস পবিত্র দ্বীন ইসলামে ঈমানের অন্যতম প্রধান শর্ত। দ্বীন ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ মহান আল্লাহ পাকের পবিত্র সৃষ্টি। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণকে মহান আল্লাহ পাক তিনি নূর দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ মহান আল্লাহ পাক উনার কোনো নির্দেশই অমান্য করেন না এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে যে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, উনারা তা যথার্থরূপে পালনরত। অন্যদিকে, পবিত্র দ্বীন ইসলামে কুকুরের ব্যাপারে নির্দেশনা এই যে, শখ করে ঘরে কুকুর রাখা নিষেধ। পবিত্র হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, যে ঘরে কুকুর অথবা [প্রাণীর] ছবি আছে, সে ঘরে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ প্রবেশ করেন না। [সহীহ বুখারী : ৩৩২২] অথচ দায়ী ব্যক্তি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে কুকুরকে “ফেরেস্তা” হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণকে নিয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য পবিত্র দ্বীন ইসলামের প্রতি চরম অবমাননা এবং বাংলাদেশে প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।


নোটিশে আরো বলা হয়েছে, সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, সুতরাং ইসলামী বিশ্বাসসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। সংগঠনটির সভাপতি বাংলাদেশের মুসলিমদের একটি দ্বীনি বিশ্বাসকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। এ ধরণের মন্তব্য মুসলিমদের পবিত্র দ্বীনের প্রতি অসম্মানজনক, অবমাননাকর ও বেআইনি।


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ (১) ধারায় বলা হয়েছে: যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ। ওই আইনের ২৮(২) ধারায় বলা হয়েছে: যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদ-ে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদ-ে, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।


নোটিশে এহেন দ্বীন ইসলামবিরোধী পোষ্ট দেয়ার জন্য আমরা মানুষ ফাউন্ডেশনের সভাপতিকে এই নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে পবিত্র হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানানো হয়েছে। অন্যথায় শক্ত আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/10/%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae/

 রাস্তায় কুকুরের উপদ্রব থেকে সুরক্ষার দাবিতে আইনি নোটিশ

রাস্তায় কুকুরের উপদ্রব থেকে সুরক্ষার দাবিতে আইনি নোটিশ

রাস্তায় কুকুরের উপদ্রব থেকে সুরক্ষার দাবিতে আইনি নোটিশ

নিউজ ডেস্ক : রাস্তার কুকুরের উপদ্রপ থেকে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে কুকুর নিধন কার্যক্রম শুরু করার জন্য রাজধানীর সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা জর্জকোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মুহম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ নোটিশটি প্রেরণ করেন।


নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, জীবনরক্ষার অধিকার বাংলাদেশের নাগরিকগণের একটি মৌলিক অধিকার। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের জীবন ও দেহ সুরক্ষার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা হইতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না। সুতরাং বাংলাদেশের নাগরিকগণের জীবন ও দেহ সুরক্ষা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার বাস্তবায়নে আইনসঙ্গত যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিকগণের জীবন ও দেহ সুরক্ষা করা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের জন্য মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করা। সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখিত আছে: আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে। সুতরাং বাংলাদেশের নাগরিকগণের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা করা কেবল রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্বই নয়, বরং বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম মূল লক্ষ্যও বটে। সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদ বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরাকে জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে বেওয়ারিশ কুকুরের ধাওয়া, পথচারীদের ওপর কুকুরের হিংস্র আচরণ, ধারালো দাঁত দিয়ে শিশুসহ লক্ষ লক্ষ মানুষকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করার ঘটনা এবং সর্বোপরি কুকুরের কামড়ে গত বছরগুলোতে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় দেশবাসী এখন কুকুরের ভয়ে আতঙ্কিত।


নোটিশে উল্লেখ করা হয়, দেশজুড়ে লাখ লাখ বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতের কারণে দেশের নাগরিকগণ বর্তমানে দেশে অবাধে ও নির্ভয়ে চলাফেরা করার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৬৫ মানুষ কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিবছর কুকুরে কামড় খাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৪২ শতাংশই আবার শিশু, যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের হিসাব অনুযায়ী, সেখানে প্রতিদিন ঢাকা ও আশপাশের এলাকার দুই শতাধিক মানুষ কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। ২০১৮ সালে কুকুরের আক্রমণে আহত ৮১ হাজার রোগী সেবা নিয়েছেন হাসপাতালটিতে। ২০১৯ সালে রোগী ছিল ৭৬ হাজার। আর ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ৩৬ হাজার লোক কুকুরে আক্রমণের পর সেবা নিয়েছেন।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর সাড়ে ৩ লাখ লোক কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। ৬৪ জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে থাকা জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্রের প্রতিটিতে দিনে গড়ে ১৫ জন আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশব্যাপী কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত মানুষের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি।


নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশেই রাস্তায় বেওয়ারিশ কুকুর অবাধে ঘুরতে দেয়া হয় না। বেওয়ারিশ কুকুর নিরাপদ সড়কের বড় অন্তরায়। বিশেষ করে বহু সংখ্যক মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে রাস্তায় বেওয়ারিশ কুকুরের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের ভূমিকা রয়েছে। রাতের বেলায় রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরপালের মাত্রাতিরিক্ত চিৎকার-চেচামেচিতে ঘরের ভেতর অসুস্থ বোধ করছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা- যা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার ভীষণভাবে লঙ্ঘন করছে। বিভিন্ন গৃহপালিত প্রাণীকেও বেওয়ারিশ কুকুর কামড়ে আহত-নিহত করছে। ফলে অনেক খামারি-কৃষক শুধু ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছেন না, বরং আইনসঙ্গত পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের স্বাধীনতার মতো একটি সাংবিধানিক অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুড়িগ্রামে প্রায় এক মাসে কুকুরের কামড়ে ৪৩টি গরু ও আটটি ছাগল মারা গেছে। এর মধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নেই ২৩টি গরু মারা গেছে। একই সময়ে কুকুর ১০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে কামড়েছে। অতি সম্প্রতিও নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলায় কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারীসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ২০টি গরু-ছাগলকেও কামড়ে দিয়েছে কুকুর। গত ১ অক্টোবর ২০২০ থেকে ২ অক্টোবর ২০২০ এই দু’দিনে বড়াইগ্রাম উপজেলার গোয়ালফা ও জোয়ারী ইউনিয়নের কেল্লা গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।


নোটিশে প্রাণিকল্যাণ আইন উল্লেখে বলা হয়, প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯-এও সংবিধান প্রদত্ত জনগণের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯”-এর ৬(৪) ধারায় বলা হয়েছে: এই ধারার ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাণীর প্রতি নিম্নবর্ণিত আচরণ বা কার্য অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুর আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে না, যদি-


(ক) নিষ্ঠুরতাটি যৌক্তিকভাবে পরিহার বা হ্রাস করিবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়;


(খ) নিষ্ঠুরতাটি সৎ উদ্দেশ্যে, যেমন – উক্ত প্রাণি বা অন্য কোনো প্রাণির উপকার অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি বা অন্য কোনো প্রাণির প্রাণ সংশয়ের হুমকি নিরসনের জন্য করা হয়। অর্থাৎ নাগরিকদের “প্রাণ সংশয়ের হুমকি নিরসনের জন্য” অথবা তাদের পোষা বা পালিত প্রাণীর “প্রাণ সংশয়ের হুমকি নিরসনের জন্য” কুকুর নিধনের অধিকার প্রাণিকল্যাণ আইন, ২০১৯-এ দেয়া হয়েছে। রাস্তায় চলাচলসহ যাবতীয় নিরাপত্তা পাওয়া জনগণের মৌলিক অধিকার (সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদ)। রাস্তায় বেওয়ারিশ কুকুরের কারণে যদি নাগরিকের চলাচলে সমস্যা হয়, তবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব কুকুর নিধন করে জনগণের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা। তাই ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী কুকুরের উপদ্রবের দ্বারা বাংলাদেশের নাগরিকগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে কুকুর নিধনে কার্যকর ও আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। নাগরিক অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্র যেভাবে মশক নিধন কার্যক্রম গ্রহণ করে, একইভাবে নাগরিকগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় কুকুর নিধন কার্যক্রম গ্রহণ করাও রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের নাগরিকগণের কোনো আইনসঙ্গত অধিকার লঙ্ঘন হলে সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের “সকল নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। সুতরাং বাংলাদেশের নাগরিকগণের জীবন ও দেহ সুরক্ষা, ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার, চলাফেরার অধিকার কোনো কিছুর দ্বারা লঙ্ঘিত হলে তার প্রতিকারের জন্য বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক সাংবিধানিকভাবে আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী।


নোটিশে আগামী ৫ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বেওয়ারিশ কুকুর নিধন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজধানীর উভয় সিটি করপোরেশকে কার্যক্রম গ্রহণের আহবান জানানো হয়েছে। অনথ্যায় নোটিশদাতা উপযুক্ত আদালতে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন।

লিংক-https://bisshobarta24.com/2020/10/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ac-%e0%a6%a5/

 ফেসবুকে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি : ৭ বছরের কারাদণ্ড

ফেসবুকে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি

ফেসবুকে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি : ৭ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মামলায় পিরোজপুরের এক দর্জির ৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই দর্জির নাম- সুজন দে।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আশ-শামস জগলুল হোসেন রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার আগে সুজন দে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামিম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি সুজন দে-র বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। তিনি টেইলরের দোকানে দর্জির কাজ করত। ২০১৭ সালের ২০ মে আসামি তার ফেসবুক আইডিতে হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়। যা ৯৮% মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানে।

ওই ঘটনায় রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন সেলিম মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সুজন দের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ৭ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/10/%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87/

 পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যঃ ঢাবি শিক্ষককে লিগ্যাল নোটিশ

পবিত্র দ্বীন ইসলাম অবমাননাকর বক্তব্য প্রধান করায় ঢাবি শিক্ষককে লিগ্যাল নোটিশ

পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যঃ ঢাবি শিক্ষককে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুসলিমদের শুদ্ধ উচ্চারণকে নিন্দনীয়, বেয়াদবিপূর্ণ ও জঘন্য ব্যাখ্যা প্রদান করে এসবকে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত করায় অধ্যাপক, অপরাধতত্ত্ব বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়াউর রহমান কে লিগ্যাল নেটিশ পাঠিয়েছেন দৈনিক আল-ইহসান ও মাসিক আল-বাইয়্যিনাতের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম। সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট শেখ মুহম্মদ ওমর শরীফ আজ বৃহস্পতিবার নোটিশটি প্রেরণ করেন। আইনজীবী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি “ডিবিসি নিউজ” টেলিভিশন চ্যানেলের “উপসংহার” নামক টক শো-তে “ধর্মের অপব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদ” বিষয়ক আলোচনায় মুসলিমদের শুদ্ধ উচ্চারণে “আসসালামু আলাইকুম” বলা ও “আল্লাহ হাফেজ” বলাকে গর্হিত, নিন্দনীয়, বেয়াদবিপূর্ণ ও জঘন্য ব্যাখ্যা প্রদান করে এসবকে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়াউর রহমান।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে। “সালাম” আদান-প্রদান করা পবিত্র দ্বীন ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। সালাম আদান-প্রদানের জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফে বহুবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন, পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন:

– “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না।” [সূরা নূর, আয়াত ২৭]

– “যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে, তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এ হবে আল্লাহর নিকট হতে কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন।” [সূরা নূর, আয়াত ৬১]

নোটিশে আরো বলা হয়, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও মহানবী হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-উনাদের প্রদত্ত নির্দেশ ও শিক্ষা অনুযায়ী শুদ্ধভাবে “সালাম” দেওয়াকে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত গর্হিত, নিন্দনীয়, বেয়াদবিপূর্ণ ও জঘন্যভাবে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত করেছে। এসব মন্তব্যের দ্বারা বাংলাদেশের মুসলিমদের শুদ্ধভাবে ধর্মীয় ইবাদাত পালনের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করতে চেয়েছে। এই ধরনের মন্তব্য ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক। মন্তব্যসমূহ বাংলাদেশের মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করেছে।

নোটিশে আরো বলা হয়, “ডিবিসি নিউজ” টেলিভিশন চ্যানেলের “উপসংহার ” নামক টক শো-তে জিয়াউর রহমান ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অপরাধ করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ধারায় বলা হয়েছে:
(১) যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

একই আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে:
(১) যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

একইভাবে, এই মন্তব্যসমূহ বাংলাদেশের দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ২৯৫(ক) ধারার অধীনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
যেহেতু “ডিবিসি নিউজ” টেলিভিশন চ্যানেলের “উপসংহার” নামক টক শো-তে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। সেহেতু নোটিশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নোটিশদাতা মুসলিম শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা বিষয়ক আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চওয়ার জন্য বলেছেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের বেআইনি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার কথা বলেছেন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/10/%e0%a6%aa%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8-2/

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget