April 2020
১০০০কোটি টাকা ১২ রবিউল আউয়াল ৫০০ বিশিষ্ট নাগরিকের আহবান ৫৭ ধারায় ৬৩ দিন ৬৪জেলা ৭১টিভি ৯৯৯ bbc ntv অবমাননা অসাংবিধানিক আইজিপি আইন আইনমন্ত্রী আইনি নোটিশ আইপিএল আইমান ফোরম আওয়ামী ওলামা লীগ আদালত আল বাইয়্যনাত ইফা ইসকন ঈদে মিলাদুন্নবী ঈমান বাঁচানো ফাণ্ড ঈশার আযান বন্ধ একাত্তর টিভি এনটিভি এনায়েতআব্বাসী কটুক্তি কটূক্তি কড়িগ্রাম মসজিদ কমিটি করোনা করোনা ভাইরাস কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী কুরবানি নিষিদ্ধ কুরবানির পশু কুরবানী কুরবানীর হাট কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ কোরবানি ক্যাম্পেইন বন্ধে ক্লোজআপ কাছে আসার রিকশা গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গান-বাজনা গ্রহণযোগ্য নয় গ্রিক দেবী গ্রিক দেবীর মূর্তি চাঁদ দেখা চ্যালেঞ্জ ছবি জয় হিন্দ জররি সেবা জাতীয় পরিচয় পত্র জাফর ইকবাল জাফরুল্লাহ জিয়া জুয়া জেলা প্রশাসন ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিএমপি কমিশনার ডিওএইচএস পরিষদ ডিসি ঢাবি শিক্ষক ঢাবি শিক্ষক জিয়া তথ্যমন্ত্রী তদন্তে সিআইডি দাড়ি দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায় দেবী চলচ্চিত্র দৈনিক আল ইহসান দৈনিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বদেশ দ্বীন ইসলাম ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ন ডরাই নগ্নতা উৎসাহিত নবীজীর ম‌ানহানি নানীর বাণী-দ্য আরেফিন নিধার্রিত স্থানে নিষেধাজ্ঞা নুরুল ইসলাম সুজন নৌপরিবহন সচিব পবিত্র কাবা শরীফ পরিচালক পর্দা পশু জবাই পশুর হাট পহেলা বৈশাখ পাঠ করা পুবিত্র মিলাদ শরীফ পুলিশ সুপার পেীর মেয়র প্রকাশক প্রতিবাদ প্রতিবাদলিপি প্রদর্শনী প্রধান শিক্ষক প্রসাদ প্রসাশন প্রিয় নুসরাত প্রেসক্লাব ফিঙ্গার প্রিন্ট ফেরেশতা ফ্রান্স ফ্ল্যাট বগুড়া বালা-মুসিবত বাল্যবিবাহ বিপিএল বিবিসি বিবিসি বাংলা বোরকা-হিজাব বোরখা হাইকোর্টে রিট দায়ের বোরখা-হিজাব ভারত ভাস্কর্য ভোরের কাগজ মঙ্গল যাত্রা মজলিসু রইয়াতিল হিলাল মসজিদ মসজিদ অবমাননা মসজিদ ভাঙ্গা মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মাদরাসায় নৃত্য মাদ্রাসার বই মানহানি মানহানী মামলা মারজিয়া আক্তার শিলা- নরসিংদী মাস্ক ব্যবহার মাহমুদুল মাদানী মিলাদ শরীফ মুযাফফর মূর্তি মূর্তি নিয়ে অপব্যাখ্যা মূর্তি-ভাস্কর্য পক্ষের কথিত সাংবাদিকের যুক্তি খণ্ডন মোমবাতি প্রজ্জলন যুব আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত রমেক হাসপাতাল রাজারবাগ দরবার শরীফ রাজারবাগ শরীফ রাজ্জাক রাবি ভিসি রাসূলের অবমাননায় পূর্বদেশের বিরুদ্ধে মামলা রাস্তায় কুকুর রাস্তায় কুকুরের উপদ্রব রিট রুল রেল মন্ত্রী লকডাউন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৮ লিগ্যাল নোটিশ শবে বরাত শরীয়ত বিরোধী শান মুবারক শাবান মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রা সময় টিভি সম্পাদক সম্মিলিত ইসলামী জোট সরকারী সাইয়্যিদুল আইয়াদ ১২ শরীফ সুন্নতি সামগ্রী সুন্নতি সামগ্রী প্রদর্শনী সুপ্রিম কোর্ট স্কুলছাত্রী স্কুলে মন্ত্রপাঠ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ্জ পালন নিষিদ্ধ করায় প্রতিবাদলিপি হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম হাইকমিশনার হাইকোর্ট হাউজিং কমপ্লেক্স হাজরে আসওয়াদ হাজরে আসওয়াদকে মূর্তির হাদীস শরীফ হারাম হাসানুল হক ইনু হিউম্যান মিল্ক ভ্যাংক হিযাব

মসজিদে জামায়াত ও মুসল্লী সীমিত করার শরীয়তবিরোধী বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে ধর্মমন্ত্রীকে আইনী নোটিশ
শরীয়তবিরোধী বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে ধর্মমন্ত্রীকে আইনী নোটিশ

মসজিদে জামায়াত ও মুসল্লী সীমিত করার শরীয়তবিরোধী বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে ধর্মমন্ত্রীকে আইনী নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মসজিদে জামাত ও মুসল্লি সীমিত করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিকে নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন ও দেশের সব আলেমদের ঐকমত্যের দাবিকে ভুল দাবি করে ধর্মমন্ত্রীকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রাজধানীর মুহম্মদপুর তাজ জামে মসজিদের খতীব মুফতিয়ে আযম আল্লামা মুহম্মদ আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ সাহেবের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ এই নোটিশটি রোববার প্রেরণ করেছেন।
নোটিশে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে মসজিদে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরাসহ অনধিক ৫ জন ছাড়া অন্য সব মুসল্লিরা নিজ নিজ বাসায় নামাজ আদায় করবে ও জুমুয়ার জামাতে অনধিক ১০ জন ছাড়া অন্যরা ঘরে জোহরের নামাজ পড়বেন- এই নির্দেশনাকে খন্ডন করে বলা হয়েছে, জামায়াতের, বিশেষত জুমুয়ার নামাজের হুকুম কী হবে? কেননা জুমুয়ার নামাজ আদায় করা প্রত্যেক সুস্থ সাবালক পুরুষের ওপর ব্যক্তিগতভাবে ফরজ/ওয়াজিব।
আরও বলা হয়েছে, যে মহল্লায়/পাড়ায় জামে মসজিদ আছে এবং কোনো করোনা রোগী নেই কিংবা সন্দেহভাজন লোকও নেই- সেসব এলাকার সুস্থ সাবালক পুরুষদের জুমুয়ার নামাজের বাধ্যবাধকতা পরিত্যাগ করার মতো কোনো শরয়ী “ওজর” নেই, সুতরাং তারা জুমুয়ার নামাজ আদায় করতে হবে।
নোটিশে বলা হয়, বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সকল মত ও পথের ওলামাদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আপনি মসজিদে জামায়াত সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, দেশের অনেক আলেমগণ আপনাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্ধ ব্যক্তিকেও জামায়াত পরিত্যাগ করার অনুমতি দেননি। পবিত্র হাদীস শরীফে এসেছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “আমার প্রাণ যাঁর হাতে, তার শপথ করে বলছি, আমার ইচ্ছা হয় আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিই, আর নামাজের আজান দেওয়ার জন্য হুকুম দিই। তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করি, যেন সে লোকদের নামাজের ইমামতি করে। আর আমি ওই সব লোকদের দিকে যাই, যারা নামাজের জামায়াতে হাজির হয়নি এবং তাদের বাড়িঘরগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিই।” [সহীহ বুখারী শরীফ: ৬৪৪]
মসজিদে গিয়ে পবিত্র জুমুয়ার নামাজ আদায় করা প্রত্যেক সুস্থ সাবালক পুরুষের ওপর ব্যক্তিগতভাবে বাধ্যতামূলক; তবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য জুমুয়ার নামাজ বাধ্যতামূলক নয়। পবিত্র ইসলামী শরীয়াতে অসুস্থ ব্যক্তিকে মসজিদে না আসার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু কিছু ব্যক্তির অসুস্থতার কারণে বাকি সব সুস্থ মুসলিমের জুমুয়ার নামাজ পরিত্যাগ করার কোনো সুযোগ পবিত্র শরীয়াতে নেই।
সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, সুতরাং ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকারও রয়েছে। অথচ এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এই নোটিশ পাওয়ার ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে মসজিদে জামায়াত সীমিতকরণ সংক্রান্ত উক্ত সিদ্ধান্তসমূহ প্রত্যাহার করে নিতে ধর্মমন্ত্রীর নিকট দাবি করা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।

কক্সবাজারে গরু জবাই করায় অর্থদন্ড, জেলার ডিসিকে লিগ্যাল নোটিশ
জেলার ডিসিকে লিগ্যাল নোটিশ

কক্সবাজারে গরু জবাই করায় অর্থদন্ড, জেলার ডিসিকে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গরু জবাইকে সরকারি আদেশ অমান্যের অপরাধ আখ্যায়িত করে গরু জবাই করা ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করায় কক্সবাজার জেলার ডিসিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম। সুর্প্রীম কোর্টের আইনজীবি শেখ ওমর শরীফ ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল কক্সবাজার জেলার ডিসি গরু জবাই করায় এক ব্যক্তিকে জরিমানা করে তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেয় ‘আজ সরকারি আদেশ অমান্য করে গরু জবাই করার অপরাধে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। অনথ্যায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নোটিশে এই স্ট্যাটাসকে আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিকর আখ্যায়িত করে নোটিশদাতা বলেন, বাংলাদেশের কোনো আইনে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ নয়। করোনা পরিস্থিতিতেও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গরু জবাই নিষিদ্ধ করে কোনো প্রজ্ঞাপন/নির্দেশনা/আদেশ প্রদান করেনি। কক্সবাজার ছাড়া বাংলাদেশের অন্য ৬৩টি জেলার কোথাও এই ধরনের নিষেধাজ্ঞার কথা শোনা যায়নি।
নোটিশে সংবিধানের উদ্বৃত্তি দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ মোতাবেক “…আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহারলাভ যে কোন স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষতঃ আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোন ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।” সুতরাং সুনির্দিষ্ট আইন ছাড়া বাংলাদেশে গরু জবাই করার জন্য কাউকে শাস্তি প্রদান স্পষ্টই অসাংবিধানিক। বাংলাদেশে সংবিধানপরিপন্থী কোনো আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা এমনকি জাতীয় সংসদেরও নেই। সরকারি কোনো আদেশ/নিষেধ/নির্দেশনা কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশে প্রচলিত আইনের পরিপন্থী হতে পারবে না। এমতাবস্থায় আপনি কোন্ আইনে গরু জবাই করার কারণে শাস্তি দিলেন সেটা নিয়ে দেশব্যাপী সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। পার্শ্ববর্তী একটি দেশে উগ্র ধর্মান্ধরা গরু জবাই করলে বেআইনিভাবে মুসলিমদেরকে নিগৃহীত করে বলে বিশ্ব মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে খবর এসেছে। আপনি সেই দেশের উগ্র ধর্মান্ধদের কিংবা বাংলাদেশে তাদের তল্পিবাহকদেরকে খুশি করার এজেন্ডা কক্সবাজারে বাস্তবায়ন করছেন কিনা দেশের বিভিন্ন মহলে এমন বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হয়েছে।
নোটিশদাতা আরো বলেন, আমার মক্কেল বাংলাদেশের একজন সচেতন নাগরিক ও মানবাধিকার কর্মী। বাংলাদেশের একজন সম্মানিত নাগরিক হিসেবে কক্সবাজারে গরু জবাইয়ের কারণে শাস্তি দেওয়ার ঘটনায় আমার মক্কেল সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। দৃশ্যত আপনি গরু জবাইয়ের ক্ষেত্রে সংবিধানপরিপন্থী শাস্তি প্রদান করেছেন এবং গরু জবাই নিষিদ্ধ করে বেআইনি আদেশ জারি করেছেন। আপনি বাংলাদেশের নাগরিকদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে আপনার কাছে এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়।
নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধকরণের কথিত ‘আদেশ’ প্রত্যাহার, বেআইনিভাবে যাদের জরিমানা করা হয়েছে সসম্মানে তাদের অর্থ ফেরত এবং ডিসির নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়ার কথা নোটিশে বলা হয়। অনথ্যায় নোটিশদাতা আইনের আশ্রয় নিবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করেন।

 উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনাদের শান মুবারকে অবমাননাকর লেখা প্রকাশের দায়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা
৩ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

 উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনাদের শান মুবারকে অবমাননাকর লেখা প্রকাশের দায়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের মাধ্যমে মুসলমানগণের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত পূর্বদেশ পত্রিকার প্রকাশক শফিকুর রহমান, সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও লেখক লাভলী তালুকদারদের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ, ঢাকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন এ মামলা গ্রহণ করেন। তিনি সিআইডিকে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
‘বিশ্ববার্তা’র সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন জজ কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট ব্যারিষ্টার নূরুল আজম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, উক্ত ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ পত্রিকায় লিখিত ধারাবাহিক একটি প্রবন্ধে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনাদের শান মুবারকে অবমাননাকর লেখা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর পূর্বে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাদেরকে সতর্ক করে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক ও লেখককে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি অবমাননাকর মন্তব্যগুলো প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং পবিত্র দ্বীন ইসলামের অবমাননার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় নোটিশদাতা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
পত্রিকাটিতে প্রকাশিত অবমাননাকর বক্তব্যের জবাবে নোটিশে বলা হয়, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মুমিনীন আছ ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনাদের সম্পর্কে উল্লেখিত মন্তব্যসমূহ সম্পূর্ণ ভ্রান্ত, অপমানজনক ও আক্রমণাত্মক। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আবির্ভাবের বহু আগে থেকেই দাসপ্রথা সমাজে প্রচলিত ছিল। পবিত্র দ্বীন ইসলাম দাসদের প্রতি মানবিক আচরণের জন্য নতুন আইন করেন যেন সমাজে দাসদের মর্যাদা বাড়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা স্বাধীন হয়ে যায়।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীস শরীফ থেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে নোটিশে বলা হয়, সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শরীয়তে দাস সংক্রান্ত যেসব বিধান আছে, সেগুলোর ফলশ্রুতিতে দাসপ্রথা সমাজ থেকে ধাপে ধাপে উচ্ছেদের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
নোটিশদাতা বলেন, উক্ত লেখায় উম্মুল মুমিনীন হযরত আছ ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সম্পর্ক নিয়ে চরম অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে। নোটিশে বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রমাণ উপস্থাপন করে বলা হয়েছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আছ ছানিয়াহ আশার আলাইহাস সালাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবাতুল আযীম শরীফ (পবিত্র বিবাহ মুবারক) সম্পন্ন হয়েছিল। সুতরাং পত্রিকাটির অসত্য মন্তব্যের দ্বারা দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক ও লেখক মুসলমানগণদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত করেছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো সম্প্রদায়ের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত করাটা বাংলাদশে প্রচলিত দ-বিধির ২৯৫(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ডিজিটাল মাধ্যমে এমন দ্বীনি অবমাননামূলক তথ্য সম্প্রচার করাটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ধারার অধীনে অপরাধ।

ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর বই প্রকাশের দায়ে দিব্য প্রকাশ ও চারদিক প্রকাশনীকে লিগ্যাল নোটিশ
ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর বই প্রকাশ

ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর বই প্রকাশের দায়ে দিব্য প্রকাশ ও চারদিক প্রকাশনীকে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে দিব্য প্রকাশ ও চারদিক প্রকাশনীকে দুইটি পৃথক লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববার্তা পত্রিকার সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমানের পক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশসমূহে বলা হয়, “চারদিক” ও “দিব্য প্রকাশ” প্রকাশনী থেকে ব্রিটিশ লেখক ই. এইচ. গমব্রিখ রচিত “A Little History of the World” বইয়ের বাংলা অনুবাদ যথাক্রমে “অ্যা লিটল হিস্ট্রি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড” ও “পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস” নামে প্রকাশিত হয়েছে। চারদিক প্রকাশনীর বইটির অনুবাদক সৌরভ দাস এবং দিব্য প্রকাশের বইটির অনুবাদক আসমা সুলতানা ও কাজী মাহবুব হাসান। অনুবাদগ্রন্থ দুটিতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম এবং মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামকে অত্যন্ত অবমাননাকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বই দুটির বিংশ অধ্যায়ের প্রায় পুরোটাই অত্যন্ত অসম্মানজনক ভাষায় রচিত; ভুল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে ভরপুর। পবিত্র দ্বীন ইসলামের মহান নবীকে চরম অভদ্রভাবে কেবল “মুহম্মদ” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামে ব্যবহৃত “আল্লাহ” শব্দটি বাংলায় ব্যাপকভাবে প্রচলিত থাকা সত্ত্বেও “আল্লাহ”-কে “ঈশ্বর” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে। দিব্য প্রকাশের অনুবাদগ্রন্থে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামের পবিত্র নবুওয়তপ্রাপ্তিকে একটি জেগে দেখা স্বপ্ন ও কাল্পনিক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। চারদিক প্রকাশনীর অনুবাদে বলা হয়েছে, “কেউ যদি তাকে নবী হিসেবে মানতে অস্বীকার করে তাহলে তাকে হত্যা করাটাও মুহাম্মদের নিকট কোন অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো না।” অথচ ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, কেবল নবী হিসেবে অস্বীকার করলেই মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম কাউকে হত্যার নির্দেশ দেননি। বরং মদীনা সনদের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম মদীনায় বসবাসরত অমুসলিমদেরকেও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দিয়েছিলেন, অথচ মদীনার ওইসব অমুসলিম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামকে নবী হিসেবে স্বীকার করেনি।
এছাড়াও বই দুইটির আরো কিছু বিকৃত, ভুল ও অসম্মানজনক তথ্য খণ্ডন করে লিগ্যাল নোটিশ দুটিতে বলা হয়, অনুবাদগ্রন্থ দুটির এসব তথ্য ও বর্ণনার দায় নোটিশগ্রহীতাদের ওপরই বর্তাবে। কেননা নোটিশগ্রহীতারা ইচ্ছাকৃতভাবেই অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত ইহুদি ই. এইচ. গমব্রিখ-এর মতো ইসলামবিদ্বেষী লেখকের বইকে অনুবাদের জন্য বেছে নিয়েছেন। অনুবাদের ক্ষেত্রে সম্মানজনক শব্দ ব্যবহারের পূর্ণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নোটিশগ্রহীতারা সেটি করেননি, বরং তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামকে বিভিন্ন অবমাননাকর শব্দে উপস্থাপন করেছেন। মূল লেখকের ভুল, বিকৃত ও বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলো টীকা কিংবা ফুটনোট আকারে নোটিশগ্রহীতারা সংশোধন ও ব্যাখ্যা করতে পারতেন এবং সৎ অনুবাদের ক্ষেত্রে এটি তাদের দায়িত্বও ছিল। কিন্তু এসব কিছুই না করে নোটিশগ্রহীতারা অনুবাদগ্রন্থ দুটিতে অসম্মানজনক ভাষায় বহু ভুল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করেছেন।
নোটিশে দুটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ২৯৫(ক) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মানুসারীদের কোনো শ্রেণীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ও হিংসাকৃতভাবে লিখিত বা উচ্চারিত কথা দ্বারা সে শ্রেণীর ধর্মকে বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমানিত করে বা অপমানিত করার চেষ্টা করে, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অনুবাদগ্রন্থ দুটিতে নোটিশগ্রহীতারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম এবং মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামকে নিয়ে অত্যন্ত অসম্মানজনক ভাষায় বহু ভুল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে নোটিশদাতার দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন।
নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশগ্রহীতাগণ অনুবাদগ্রন্থ দুটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং বই দুটিতে অসম্মানজনক ভাষায় বহু ভুল, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় নোটিশদাতা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশসমূহে বলা হয়েছে।

মসজিদে আগমন সীমিত করতে বলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে লিগ্যাল নোটিশ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে লিগ্যাল নোটিশ

মসজিদে আগমন সীমিত করতে বলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘করোনা প্রতিরোধে মসজিদে মানুষ সীমিত আসাই ভালো’ -এই মন্তব্যের মাধ্যমে মুসলিমদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে শনিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ১৫ মার্চ ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলো, করোনা প্রতিরোধে মসজিদে মানুষ সীমিত আসাই ভালো।”
নোটিশে বলা হয়, নামাজ সকল মুসলিমের ওপর বাধ্যতামূলক ইবাদত এবং মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ আদায় করাও মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ থেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে নোটিশে বলা হয়, মহানবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্ধ ব্যক্তিকেও জামায়াত পরিত্যাগ করার অনুমতি দেননি। আরেক হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে, মহানবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামায়াত পরিত্যাগকারীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার মতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পবিত্র শরীয়তে যেখানে জামায়াতে নামাজ আদায়ের এত গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানুষকে মসজিদে আসতে নিরুৎসাহিত করছে!
নোটিশদাতা বলেন, সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, সুতরাং ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকারও রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে এবং সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে মুসলিমদের দ্বীন পালনের অধিকার নিয়ে এমন মন্তব্যে নোটিশদাতা সংক্ষুব্ধ হয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মসজিদে আগমন সংক্রান্ত মন্তব্যটি প্রত্যাহার করে নিতে হবে এবং পবিত্র দ্বীন ইসলামের অন্যতম ইবাদতকে অবমাননার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় নোটিশদাতা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়ায় ওয়ার্ড কমিশনারকে লিগ্যাল নোটিশ
হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়ায় ওয়ার্ড কমিশনারকে লিগ্যাল নোটিশ

হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেয়ায় ওয়ার্ড কমিশনারকে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন কামরাঙ্গীর চরের হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের খাবারের দোকান বন্ধ করে দেয়ায় ওই ওয়ার্ডের কমিশনার সাইদুল ইসলাম মাদবরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে বুধবার ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন রেজিস্টার্ড ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ২১ মার্চে একটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ নং ওয়ার্ড তথা কামরাঙ্গীর চরের সকল হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, বেকারি, কনফেকশনারি, ফুচকা-চটপটির দোকানসহ ছোট বড় সব ধরনের খাবারের দোকান পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা ভাইরাস এর কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক’ এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশন কিংবা উক্ত দুই সিটি কর্পোরেশনের অন্য কোনো ওয়ার্ডে এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
নোটিশে প্রশ্ন তোলা হয়, সরকারের সেই কথিত সিদ্ধান্তটি কি শুধু ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ নং ওয়ার্ডকে দেয়া হয়েছে? কামরাঙ্গীর চর এলাকায় বন্ধ করে দেয়া হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, বেকারি, কনফেকশনারি, ফুচকা-চটপটির দোকানসহ ছোট বড় সব ধরনের খাবারের দোকানগুলোর হাজার হাজার মালিক ও শ্রমিক এই অবস্থায় কিভাবে তাদের সংসারের খরচ চালাবেন? সরকার কি ওইসব মালিক ও শ্রমিকের জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না করেই এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদ মোতাবেক, বাংলাদেশে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো আইনসঙ্গত পেশা বা বৃত্তি-গ্রহণের এবং যে কোন আইনসঙ্গত কারবার বা ব্যবসায়-পরিচালনার অধিকার রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নিষেধাজ্ঞা ব্যতীত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা করতে না দেওয়াটা উক্ত নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ। এমনকি, সরকার যদি পরিস্থিতি বিবেচনায় কোনো সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েও থাকে, সেক্ষেত্রেও ওইসব ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, বেকারি, কনফেকশনারি, ফুচকা-চটপটির দোকানসহ ছোট বড় সব ধরনের খাবারের দোকানগুলোর মালিক-শ্রমিকদের জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম জীবিকার ব্যবস্থা করাও সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সরকারের কথিত যে সিদ্ধান্তটির দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে ৫৭ নং ওয়ার্ডের কমিশনার ওই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন, সেটিরও কোনো খবর অন্য কোথাও পাওয়া যায়নি।
নোটিশদাতা বলেন, ওয়ার্ড কমিশনারের সেই সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার মালিক-শ্রমিক ও তাদের পরিবারগুলোর অসহায় পরিস্থিতিতে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত ও সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। এই অবস্থায় এই নোটিশ পাওয়ার ২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে ওয়ার্ড কমিশনারকে সরকারের সেই সিদ্ধান্তপত্রটি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে – যার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ওই গণবিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মালিক-শ্রমিকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা কী কী নেয়া হয়েছে এবং কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না নিয়ে থাকলে কেন নেয়া হয়নি – সেটার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে নোটিশে। ক্ষতিগ্রস্ত মালিক-শ্রমিকদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিতে না পারলে গণবিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করে ৫৭ নং ওয়ার্ডের হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের খাবারের দোকান পুনরায় খুলে দিতে লিগ্যাল নোটিশটিতে আহবান জানানো হয়েছে।

ইসলামকে অবমাননার দায়ে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা মনিরুজ্জামান রাব্বানীকে লিগ্যাল নোটিশ
মাওলানা মনিরুজ্জামান রাব্বানীকে লিগ্যাল নোটিশ

ইসলামকে অবমাননার দায়ে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা মনিরুজ্জামান রাব্বানীকে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মসজিদ ও টুপি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের মাধ্যমে দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা মনিরুজ্জামান রাব্বানীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মাসউদুজ্জামান ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ২৩ মার্চ ডিবিসি নিউজ চ্যানেলের টক শো “রাজকাহন”-এর একটি পর্বে মাওলানা মনিরুজ্জামান রাব্বানী মসজিদে নামাজ আদায়, হুজুর পাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের টুপি পরিধান ও ইসলামে গণজমায়েতের বিধান নিয়ে মনগড়া ও আপত্তিকর মন্তব্য প্রদান করেন। সেই টক শোতে মাওলানা মনিরুজ্জামান বলেছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম মুজিজা হলো যে, উনার উম্মতের জন্য সমস্ত জমিনই মসজিদ। ঘরও মসজিদ, বিছানাও মসজিদ।
নোটিশে বলা হয়, মাওলানা মনিরুজ্জামান এই বক্তব্যের মাধ্যমে পবিত্র হাদীস শরীফের অপব্যাখ্যা করেছেন। পবিত্র হাদীস শরীফের প্রকৃত অর্থ হলো, সমস্ত জমিনই নামাজ পড়ার মতো পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন – যদি না অপবিত্রতা ও অপরিচ্ছন্নতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়। এই হাদীস শরীফ দ্বারা ঘরে নামাজ পড়াকে মসজিদে নামাজ পড়ার সমতুল্য বোঝানো হয়নি। বরং মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ আদায় করাও মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ থেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে নোটিশে বলা হয়, মহানবী হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধ ব্যক্তিকেও জামায়াত পরিত্যাগ করার অনুমতি দেননি। আরেক হাদীসে এসেছে, মহানবী হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামায়াত পরিত্যাগকারীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার মতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সেই টক শোতে মাওলানা মনিরুজ্জামান আরো বলেছিলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম টুপিটা এজন্য পরেছেন যে, বছরে কোনো এক সময়ে একটা বাতাস আসতে পারে, যে বাতাসটা মানুষের মেধার জন্য অনেক সময় খুব ক্ষতিকর হয়ে যায়, বা অসুস্থতার একটা কারণ হয়। এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম টুপি পরতেন।”
মনিরুজ্জামানের এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নোটিশে বলা হয়, তাঁর এই বক্তব্য সম্পূর্ণই মনগড়া ও বিকৃত। টুপি পরার পবিত্র সুন্নত সন্বন্ধে ইসলামী কিতাবসমূহে এমন কোনো বর্ণনা নেই। এই মন্তব্যের দ্বারা পবিত্র সুন্নতকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে।
মনিরুজ্জামান সেদিনের টক শোতে আরো বলেছিলেন, গণজমায়েতের কোনো বিধান ইসলামে নেই।
নোটিশে বলা হয়, এই মন্তব্যের দ্বারা পবিত্র দ্বীন ইসলামের জামায়াত, জুমআর নামাজ, জানাজার নামাজ, পাঠচক্র, বয়ান ইত্যাদি সম্বন্ধে মনিরুজ্জামানের চরম অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে।
নোটিশদাতা বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাটা বাংলাদশে প্রচলিত দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ডিজিটাল মাধ্যমে এমন ধর্মীয় অবমাননামূলক তথ্য সম্প্রচার করাটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ধারার অধীনে অপরাধ। মাওলানা মনিরুজ্জামান মসজিদ, টুপি ও গণজমায়েত নিয়ে বিকৃত ও অজ্ঞতাপ্রসূত মন্তব্য করে নোটিশদাতার দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে মাওলানা মনিরুজ্জামানকে সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে তাঁর উল্লেখিত মন্তব্যগুলো প্রত্যাহার করতে হবে এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে ধর্ম অবমাননামূলক মন্তব্য আর করবেন না—এমন প্রতিশ্রুতি দিতেও মাওলানা মনিরুজ্জামানকে আহবান জানানো হয়েছে। অন্যথায় নোটিশদাতা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

ইসলাম অবমাননার দায়ে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী, মসজিদের খতীব, চিকিৎসক, অধ্যাপকসহ বেশ কয়েকজনকে লিগ্যাল নোটিশ
অধ্যাপকসহ বেশ কয়েকজনকে লিগ্যাল নোটিশ

ইসলাম অবমাননার দায়ে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী, মসজিদের খতীব, চিকিৎসক, অধ্যাপকসহ বেশ কয়েকজনকে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অবমাননা করায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, মসজিদের খতীব, চিকিৎসক, অধ্যাপককে রোববার দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে পৃথক পৃথক লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মাসুদুজ্জামান এবং এডভোকেট ওমর শরীফের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে প্রেরণ করা হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মসজিদসমূহে জামাত বন্ধের আহবান জানানোর মাধ্যমে দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের উপস্থাপিকা শারমিন চৌধুরী, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, কাওরানবাজারের আম্বরশাহ শাহী জামে মসজিদের খতিব মাও. মাজহারুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ আবুল কালাম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ সহ অন্যান্য ১৭ জন চিকিৎসককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
উক্ত লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ২ এপ্রিল প্রচারিত ডিবিসি নিউজ চ্যানেলের টক শো “রাজকাহন”-এর শিরোনাম ছিল ‘মক্কা মদিনায় জামাত নেই, বাংলাদেশে কেন?’ সেই টক শো-তে উপস্থাপিকা শারমিন চৌধুরী বারবারই দাবি করেছে যে, পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মসজিদুল হারাম শরীফ ও পবিত্র মদিনা শরীফ উনার মসজিদে নববী শরীফে জামাতে নামাজ আদায় বন্ধ হয়ে গেছে, সুতরাং বাংলাদেশেও মসজিদসমূহে জামাত বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি টকশোতে উপস্থিত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, কাওরানবাজারের আম্বরশাহ শাহী জামে মসজিদের খতিব মাও. মাজহারুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ আবুল কালাম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহও একই দাবী করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মক্কা শরীফের মসজিদুল হারাম শরীফ ও পবিত্র মদিনা শরীফ উনার মসজিদে নববী শরীফের বাইরের চত্বরে নামাজ পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। মূল মসজিদসমূহে জামায়াত কিংবা জুমার নামাজ কোনোটাই বন্ধ হয়নি। বিবিসি বাংলাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সঠিক সংবাদটি এসেছে।
নোটিশে বলা হয়, নামাজ সকল মুসলিমের ওপর বাধ্যতামূলক ইবাদত এবং মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ আদায় করাও মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিগ্যাল নোটিশে পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ থেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে নোটিশে বলা হয়, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্ধ ব্যক্তিকেও জামায়াত পরিত্যাগ করার অনুমতি দেননি। আরেক হাদীছ শরীফে এসেছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামায়াত পরিত্যাগকারীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার মতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মসজিদে গিয়ে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করা সকল মুসলিমের ওপর ব্যক্তিগতভাবে বাধ্যতামূলক। তবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য জুমার নামাজ বাধ্যতামূলক নয়। পবিত্র ইসলামী শরীয়াতে অসুস্থ ব্যক্তিকে মসজিদে না আসার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু কিছু ব্যক্তির অসুস্থতার কারণে বাকি সব সুস্থ মুসলিমের জুমার নামাজ পরিত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই।
নোটিশদাতা বলেন, সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম, সুতরাং ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকারও রয়েছে। অথচ শারমিন চৌধুরীসহ টকশোতে উপস্থিত অন্যান্যরা মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। পবিত্র মক্কা-মদিনা শরীফ উনাদের মসজিদ নিয়েও সে মিথ্যাচার করেছে। মসজিদে নামাজ বন্ধের পাঁয়তারা করার মাধ্যমে টকশোতে উপস্থিত সকলেই নোটিশদাতার দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।
নোটিশদাতা বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাটা বাংলাদশে প্রচলিত দ-বিধির ২৯৫(ক) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ডিজিটাল মাধ্যমে এমন ধর্মীয় অবমাননামূলক তথ্য সম্প্রচার করাটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ধারার অধীনে অপরাধ।
নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে টকশোতে উপস্থিত উক্ত সকলকেই সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে তার উল্লেখিত মন্তব্যগুলো প্রত্যাহার করতে হবে এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে দ্বীন ইসলাম নিয়ে অবমাননামূলক মন্তব্য আর করবে না- এমন প্রতিশ্রুতি দিতেও শারমিন চৌধুরীকে আহবান জানানো হয়েছে। অন্যথায় নোটিশদাতা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশের মৃত্যুহার নিয়ে অতিরঞ্জিত ও ভুল বক্তব্য দেয়ায় লিগ্যাল নোটিশ
বাংলাদেশের মৃত্যুহার নিয়ে অতিরঞ্জিত ও ভুল বক্তব্য দেয়ায় লিগ্যাল নোটিশ

বাংলাদেশের মৃত্যুহার নিয়ে অতিরঞ্জিত ও ভুল বক্তব্য দেয়ায় লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দৈনিক সমকালের প্রথম পাতায় প্রকাশিত “মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ ইতালির কাছাকাছি” শীর্ষক ভুল, অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দৈনিক সমকাল প্রত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, বার্তা সম্পাদক এবং প্রতিবেদক রাজবংশী রায়কে মঙ্গলবার দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মুহম্মদ মাসুদুজ্জামানের পক্ষ থেকে প্রেরণ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দৈনিক সমকালের প্রথম পাতায় লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশিত “মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ ইতালির কাছাকাছি” শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে প্রতিবেদনের বক্তব্যগুলো পরস্পরবিরোধী ও বিভ্রান্তিকর। যেমন, আপনারাই লিখেছেন যে, বাংলাদেশে পরীক্ষার পরিধি বাড়ানো হলে আরও আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হবে। অর্থাৎ আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে যে পরিমাণ রোগী আছে, তা এখনো পুরোপুরি শনাক্ত হয়নি।
আবার আপনারাই পরবর্তীতে সেই কম সংখ্যক শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যার সাথে মৃত রোগীর সংখ্যার শতকরা হার নির্ণয় করেছেন। যেখানে রোগী কম শনাক্ত হয়েছে, সেখানে মৃত রোগীর সংখ্যার তুলনা করলে মৃত্যুর হার তো বেশি হবেই। কেননা করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যাটি সরকার কর্তৃক যথাযথভাবেই প্রকাশিত হচ্ছে।
এভাবে আপনাদেরই স্বীকৃত একটি ভুল সংখ্যাকে ভিত্তি ধরে আপনারা বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে রোগী মৃত্যুর হার বের করেছেন এবং সেটাকে পত্রিকার লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশ করেছেন। অথচ এই ধরনের ভুল তথ্যের কারণে জনমনে অহেতুক আতংক সৃষ্টি হতে পারে এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে বিভ্রান্তির শিকার হতে পারেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে মৃত রোগীর হারের সাথে ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্যের মৃত্যুর হারের তুলনা তখনই যথাযথ হতো যদি বাংলাদেশেও ওইসব দেশের মতো পর্যাপ্ত শনাক্তকরণ হতো। যথাযথ তথ্য না থাকা অবস্থায় এই ধরনের তুলনার মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হারটি অতিরঞ্জিত হয়েছে। এই ধরনের ভুল, অতিরঞ্জিত ও অসমর্থিত তথ্যকে সংবাদ শিরোনাম বানানোর মাধ্যমে দৈনিক সমকাল দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে গুজব কিংবা অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ না করার জন্য সরকারের তরফ থেকে বারবার গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় দৈনিক সমকাল-এর উল্লেখিত প্রতিবেদনটি দেশের পরিস্থিতিকে অহেতুক ঘোলাটে করে ফেলতে পারে। বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী অনুযায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য প্রদান করা একটি দ-নীয় অপরাধ।
নোটিশটিতে নোটিশগ্রহীতাদেরকে এ ধরণে প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতে এমন এমন বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন আর প্রকাশ করবেন না- এমন প্রতিশ্রুতির দাবি জানানো হয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget