ঈমানী চেতনার উন্মোচন

Latest Post
১০০০কোটি টাকা ১২ রবিউল আউয়াল ৫০০ বিশিষ্ট নাগরিকের আহবান ৫৭ ধারায় ৬৩ দিন ৬৪জেলা ৭১টিভি ৯৯৯ bbc ntv অবমাননা অসাংবিধানিক আইজিপি আইন আইনমন্ত্রী আইনি নোটিশ আইপিএল আইমান ফোরম আওয়ামী ওলামা লীগ আদালত আল বাইয়্যনাত ইফা ইসকন ঈদে মিলাদুন্নবী ঈমান বাঁচানো ফাণ্ড ঈশার আযান বন্ধ একাত্তর টিভি এনটিভি এনায়েতআব্বাসী কটুক্তি কটূক্তি কড়িগ্রাম মসজিদ কমিটি করোনা করোনা ভাইরাস কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী কুরবানি নিষিদ্ধ কুরবানির পশু কুরবানী কুরবানীর হাট কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ কোরবানি ক্যাম্পেইন বন্ধে ক্লোজআপ কাছে আসার রিকশা গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গান-বাজনা গ্রহণযোগ্য নয় গ্রিক দেবী গ্রিক দেবীর মূর্তি চাঁদ দেখা চ্যালেঞ্জ ছবি জয় হিন্দ জররি সেবা জাতীয় পরিচয় পত্র জাফর ইকবাল জাফরুল্লাহ জিয়া জুয়া জেলা প্রশাসন ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিএমপি কমিশনার ডিওএইচএস পরিষদ ডিসি ঢাবি শিক্ষক ঢাবি শিক্ষক জিয়া তথ্যমন্ত্রী তদন্তে সিআইডি দাড়ি দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায় দেবী চলচ্চিত্র দৈনিক আল ইহসান দৈনিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বদেশ দ্বীন ইসলাম ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ন ডরাই নগ্নতা উৎসাহিত নবীজীর ম‌ানহানি নানীর বাণী-দ্য আরেফিন নিধার্রিত স্থানে নিষেধাজ্ঞা নুরুল ইসলাম সুজন নৌপরিবহন সচিব পবিত্র কাবা শরীফ পরিচালক পর্দা পশু জবাই পশুর হাট পহেলা বৈশাখ পাঠ করা পুবিত্র মিলাদ শরীফ পুলিশ সুপার পেীর মেয়র প্রকাশক প্রতিবাদ প্রতিবাদলিপি প্রদর্শনী প্রধান শিক্ষক প্রসাদ প্রসাশন প্রিয় নুসরাত প্রেসক্লাব ফিঙ্গার প্রিন্ট ফেরেশতা ফ্রান্স ফ্ল্যাট বগুড়া বালা-মুসিবত বাল্যবিবাহ বিপিএল বিবিসি বিবিসি বাংলা বোরকা-হিজাব বোরখা হাইকোর্টে রিট দায়ের বোরখা-হিজাব ভারত ভাস্কর্য ভোরের কাগজ মঙ্গল যাত্রা মজলিসু রইয়াতিল হিলাল মসজিদ মসজিদ অবমাননা মসজিদ ভাঙ্গা মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মাদরাসায় নৃত্য মাদ্রাসার বই মানহানি মানহানী মামলা মারজিয়া আক্তার শিলা- নরসিংদী মাস্ক ব্যবহার মাহমুদুল মাদানী মিলাদ শরীফ মুযাফফর মূর্তি মূর্তি নিয়ে অপব্যাখ্যা মূর্তি-ভাস্কর্য পক্ষের কথিত সাংবাদিকের যুক্তি খণ্ডন মোমবাতি প্রজ্জলন যুব আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত রমেক হাসপাতাল রাজারবাগ দরবার শরীফ রাজারবাগ শরীফ রাজ্জাক রাবি ভিসি রাসূলের অবমাননায় পূর্বদেশের বিরুদ্ধে মামলা রাস্তায় কুকুর রাস্তায় কুকুরের উপদ্রব রিট রুল রেল মন্ত্রী লকডাউন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৮ লিগ্যাল নোটিশ শবে বরাত শরীয়ত বিরোধী শান মুবারক শাবান মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রা সময় টিভি সম্পাদক সম্মিলিত ইসলামী জোট সরকারী সাইয়্যিদুল আইয়াদ ১২ শরীফ সুন্নতি সামগ্রী সুন্নতি সামগ্রী প্রদর্শনী সুপ্রিম কোর্ট স্কুলছাত্রী স্কুলে মন্ত্রপাঠ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ্জ পালন নিষিদ্ধ করায় প্রতিবাদলিপি হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম হাইকমিশনার হাইকোর্ট হাউজিং কমপ্লেক্স হাজরে আসওয়াদ হাজরে আসওয়াদকে মূর্তির হাদীস শরীফ হারাম হাসানুল হক ইনু হিউম্যান মিল্ক ভ্যাংক হিযাব

 

কাবা শরীফ, মদিনা শরীফ ও আল-আকসা মসজিদের ছবি সম্বলিত জায়নামাজ আমদানি ও উৎপাদন বন্ধের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্ট


Reporter Name
  •  আপডেট Tuesday, April 23, 2024 
  •  
  •  130 জন দেখেছে

মুহম্মদ আবুল বাশার :: সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।সাইয়্যিদুল মুরসালীন নুরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দরুদ শরীফ ও সালাম।সম্মানিত পবিত্র কাবা শরীফ, মদিনা শরীফ ও আল-আকসা মসজিদের ছবি সম্বলিত জায়নামাজ আমদানি ও উৎপাদন বন্ধের আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এই আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
(২১-শে এপ্রিল) ইয়াওমুল আহাদ (রবিবার) বিচারক মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারক আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোঃ ইলিয়াস আলী মন্ডল।গত ২৯ জানুয়ারি পবিত্র কাবা শরীফ, মদিনা শরীফ ও আল-আকসা মসজিদের ছবি সম্বলিত জায়নামাজ বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন দৈনিক আল ইহসান পত্রিকার বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহম্মদ আরিফুর রহমান। গত ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে রিট দাখিল করা হয়। এতে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।এর আগে পবিত্র কাবা শরীফ, মদিনা শরীফ ও আল-আকসা মসজিদের ছবি সম্বলিত জায়নামাজ বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনে সায় না দেওয়ায় রিট করেন সাংবাদিক মুহম্মদ আরিফুর রহমান।উল্লেখ্য, পবিত্র কাবা শরীফ, মদিনা শরীফ ও মসজিদের ছবি সংযুক্ত জায়নামাযে নিচে রেখে নামায পড়া,নিচে রেখে বসা, দাঁড়ানো,মেঝেতে রেখে উপর দিয়ে হাটা,সম্মানিত ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়িজ ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের সামিল।অতএব, যিনি খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব নুরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিদর্শন সমুহের প্রতি সম্মান করা আবশ্যক।

লিংক-https://bijoybanglatv.com/%E0%A6%AA%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AB-%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%B0/

সম্মানীত বাল্য বিবাহ উনার বিরুধীতা করা করা কাট্টা হারাম ও কুফুরি

হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে, বাল্য বিবাহ করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অর্ন্তভূক্ত। সম্মানীত বাল্য বিবাহ উনার বিরুধীতা করা করা কাট্টা হারাম ও কুফুরি । ইসলামী শরীয়তে , সম্মানীত বাল্য বিবাহ করা কারোর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় নি বা বাধ্যতা মূলক করা হয়নি।

এটা মুসলমনাদের জন্য একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় । কিন্তু সম্মানীত বাল্য বিবাহের বিরুধীতা করা কাট্টা হারাম ও কুফুরি ।  কেনন, এটা সাইয়্যিদুল মুরসালীন , ইমামুল মুরসালীন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানীত সুন্নত মুবারক । আর সম্মানীত সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ কথা বার্তা বলা হারাম ও ঈমান নষ্টের কারণ ।

 সম্মানীত বাল্য বিবাহ সুন্নত মুবারক হওয়া স্বত্তেও কাফির মুশরিদের এজেন্ট ইহুদীদের পা চাটা গোলামরা সম্মানীত বাল্য বিবাহ উনার খিলাফ কথা বার্তা বলে যাচ্ছে  ও সরকারী ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে ও জেল জরিমানা করা হচ্ছে । নাউযুবিল্লাহ ।

 এই কাফির মুশরিকদের ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে , ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আইনী কার্যক্রমের মাধ্যমে রিট করে সম্মানীত বাল্যবিবাহ সুন্নত মাবারক সকল মুসলমানদের জন্য জারি করছেন ।

আর যেন, কাফির মুশরিকরা ও তার দোসররা সম্মানীত এই সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ কাজ না করতে পারে ।

 এই আইনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে ,মামদূহ হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে যাচ্ছেন ও মুসলমানদের ঈমান হিফাযত করে যাচ্ছেন ।

 তাই আমরা মুসলমান হিসেবে ফরয ওয়াজীব হচ্ছে , ঈমান বাঁচনো কার্যক্রমে আর্থিক ভাবে সর্বোচ্চ শরীক থাকা। আসুন আমরা ঈমান বাঁচানো ফাণ্ডে শরীক হই ।

বিকাশ এজেন্ট- 01709672605

আমাদের আইনী কার্যক্রম গুলো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- ecu09.blogspot.com

 


মুজাদ্দিদে আ’যম, ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত হযরত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত-
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম

ঐতিহাসিক এক অভূতপূর্ব আজিমুশ্বান তাজদীদ মুবারক
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মুসলমানদের প্রতি হিংসাবশত অধিকাংশ আহলে কিতাব তথা ইহুদী-নাছারা চায় ঈমান আনার পর পুনরায় তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে দিতে।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ: ১০৯)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দেবার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেনীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোনো বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা কোর্টকে ব্যবহার করছে যার প্রমাণ এখন অনেক দেশে রয়েছে। 
বর্তমান সময়ের যিনি সম্মানিত ইমাম ও মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলাহ্ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি কাফির-মুশরিক এবং সাম্রাজ্যবাদীদের এইসব অপকৌশল সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত। তিনি এই বাংলাদেশের আদালতে চাপিয়ে দেয়া বৃটিশ বেনিয়াদের রচিত মনগড়া আইনের ফাঁকফোকর জেনে তাদের তৈরি অস্ত্র প্রয়োগ করেই এদের প্রতিহত করার জন্য শুরু করেন “আইনী প্রক্রিয়া কার্যক্রম”। এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমান উনাদের আকিদা বিশুদ্ধ করে ঈমান হিফাজত করা। সুবহানাল্লাহ। 
এই প্রক্রিয়াটি যেমনি ব্যয়বহুল তেমনি কস্টসাধ্য। কেননা সম্পূর্ণ বিপরীত ¯্রােতে হেঁটে এখানে কার্যক্রম চালানোর জন্য যেমনি প্রয়োজন ছিল দক্ষ এবং ইসলাম উনার অনুশাসন উপলব্ধিকারী আইনীজিবী তেমনি প্রয়োজন ছিল কার্যক্রম সঞ্চালনের জন্য লোকবল। কিন্তু যেহেতু সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার দ্বারা সকল অসাধ্য কাজও সম্পূর্ণ করিয়ে নিচ্ছেন। 
আপনাদের উপলব্ধির স্বার্থে নীচে বিশেষ কিছু আইনী কার্যক্রমের তালিকা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হল। এখান থেকে অনেক বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে সফলতা অর্জিত হয়েছে এবং অন্য অনেক বিষয়ে কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। 
উল্লেখ্য যে, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলাহ্ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশনায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ হাইকোর্টে বহুসংখ্যক রিট ও নি¤œ আদালতে মামলা দায়ের এবং অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়। তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় নি¤েœ তুলে ধরা হলো।

1. উচ্চ স্বরে গান-বাজনা বন্ধে সারা বাংলাদেশের মহানগর পুলিশকে জাস্টিস ডিমান্ডিং নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশ পাঠানোর এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রেস কনফারেন্স করে মিডিয়াতে সারাদেশে উচ্চ স্বরে গান-বাজনা নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে বিশেষভাবে জানানো হয়।
2. কথিত বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম বেপর্দা বেহায়াপনা বিস্তারে ‘কাছে আসার রিক্সা’ ক্যাম্পেইন বন্ধ করতে ইউনিলিভারকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়। 
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর দু’দিনের মধ্যে তারা জানায় যে, ক্যাম্পেইনটি আর হচ্ছে না অর্থাৎ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
3. “দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়” নামক সুন্দরী প্রতিযোগীতা বন্ধে লাক্স-চ্যানেল আইকে সারা দেশ থেকে প্রায় ২০টি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটির জবাব পাঠিয়েছে। জবাবে জানায়, মানুষ চায় বলে তারা এমন আয়োজন করেছে।
4. নূরানীবাদ জেলার বেলাবোতে আমাদের মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার জন্য সাইনবোর্ড খুলে ফেলে এবং ইউএনও ও ওসির অন্যায় হুমকি ধামকির প্রতিবাদে আমাদের পক্ষ থেকে সরকারী আইনজীবির মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। আইনী নোটিশ পেয়ে সেখানকার ইউ.এন.ও এবং ওসি চুপসে যায়। স্থানীয় এমপি তাদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদ থাকবে মর্মে ঘোষণা দেয়।
5. পবিত্র কুরবানীর হাট বিষয়ক প্রেসক্লাবে কনফারেন্স করে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেয়ায় পবাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পবা নোটিশের জবাব পাঠায়, তারা এ বিষয়ে সচেতন ও সর্তক হয়।
6. পবিত্র কুরবাণীর পশুর চামড়া মাদ্রাসার ইয়াতিমগণের হক্ব হওয়া সত্যেও এ নিয়ে এলাকার সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসীপনা প্রবল আকার ধারন করলে তা রুখতে আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও ঢাকা শহরের সকল থানায় বিশেষ আইনী নোটিশ পাঠানো হয়। আইনী নোটিশ পাঠানোর ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সন্ত্রাসীদের আস্ফলন উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে লক্ষ্যনীয় হয়নি। সন্ত্রাসীরা   অত্যন্ত ভীত হয়। প্রশাসনও সক্রিয় হয়।
7. বাংলা নববর্ষ পালন নিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্পর্কে দলিলবিহীন, মনগড়া, ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদান করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির করার জন্য তাকওয়া মসজিদের খতিব মুফতি উসামা ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পেয়ে উক্ত তাকওয়া মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ তাকে তার খতিব পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।
8. মহা সম্মানিত এবং মহা পবিত্র ১২ই শরীফ উৎযাপনে প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া এবং একইসাথে পবিত্র রবিউল আউওয়াল শরীফ মাসে যেন কোন প্রকার দ্বীন ইসলাম উনার শরীয়ত বিরোধী হারাম নাজাযেজ কর্মকান্ড না করা হয় পাশাপাশি সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাসব্যাপী যেন বিশেষভাবে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উৎযাপন করা হয় তা নিশ্চিত করতে এসব বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী, সংষ্কৃত মন্ত্রী, ধর্ম মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী ও এসব মন্ত্রণালয়ের সচিবদেরকে রিপ্রেজেন্টেটিভ লেটার পাঠানো হয়।  সরকার একটি গেজেট প্রকাশ করে যে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে  ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে হবে। সুবহানাল্লাহ!
9. মহা সম্মানিত এবং মহা পবিত্র ১২ই শরীফ অর্থাৎ সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ পালন করা বিদআদ বলে যেসব ওলামায়ে ছু প্রচার করে তাদেরকে (৫জন) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ প্রদাতার পক্ষে আইনজীবির মোবাইলে ফোন করে ভুল হয়েছে মর্মে ক্ষমা চেয়েছে।
10. ‘বাল্য বিবাহ রোধে চাই সামাজিক প্রতিরোধ’ শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় এক মতামতে লেখা হয়, “যে পরিবার তাদের সন্তানকে বাল্য বিবাহ করাবে সেই পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে করে রাখতে হবে। তাতে তারা অনুতপ্ত হবে এবং অন্যরা শিক্ষা নেবে।” খাস সুন্নত বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে লেখা ছাপানোর অভিযোগে ইত্তেফাক পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক ও লেখককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।  লেখক ক্ষমা চেয়ে জবাব পাঠিয়েছে এবং বলেছে, ভবিষ্যৎ-এ সে কখনো এমন লিখনী আর লিখবে না। সর্তক থাকবে।
11. ওয়াজ মাহফিলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ ডিমান্ডিং জাষ্টিস পাঠানো হয়েছে।  নির্বাচন কমিশন ওয়াজ মাহফিলের ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
12. মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনসের ‘সিক্রেট পার্টি’তে অশ্লীলতা নিয়ে ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আই ফোরামের প্রতিষ্ঠাতাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তাদের অফিসিয়াল ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ক্ষমা চেয়েছে।
13. বিপিএল ও আইপিএল ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে জুয়া খেলা বন্ধ করতে এবং একই সাথে বিদেশে টাকা পাচার রোধে জাস্টিস ডিমান্ডিং নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয় সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, সকল বিভাগের মেট্টো পলিটন পুলিশ কমিশনার ও পুলিশের আইজিপিসহ ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহম্মদ সামীউল হক ও রোকন উদ্দিন মুহম্মদ ফারুক রিট করলে হাইকোর্ট ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবের সকল প্রকার জুয়া খেলা নিষিদ্ধ ঘোষনা করে রায় দিয়েছে।
14. পবিত্র ইশার নামাজের আযান বন্ধ করে অশ্লিল নৃত্য অনুষ্ঠান চালানোর অভিযোগে  বরিশালের বানারীপাড়ার পৌর মেয়রকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পৌর মেয়র দাবি করে যে, সংবাদে যেভাবে বলা হয়েছে, বাস্তবে তা সঠিক নয়। তাছাড়া পৌর মেয়র বিষয়টিতে জরীত ছিলনা বলে দাবি করে। তার পরেও পৌর মেয়র দুঃখ প্রকাশ করে আইনজীবির মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশের জবাব প্রদান করেছে।
15. কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি বালাতারী শাহী জামে মসজিদের খতীব আমিনুল ইসলাম জুমুয়ার আলোচনায় অসংখ্য বিভ্রান্তিকর কুফরী আকিদা প্রচার করায় তার ইমাম ও খতীব পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আমাদের নোটিশ যাওয়ার সাথে সাথে থানার ওসি, চেয়ারম্যান ও সমজিদ কমিটির সভায় খতীব আমিনুল ইসলামকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। 
16. গত ৮ অক্টোবর ২০১৯ থেকে ১৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত ৬ পর্বের ধারাবাহিক ‘মামলাবাজ সিন্ডিকেট’ শীর্ষক কথিত অনুসন্ধানী রিপোর্টে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি, হক্ব দরবার শরীফ পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফের মহা সম্মানিত হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালামের সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এনটিভি কর্তৃপক্ষকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রতিবাদ প্রচারিত হয়।
17. দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় গত ২ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে ১ম পৃষ্ঠায় “ কালো তালিকাভুক্ত আট জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হয়নি” শীর্ষক প্রতিবেদনে উলামা আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর নামে মহাপবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফ এবং মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাকে জড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য অবহিতকরণ প্রসঙ্গে প্রতিবাদলিপি পাঠানো। প্রতিবাদলিপি ছাপানো হয়।
18. দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় গত ২ নভেম্বর ২০১৯ ইং “নিরীহ মানুষকে আসামি করে সম্পদ দখলই উদ্দেশ্য মামলাবাজ পীর সিন্ডিকেট”  ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ইং “চার দলে সক্রিয় ৪০ মামলাবাজ” এবং ০৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ “পীর সিন্ডিকেটের কব্জায় কত জমি!” শীর্ষক কথিত রিপোর্টে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি, হক্ব দরবার শরীফ পবিত্র রাজারবাগ দরবার শরীফের মহা সম্মানিত হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালামের সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রকাশ প্রসঙ্গে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়। প্রতিবাদলিপি ছাপানো হয়।
19. ডাচ বাংলা ব্যাংকের ২০২০ সালের সালের ক্যালেন্ডারে পবিত্র কাবা শরীফের ছবি অবমাননাকরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে মুসলমানগণের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তারা উক্ত ক্যালেন্ডার ছাপানোর জন্য দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা প্রাথর্না করেছেন। এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পূর্বের ক্যালেন্ডার সংশোধনী দিয়ে প্রত্যাহার করেছেন এবং উক্ত ক্রটিযুক্ত ছবির ডিজাইনারকে কালো তালিকাভূক্ত করেছেন।
20. করোনাভাইরাস আতঙ্কে পবিত্র কাবা শরীফ ও মদিনা শরীফে জুমার নামাজ বন্ধে করে দেয়া হয়েছে—এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায়  ২১ মার্চ ২০২০ তারিখে   ডেইলি স্টারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ভুল স্বীকার ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।
21. ‘ইসলামে নারীর নেতৃত্ব হারাম মোটেও ঠিক নয়’ এমন বক্তব্যের কারণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 
22. "যারা লালন সঙ্গীত শোনে তারা সন্ত্রাসী হতে পারে না” এমন বক্তব্যের কারণে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
23. আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ক্যাডেট সাবিকে ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
24. মাদরাসায় অমঙ্গল যাত্রা করার অভিযোগে ২৮টি মাদরাসার কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
25. দূর্গাপুজার বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না, বললে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে! এমন বক্তব্যের কারনে ডি.এম.পি. পুলিশ কমিশনারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
26. কথিত দেবী চলচ্চিত্রে মুসলমানগণকে ধর্ষক হিসেবে উপস্থাপন, ধুমপান করাকে উৎসাহিত ও কথিত দেবীর আধ্যাতিক শক্তি রয়েছে এমন বিষয়গুলোর জন্য উক্ত চলচ্চিত্র থেকে তা বাদ দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।  
27. ২৫ মার্চ শহীদদের স্মরণে বগুড়াবাসীর লক্ষাধিক মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠানের আয়োজক বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞয়াকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
28. পবিত্র হাদিস শরীফ উনাকে অবমাননা করে গল্প ছাপানোর অভিযোগে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ তিনজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
29. “হিজাবের নামে নারীরা নিজেরাই নিজেদের বন্দি করে ফেলছে, বোরকা পড়ে অনেক নারী অপরাধ করছে।”- রেল মন্ত্রীর এমন মন্তব্য করায় তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান রেখে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
30. নোয়াখালীর আবদুল্লাহ মিয়ার হাট হামিদিয়া দাখিল মাদ্রসায় অশ্লিল নৃত্য অনুষ্ঠান ভিডিও করে তা অনলাইনে প্রচার করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
31. সারাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ও মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন বন্ধ চেয়ে সংস্কৃতি সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক [আইজিপি]-কে জাস্টিজ ডিমান্ডিং নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
32. সম্মানিত শরীয়ত বিরোধী মন্তব্য করায় জাফর ইকবালকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
33. সম্মানিত দাড়ি নিয়ে অবমাননাকর প্রতিবেদন প্রকাশ করায় বিবিসি বাংলাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
34. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আকিদা বিরোধী উদ্দেশ্য মূলক ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপানোর অভিযোগে নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক ও প্রতিবেদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
35. দাড়ি রাখলে ও টাকনুর উপরে কাপড় পরলে বুঝতে হবে সে সন্ত্রাসী এমন উদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করায় পিযুষ বন্দোপাধ্যায়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
36. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যবহ্নত সুন্নতি নালাইন শরীফ (স্যান্ডেল) মুবারককে ফেলে দিয়ে তাদের কথিত অধুনা ডিজাইন অর্থাৎ নকশা গ্রহণ করার আহ্বান রেখে ধৃষ্টতা প্রদর্শন পূর্বক বিজ্ঞাপন তৈরী ও প্রচার করে বাটা কোম্পানী। এজন্য তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
37. “হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শরীরের গঠন ছিল সিক্স প্যাক” নাউযুবিল্লাহ! ইউটিউবে প্রচারিত অন্য আরেকটি বক্তব্য প্রচার করে মিজানুর রহমান আজহারী বলে যে, “হুযুর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিলেন উম্মি অর্থ্যাৎ নিরক্ষর” নাউযুবিল্লাহ! এজন্য তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
38. পবিত্র রমাদ্বান শরীফে আইসিসি এর তত্তাবধানে ত্রিদেশিও ক্রিকেট খেলার আয়োজন করার প্রতিবাদে এবং খেলার উক্ত তারিখ বাতিল করতে আফগানিস্তান, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদেরকে স্বারকলিপি পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের যুব ও ক্রিয়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আইসিসির চেয়ারম্যনকে স্বারকলিপি পাঠানো হয়েছে।
39. রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বোরখা-হিজাব পরা নিষিদ্ধ করায় রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 
40. "জয় হিন্দ" শ্লোগান দিয়ে বক্তৃতা সমাপ্ত করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
41. মসজিদ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে একাত্তর টিভির উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
42. ঢাকার নদীতীরের মসজিদ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় নৌপরিবহন সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
43. ঢাকার নদীতীরের মসজিদ ভাঙ্গা জায়িজ ফতোয়া দিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় তেজগাঁওয়ের মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট বালক কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুর রাজ্জাককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 
44. মসজিদ নিয়ে অবমাননাকর প্রতিবেদন প্রচার করায় সময় টিভিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
45. রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল  ও বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলে মেয়েদের ওড়না পরা নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
46. মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ-গান বিষয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার  অবস্থানকে অবমাননাকরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে মুসলমানগণের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের এমপি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
47. সর্বশক্তিমান আল্লাহর ক্ষমতাকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের মাধ্যমে মুসলিমদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 
48. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, হযরত উম্মুল মুমিনীন সাইয়্যিদুনা আস সানি আশার আলাইহাস সালাম ও সম্মানিত দ্বীন ইসলামকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের মাধ্যমে মুসলিমদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত পূর্বদেশ পত্রিকার প্রকাশক শফিকুর রহমান, সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও লেখক লাভলী তালুকদারকে ৬টি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
49. গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় মুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য তিন ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদক শাহনাজ পারভীনের একটি প্রতিবেদন প্রচার করে বিবিসি বাংলা। ওই প্রতিবেদনে নামাজ বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার দায়ে বিবিসি বাংলাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান হয়।
50. গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় মুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের জন্য তিন ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিল, "বাংলাদেশের আইনে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা দেয়া যায় না। বাংলাদেশের আইন কেন, সংবিধানেই তো বলা আছে ধর্ম কারো উপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না। ইসলাম ধর্মও বলে না কারো উপরে ধর্ম চাপিয়ে দেয়া যাবে।" বাংলাদেশের আইন ও সংবিধানসম্মত একটি ইসলামী ইবাদতকে আইন ও সংবিধান বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করায় আইনমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান হয়।
51. গত ১০ মার্চ ২০২০ তারিখে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে  পবিত্র মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণে বাধা প্রদান করায় স্থানীয় ৫জনকে  লিগ্যাল নোটিশ পাঠান হয়।
52. গত ১০ মার্চ ২০২০ তারিখে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে  পবিত্র মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করায়  মাওলানা জাকির হুসেনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান হয়।
53. পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নামক বইয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর লেখনি প্রকাশের দায়ে  ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে  দিব্য প্রকাশ প্রকাশনীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
54. অ্যা লিটল হিস্ট্রি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড নামক বইতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর লেখনি প্রকাশের দায়ে  ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে  চারদিক প্রকাশনীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
55. করোনাভাইরাস আতঙ্কে পবিত্র কাবা শরীফ ও মদিনা শরীফে জুমার নামাজ বন্ধে করে দেয়া হয়েছে—এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায়  ২১ মার্চ ২০২০ তারিখে  এনটিভিকেলিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
56. করোনাভাইরাস আতঙ্কে পবিত্র কাবা শরীফ ও মদিনা শরীফে জুমার নামাজ বন্ধে করে দেয়া হয়েছে—এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায়  ২১ মার্চ ২০২০ তারিখে    বাংলানিউজকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
57. গত ১৫ মার্চ ঢাকায় একটি সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, করোনা প্রতিরোধে মসজিদে মানুষ সীমিত আসাই ভালো—এই মন্তব্যের মাধ্যমে মুসলিমদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে  ২১ মার্চ ২০২০ তারিখে    লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
58. গত ১৭ মার্চ’২০২০ তারিখ বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরটিভির টক শোতে মসজিদে নামাজ বন্ধ করা নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের মাধ্যমে দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে একাত্তর টিভির টক শো “একাত্তর জার্নাল”-এর উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
59. গত ১৯ মার্চ’২০২০ একাত্তর টিভির টক শো “একাত্তর জার্নাল”-এর একটি পর্বে ফারজানা রূপা করোনা ভাইরাসে মৃতদের লাশ দাফন না করে পুড়িয়ে ফেলাকে "মানবতা" ও "বিজ্ঞানসম্মত" বলে বক্তব্য প্রদান করেছে। তাই  উপস্থাপিকা ফারজানা রূপাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
60. ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন কামরাঙ্গীর চরের হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের খাবারের দোকান বন্ধ করে দেয়ায় ওই ওয়ার্ডের কমিশনার হাজী মো. সাইদুল ইসলাম মাদবরকে  ২৩ মার্চ’২০২০  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
61. গত ২৩ মার্চ ডিবিসি নিউজ চ্যানেলের টক শো “রাজকাহন”-এর একটি পর্বে মাওলানা মনিরুজ্জামান রাব্বানী মসজিদে নামাজ আদায়, হুজুর পাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের টুপি পরিধান ও ইসলামে গণজমায়েতের বিধান নিয়ে মনগড়া ও আপত্তিকর মন্তব্য প্রদান করার দায়ে তাকে  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
62. ঢাকার আর্ন্তজাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্রের কর্মীদেরকে নির্যাতনের ঘটনায় ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদারকে  ২৭ মার্চ’২০২০   লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
63. গত ২ এপ্রিল’২০২০ প্রচারিত ডিবিসি নিউজ চ্যানেলের টক শো “রাজকাহন”-এর শিরোনাম ছিল "মক্কা মদিনায় জামাত নেই, বাংলাদেশে কেন?" সেই টক শো-তে উপস্থাপিকা শারমিন চৌধুরী বারবারই দাবি করেছেন যে, পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীতে জামাতে নামাজ আদায় বন্ধ হয়ে গেছে, সুতরাং বাংলাদেশেও মসজিদসমূহে জামাত বন্ধ করতে হবে।  দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে ডিবিসি নিউজ টেলিভিশনের উপস্থাপিকা শারমিন চৌধুরীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
64. বাংলাদেশের মসজিদসমূহে জামাত বন্ধের আহবান জানানোর মাধ্যমে দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে ঢাকার কাওরানবাজারের আম্বরশাহ শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাজহারুল ইসলামকে  গত ৫ এপ্রিল’২০২০ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
65. বাংলাদেশের মসজিদসমূহে জামাত বন্ধের আহবান জানানোর মাধ্যমে দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ আবুল কালামকে  ৫ এপ্রিল’২০২০ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
66. গত ২ এপ্রিল’২০২০ প্রচারিত ডিবিসি নিউজ চ্যানেলের টক শো “রাজকাহন”-এর শিরোনাম ছিল "মক্কা মদিনায় জামাত নেই, বাংলাদেশে কেন?" সেই টক শো-তে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ করোনা পরিস্থিতিতে মুসলিমদেরকে ঘরে নামাজ আদায় করতে বলেছে। পবিত্র দ্বীন ইসলামকে অবমাননার দায়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
67. বাংলাদেশের মসজিদসমূহে জামাত বন্ধের ইচ্ছা জানানোর মাধ্যমে দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে ২ এপ্রিল’২০২০  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
68. শুক্রবার (৩ এপ্রিল’২০) গণমাধ্যমে ১৭ জন চিকিৎসকের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সম্মিলিত প্রার্থনা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছিল। বিবৃতিতে ওই ১৭ চিকিৎসক বলেছিলেন, কিছু আলেম ওলামার অদূরদর্শিতার জন্য বাংলাদেশের মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজ ও পাঞ্জেগানা নামাজ জামাতে পড়া হচ্ছে।  বাংলাদেশের মসজিদসমূহে জামাত বন্ধের দাবি জানানোর মাধ্যমে দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে ১৭ জন চিকিৎসককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
69. গত ৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দৈনিক সমকালের প্রথম পাতায় লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশিত "মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ ইতালির কাছাকাছি" শীর্ষক ভুল, অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদে সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক ও প্রতিবেদককে  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
70. গত ৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা ছাড়া অন্য সব মুসল্লিরা নিজ নিজ বাসায় নামাজ আদায় করবেন। জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ করবেন। মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ওখাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচজন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। বাইরের মুসল্লি মসজিদে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। এই নির্দেশ কেউ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করার দায়ে  ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহকে  নোটিশ ডিমান্ডিং জাস্টিস পাঠানো হয়েছে।
71. গত ৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ডিসি কক্সবাজার তার ফেসবুক আইডিতে প্রদত্ত একটি স্ট্যাটাসে লিখেছে: "আজ সরকারি আদেশ অমান্য করে গরু জবাই করার অপরাধে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।" তার অত্যন্ত আপত্তিজনক ও বিভ্রান্তিকর  স্ট্যাটাসটির দায়ে  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
72. গত ১৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-কে "স্যার" না বলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করেছেন নেত্রকোনা জেলা কলমাকান্দা থানার অফিস ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম। তিনি এসময় ওই শিক্ষার্থীকে ‘ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট হলো মাইগ্যা ডিপার্টমেন্ট, এখানে তো মাইগ্যারা পড়ে’ বলে মন্তব্য করে। অত্যন্ত আপত্তিজনক মন্তব্যের দায়ে  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
73. বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নামের স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ও www.bidyanondo.org নামক ওয়েবসাইটের দ্বারা বাংলাদেশের মুসলিমদের যাকাত সংগ্রহ করেন এবং সংগৃহীত যাকাতের অর্থ দিয়ে কৃষকের জন্য সার-বীজ, মহিলাদের জন্য গরু-বাছুর/ সেলাই মেশিন ক্রয়, রিকশা ক্রয় ইত্যাদি কাজ করে থাকেন। উল্লেখিত ওয়েবসাইটে মুসলিমদের উদ্দেশ্যে বলা আছে, "আপনার দেয়া যাকাতের টাকায় হয়তো কারো দোকানের পণ্য উঠবে, কারো সেলাই মেশিন হবে আবার কারো হবে লেখাপড়া।"  পবিত্র ইবাদত যাকাত সংগ্রহের মাধ্যমে দ্বীন ইসলাম অবমাননার দায়ে  বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের  চেয়ারম্যান ও  সাধারণ সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
74. গত ৬ মে ২০২০ তারিখে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের মসজিদসমূহে জামায়াতে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৪ ও ৫ নং শর্তসমূহে বলা হয়েছে: কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তিন ফুট পরপর দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর [অর্থাৎ এক কাতার বাদ দিয়ে] কাতার করতে হবে। এই নির্দেশনা লংঘিত হলেমসজিদ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করার দায়ে  ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহকে  নোটিশ ডিমান্ডিং জাস্টিস পাঠানো হয়েছে।
75. গত ৬ মে ২০২০ তারিখে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের মসজিদসমূহে জামায়াতে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ৪ ও ৫ নং শর্তসমূহে বলা হয়েছে: কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তিন ফুট পরপর দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর [অর্থাৎ এক কাতার বাদ দিয়ে] কাতার করতে হবে। এই নির্দেশনা লংঘিত হলেমসজিদ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। মসজিদসমূহে জামায়াতে নামাজ আদায়ে শারীয়াত বিরোধী শর্ত আরোপ করায়  ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব  মো: নূরুল ইসলামকে  নোটিশ ডিমান্ডিং জাস্টিস পাঠানো হয়েছে।
76. গত ১ জুন ২০২০ তারিখে বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক, আহসান এইচ মনসুরের বলেছে, "দেশের মানুষকে বাচাঁতে এবং অর্থনীতিকে স্বাভাবিক করতে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে কারফিউয়ের মতো শক্ত লকডাউন চান।" এমন বাস্তবতাবর্জিত, অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের দায়ে তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
77. গত ১ জুন ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত "সাধারণ ছুটি-পরবর্তী স্বাস্থ্যঝুঁকি" শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে আপনি সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর ফেলো, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছে, চলমান অতিমারিতে নানামুখী অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হলেও জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারের বিভিন্ন সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব দেখা গিয়েছে। তবে সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি; নাগরিক সেবাকে গুরুত্ব দিয়ে জনমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা যেতে পারে। তার মূল্যায়ন বাস্তবতাবর্জিত, অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর হওয়ায় তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 
78. গত ৩০ মে ২০২০ তারিখে বাংলানিউজ২৪-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান, ডা. লেলিন চৌধুরী মন্তব্য করেছে, লকডাউন বা সব কিছু বন্ধ করে দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের চলাচলকে থামিয়ে দিয়ে তাদের ঘরে রাখা, একজন মানুষের সঙ্গে আরেকজন মানুষের শারীরিক দূরত্ব তৈরি করা। এই দুটো কাজের মাধ্যমে চেইন অব ইনফেকশান (সংক্রমণের ধারা) ভেঙে ফেলা যায়। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হচ্ছে- যতদিন পর্যন্ত ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে থাকবে ততদিন এটা করতে হবে। সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। তখন লকডাউন, বিচ্ছিন্নতা, অবরোধ বা সাধারণ ছুটি যাই হোক না কেন, সংক্রমণ কমার হারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধাপে ধাপে শিথিল করতে হবে। গত ৫ জুন ২০২০ তারিখে বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সে মন্তব্য করেছে, যখন আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন তখন সবকিছু খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত মহামারি পরিস্থিতি আরো জটিল করবে। তার মূল্যায়ন বাস্তবতাবর্জিত, অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য দেয়ায় তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
79. গত ৪ মে ২০২০ তারিখে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম মন্তব্য করেছে, কোনো হিসাবই মিলছে না। কারণ কোনো কিছুই সঠিকভাবে হচ্ছে না। মানা হচ্ছে না লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি। আবার পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সারাদেশের সঠিক চিত্র আসছে না। তাই কতদিন এভাবে থাকবে বা কমবে কিনা, তা বলা মুশকিল হয়ে পড়েছে। .....এমনকি আরও ভয়ংকর পরিস্থিতি আসছে কিনা, তা বলা মুশকিল হয়ে পড়েছে। .....বড় বিপদ অবশ্যই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। কারণ গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে। তার ফল আমরা পাবো ১২ মে’র দিকে। একই সঙ্গে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জানাযার উপস্থিতির ফল হয়তো শিগগিরই পাবো। এরপর বলা যাবে আরও কতদিন লকডাউন রাখা উচিত। তবে যে লকডাউন চলছে তাতে আসলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তবে মে অবশ্যই আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর হবে। ...চীনের উহানের চেয়ে ঢাকার অবস্থা খারাপ মনে হচ্ছে। গত ৫ জুন ২০২০ তারিখে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম মন্তব্য করেছে, সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, হয়তো কোনো কোনো জায়গায় কারফিউ দিতে হবে। পরিস্থিতি অলরেডি এমন হয়ে গেছে, রেডজোনে কারফিউ দেয়া ছাড়া আর কী করবে? তার মূল্যায়ন বাস্তবতাবর্জিত, অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য দেয়ায় তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
80. গত ১ জুন ২০২০ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত "শিথিল লকডাউনে মৃত্যুহার বাড়বে" শীর্ষক একটি মন্তব্য-প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা মোজাহেরুল হক বলেছে, "....যখন লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা উচিত ছিল, তখন করা হয়নি। ....লকডাউন শিথিল করে ১৫ দিন পর্যবেক্ষণ করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।" তার মূল্যায়ন বাস্তবতাবর্জিত, অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য দেয়ায় তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
81. গত ১২ জুলাই ২০২০ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই বছর রাজধানীতে কুরবানীর পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদটি দেশের প্রায় সকল গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
82. গত ১৯ জুলাই ২০২০ তারিখে বগুড়া জেলা প্রশাসন থেকে প্রদত্ত একটি নোটিশে "বগুড়া পৌর এলাকায় করোনাভাইরাস (COVID-19) এর ব্যাপক সংক্রমণ প্রতিরোধে বগুড়া পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন কালিতলা হাটে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট না বসানোর জন্য নির্দেশ" প্রদান করা হয়। ফলে বগুড়ার জেলা প্রশাসককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
83. আসন্ন কুরবানীর হাট উপলক্ষে ইতোমধ্যে বহু সংখ্যক ভারতীয় গরু অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়েছে। চোরাচালানকৃত এসব গরু দেশের বিভিন্ন কুরবানীর হাটে তোলা হচ্ছে। যেমন, গত সপ্তাহে রংপুরের গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ির হাটে ভারতীয় গরু তোলার ছবি পত্রিকায় এসেছে। দেশজুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও উত্তরাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যার কারণে দেশীয় খামারীদের এমনিতেও চরম দুঃসময় যাচ্ছে। ন্যায্য মূল্য না পেয়ে খামারীরা কম দামে গরু বিক্রি করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন অবস্থায় অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় গরুগুলো আসন্ন কুরবানীর হাটে তোলা হলে দেশীয় খামারীরা আরো গুরুতর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শিকার হবেন। তাছাড়া চোরাচালানের মাধ্যমে গরু বাংলাদেশে আনা এবং চোরাচালানকৃত গরু বাংলাদেশে বিক্রয় করা - উভয়টিই বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারী আইনে অপরাধ। তাই ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা অবৈধ গরু কোনোভাবেই বাংলাদেশে কুরবানীর হাটে বিক্রয়ের জন্য তোলা যেতে পারে না। এবিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
84. আসন্ন কুরবানীর হাট উপলক্ষে ইতোমধ্যে বহু সংখ্যক ভারতীয় গরু অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়েছে। চোরাচালানকৃত এসব গরু দেশের বিভিন্ন কুরবানীর হাটে তোলা হচ্ছে। যেমন, গত সপ্তাহে রংপুরের গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ির হাটে ভারতীয় গরু তোলার ছবি পত্রিকায় এসেছে। দেশজুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও উত্তরাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যার কারণে দেশীয় খামারীদের এমনিতেও চরম দুঃসময় যাচ্ছে। ন্যায্য মূল্য না পেয়ে খামারীরা কম দামে গরু বিক্রি করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন অবস্থায় অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় গরুগুলো আসন্ন কুরবানীর হাটে তোলা হলে দেশীয় খামারীরা আরো গুরুতর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শিকার হবেন। তাছাড়া চোরাচালানের মাধ্যমে গরু বাংলাদেশে আনা এবং চোরাচালানকৃত গরু বাংলাদেশে বিক্রয় করা - উভয়টিই বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারী আইনে অপরাধ। তাই ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা অবৈধ গরু কোনোভাবেই বাংলাদেশে কুরবানীর হাটে বিক্রয়ের জন্য তোলা যেতে পারে না। এবিষয়ে  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
85. গত ১৮ জুন ২০২০ তারিখে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছে, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় এ-বছর কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমানো হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে কোনোভাবেই পশুর হাট বসানো হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে সরকার স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মকভাবে কাজে লাগাবে বলে জানান তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ছোট হাটগুলো বসানো হবে না। লোকালয় থেকে দূরে এবং অপেক্ষাকৃত বড় জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তার  পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কুরবানীর হাট নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়ায় তাকে  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
86. গত ২১ জুলাই ২০২০ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে মাস্ক ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে: সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট অফিসে সেবা গ্রহীতাগণ বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবেন। পরিপত্রে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, শপিং মল, বিপণিবিতান, দোকানপাট, হাটবাজার, গণপরিবহন, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সকল শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিক, হকার, রিকশা ও ভ্যান চালকসহ সকল পথচারী, হোটেল-রেস্টুরেন্টে কর্মরত ব্যক্তি এবং জনসমাবেশ চলাকালীন আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  এমন ঢালাওভাবে মাস্ক পরিধানের নির্দেশনার জন্য  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 
87. গত ৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় "মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ ইতালির কাছাকাছি" শীর্ষক ভুল, অতিরঞ্জিত ও বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদে  মুস্তাফিজ শফি, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক ও প্রতিবেদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
88. "গত ২৪ জুলাই ২০২০ তারিখে দৈনিক ""ভোরের কাগজ""-এর প্রথম পৃষ্ঠায় ""শেখ হাসিনাকে ইমরান খানের ফোন: সম্পর্কে নতুন মোড়!"" শীর্ষক একটি মন্তব্য-প্রতিবেদন সেদিনের লিড নিউজ হিসেবে প্রকাশিত হয়।  প্রতিবেদনটিতে সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।  মিথ্যাচার ও বিদ্বেষমূলক বিশ্লেষণে ভরপুর। প্রতিবেদনটি শুরুই হয়েছে মিথ্যাচার দিয়ে। প্রতিবেদনের প্রথম বাক্যে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মির ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী নাকি পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের চাচা! অথচ এটি সম্পূর্ণই মিথ্যা তথ্য। ""১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ঘটে যাওয়া ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানের কোনো পর্যায়ের কোনো নেতৃত্ব ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা, দুঃখ প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি।""
প্রকৃত সত্য হলো, পাকিস্তান ১৯৭৪ সালেই লিখিত আকারে বাংলাদেশের কাছে মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য ""নিন্দা ও গভীর দুঃখ"" [condemned and deeply regretted] প্রকাশ করেছিল। ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল তারিখে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বারা স্বাক্ষরিত ত্রিপাক্ষিক ""দিল্লি এগ্রিমেন্ট""-এ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত অপরাধসমূহের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছিল: ""The Minister of State for Defense and Foreign Affairs of the Government of Pakistan said that his Government condemned and deeply regretted any crimes that may have been committed.""
মিথ্যা, ভুলভাল, অজ্ঞতা ও বিদ্বেষে পরিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য প্রকাশক ও সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।"
89. গত ১ জুলাই ২০২০ তারিখে ডিসি কক্সবাজার নামক ফেসবুক পেইজে প্রদত্ত এক পোস্টে আপনি বলেছে, "....ধর্নুরানীবাদে ১৫০টি পুজা মন্ডপে অনুদান দেয়ায় বিকন ফার্মাসিটিক্যালস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

90. গত ৩ জুলাই ২০২০ তারিখে বার্তা সংস্থা ইউএনবি-সহ বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায়,  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম বলেছে, "....আমাদের শহরে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে যদি পশুর হাট বসে সেটি কিন্তু জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য কিছু কিছু সিদ্ধান্ত আমি পরিবর্তন করতে বলেছি। ...তাই আমি ঢাকার বাইরে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হাট বসানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি যাতে ব্যাবসায়ীরা পশু বিক্রিও করতে পারে আবার জনস্বাস্থ্যও বিবেচনায় রাখা যায়। ...তেজগাঁও, আফতাবনগর, ভাষাণটেক এলাকায় বড় হাট বসে প্রতিবার। .কিন্তু এবছর করোনা বিবেচনায় আমরা এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই স্থানে হাট বসতে দিবো না। ...উত্তরা ১০, ১১ ও ১২ এই তিনটি সেক্টরে বড় হাট বসত। ...কিন্তু এবছর এখানে আমরা হাট বসতে দেব না। উত্তরাবাসীর জন্য উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকায় বড় হাট বসবে, তারা সেখান থেকে পশু কিনতে পারবেন এবং ঐ এলাকায় মানুষের বসবাসও কম। এছাড়া মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের জন্য বসিলায় একটা হাট দেওয়া হবে। হাট থাকবে পূর্বাচল ব্রিজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী ও ১০০ ফুট সড়কের সাইদ নগর এলাকায়, কাওলায়। গাবতলীতে আমাদের স্থায়ী পশুর হাট আছে, সেটি থাকবে।" যারফলে মেয়র আতিকুলকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
91. গত ১ জুলাই ২০২০ তারিখে বার্তা সংস্থা ইউএনবি-সহ বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে জানা যায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের, এমপি বলেছে, "যত্রতত্র পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করলে কোরবানির পশুর হাট স্বাস্থ্যঝুঁকিকে ভয়ানক মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে। ....মহাসড়ক ও এর আশপাশে পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না।" তাকেও  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
92. গত ৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ডিসি, কক্সবাজার তার ফেসবুক আইডিতে প্রদত্ত একটি স্ট্যাটাসে লিখেছে: "আজ সরকারি আদেশ অমান্য করে গরু জবাই করার অপরাধে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।" তার এমন কাজের জন্য তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
93. গত ৪ জুলাই ২০২০ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো-তে প্রকাশিত একটি মন্তব্য প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছে, "যাঁরা একাধিক পশু কোরবানি দিতেন তাঁরা এবার একটা কোরবানি দিন; বাকিগুলোর টাকা শহর ছেড়ে গ্রামে ফেরা নিরুপায় কর্মহীন এবং অতি দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে পারেন, এতে দরিদ্র মানুষগুলোর উপকার হবে।"  তার পশু কুরবানী নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়ার ফলে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
94. গত ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে "জাপান গার্ডেন সিটি ফ্ল্যাট মালিক কল্যাণ সমিতি"-এর পক্ষে সভাপতি ও সাধারন সম্পাতক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ফ্ল্যাট মালিকদেরকে প্রদত্ত এক নোটিশে বলা হয়েছে: "জাপান গার্ডেন সিটিতে কোরবানীর কোন পশু প্রবেশ করানো যাবে না।" তাদেরকেও লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
95. সকল হাউজিং কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র কুরবানীর পশু প্রবেশের ব্যবস্থাসহ পশু কুরবানীর সকল ধরনের ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
96. গত ১৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-কে "স্যার" না বলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করেছেন নেত্রকোনা জেলা কলমাকান্দা থানার অফিস ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম। সে এসময় ওই শিক্ষার্থীকে ‘ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট হলো মাইগ্যা ডিপার্টমেন্ট, এখানে তো মাইগ্যারা পড়ে’ বলে মন্তব্য করার দায়ে সেই ইউএনও কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

97. গত ৩ জুন ২০২০ তারিখে দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত "চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা করার কি কেউ নেই?" শীর্ষক একটি মন্তব্য-প্রতিবেদনে পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেছে, "....যে জিনিসটা চট্টগ্রামের চিন্তাশীল মানুষকে ভাবনায় ফেলে দিয়েছে তা হলো শিক্ষা-সংস্কৃতি আর বৈচিত্র্যের উপাদানে সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম কেন একটি মৌলবাদী, ধর্মীয় গোঁড়া ও উগ্রবাদী চিন্তার চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠল? কবিয়াল রমেশ শীল, কবি আলাওল, আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের চট্টগ্রাম কিংবা মাস্টারদা সূর্যসেন ও বীরকন্যা প্রীতিলতার চট্টগ্রাম, ভারতীয় উপমহাদেশে সাহিত্য-সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র চট্টগ্রাম - কেন এমন একটি সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় হানাহানির কদর্য চেহারা নিয়েছে এটা ধারণা করা চিন্তাশীল মানুষের পক্ষে কঠিন। চট্টগ্রামের এই সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ ধনাঢ্য সম্প্রদায়, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক সমাজ চট্টগ্রামের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, শিক্ষা সংস্কৃতি ও ব্যবস্থায় নজর না দেয়া। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও পীরের মুরিদ হওয়ার পেছনে যতটা আগ্রহী, ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভালো হাসপাতাল নির্মাণের ব্যাপারে তেমন আগ্রহী নয়। এমন আপত্তিকর লেখনির জন্য তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
98. গত ১৬ জুলাই ২০২০ তারিখে দৈনিক সময়ের আলো-এর প্রথম পৃষ্ঠায় "করোনাকালে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা: ওরা যেন জেনেও জানে না" শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রতিবেদনের জন্য পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদককে  লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
99. "মেয়েদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার একটি কারণ হলো বাল্যবিবাহ"—এমন মন্তব্যের কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাব এনাম খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
100. রবীন্দ্রকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর প্রবন্ধ রচনা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যা. সিরাজুল ইসলামকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
101. গত ৭ই আগষ্ট ২০২০ তারিখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহেরপুরের মুজিবনগর পরিদর্শনকালে বলেছে, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। আর চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক। আগামী বছর আমরা ভারতকে নিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব করবো। কেননা আমাদের বিজয় মানে ভারতের বিজয়। আবার ভারতের বিজয় মানে আমাদের বিজয়। ভারতের উন্নতি মানে আমাদের উন্নতি।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অবমাননা করে এ ধরণের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনকে লিগ্যাল নোটিশ।
102. বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু সম্বন্ধে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য প্রদান করায় বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ও লেখককে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
103. একাদশ শ্রেণী ভর্তি ফীতে হিন্দু শিক্ষার্থীদের চেয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি ফি আদায় করায় সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
104. "ঘরে টেলিভিশন না থাকলে এবং মহিলারা ঘর থেকে বাহিরে কম আসলে বুঝতে হবে তাদের মধ্যে সন্ত্রাসী প্রবণতা থাকতে পারে, নাউযুবিল্লাহ! পুলিশের আইজিপির এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আইজিপি দুঃখ প্রকাশ করে নোটিশের জবাব পাঠায় এবং গণমাধ্যমে বলেছে, মাদ্রাসায় নয় বরং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্ত্রাসী হবার প্রবণতা বেশি লক্ষ্যনীয়।" 
105. "হযরত উম্মুল মুমীনিন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক উনার খিলাফ বিষয় ‘বস-২’ নামক চলচ্চিত্রে উপস্থাপন করায় জাজ মাল্টিমিডিয়াকে নোটিশ পাঠানো হয়। জাজ মাল্টিমিডিয়া নোটিশের জবাব পাঠায়, তারা এ বিষয়ে সচেতন ও সর্তক হয়।"
106. "২০১৭ সালে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে কুরবানী করা বাধ্যতামূল করা হলে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর গুলোতে আইনী  নোটিশ পাঠানো হয়। সরকার তাদের সিদ্ধান্ত (বাধ্যতামূল করা) থেকে বিরত থাকে। "
107. মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ নিয়ে ‍চু-চেরা করার কারণে আহমক শফীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
108. পবিত্র রমাদ্বান শরীফে যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা ও ক্লাস চালু রাখা হয় তাদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাটানো হয়।
109. "বিবস্ত্রতাকে উৎসাহিত করে তসলিমা নাসরিনের লেখা ছাপানোয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে এমন লেখা আর ছাপাবেনা মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয়।"

110. "পবিত্র কুরবানী উনার পশুকে নিয়ে ব্যঙ্গ করায় প্রথম আলোকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে এমন লেখা আর ছাপাবেনা মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয়।"
111. মূর্তির বিপক্ষ অবলম্বন কারীদের গালি দেয়ায় নাস্তিক এম.পি. বাদলকে নোটিশ পাঠানো হয়।
112. "‘বাংলাদেশে হিন্দি ভাষার ভবিষ্যৎ উজ্জল’ বলায় ভারতের হাই কমিশনারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। ভারতের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে দুঃখ প্রকাশ করে এবং তার দেয়া বক্তব্যের ভিডিও সরিয়ে নেয় অর্থাৎ প্রত্যাহার করে নেয়।"
113. ‘বিবস্ত্র নারীর চিত্র রুপ সমাজের লিঙ্গ বৈষম্যে দূর হওয়ার প্রেরণা হতে পারে’ এমন অশ্লিল বক্তব্য গণমাধ্যমে দেয়ার কারণে সাবেক তথ্য মন্ত্রী ইনুকে তিনবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

114.নুরানীবাদে ১৫০টি পুজা মন্ডপে অনুদান দেয়ায় বিকন ফার্মাসিটিক্যালস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
115. যশোরের এবিসিডি মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্রীদের দিয়ে হিন্দুয়ানী রীতিতে ফুল্যমাল্য প্রদান অনুষ্ঠান করায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আরো অনেক বিষয় নিয়ে কাজ চলছে চলমান



রেলস্টেশনে তরুণীকে হেনস্তা: হাইকোর্টে শিলার ৬ মাসের জামিন

 
নরসিংদী রেলস্টেশনে আধুনিক পোশাকের অজুহাতে এক তরুণীকে হেনস্তার ঘটনায় করা মামলায় শিলা আক্তার মারজিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই। শিলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মির্জা মো. শোয়েব মুহিত। অন্যদিকে আসামি শিলা আক্তার মারজিয়ার জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন।
আইনজীবী কামাল হোসেন জানান, জামিনের বিষয়ে করা আবেদনের ওপর গত রোববার ও আজ পর-পর দুইদিন শুনানি নিয়ে এই জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। এর আগে নরসিংদীর আদালতে জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পরে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। জামিন আবেদনের গ্রাউন্ড হিসেবে বলা হয়, তিনি একজন নারী। নরসিংদী রেলস্টেশন ঢাকা রেঞ্জে হওয়ার পরেও মামলা করা হয়েছে ভৈরবে। এ ছাড়া ভিকটিম নিজে মামলা করেননি, আদালতের নির্দেশনার পরে মামলা হয়েছে। এসব বিষয়ে শুনানি নিয়ে জামিনের আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ৩০ মে নরসিংদী রেলস্টেশনে আধুনিক পোশাকের অজুহাতে এক তরুণীকে হেনস্তার ঘটনায় শিলা আক্তারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওইদিন নরসিংদী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন এই আদেশ দেন।
গত ২৯ মে দিনগত রাত ৩টার দিকে শিবপুরের ইটাখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিলাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১ এর একটি দল।
র‌্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, রেলস্টেশনে তরুণীকে লাঞ্ছিতের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে মূলহোতা শিলা আক্তার মারজিয়া ওরফে শায়লা আত্মগোপনে চলে যান। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা এলাকায় শিলার খালার বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে থেকে রাত ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রেলওয়ে পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুনুর জামান রুমেল জানান, পরদিন (৩০ মে) সন্ধ্যায় গ্রেফতার শিলা আক্তারকে নরসিংদী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর পরে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
এর আগে গত ১৮ মে সকালে নরসিংদী রেলস্টেশনের ১নং প্ল্যাটফর্মে ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন দুই তরুণ ও এক তরুণী। মেয়েটির পরনে ছিল জিনসের প্যান্ট ও টপস। তাই দেখে স্টেশনে অবস্থানরত এক নারী প্রথমে ওই তরুণীকে আঘাত করেন ও পরে আরও কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর হামলার চেষ্টা চালান।
তরুণীকে হেনস্থা ও মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার দুদিন পর নরসিংদী শহরের ইউএমসি জুট মিলের সামনে থেকে ইসমাইল মিয়া নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ সিদ্দিকীর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ওই রাতেই নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ও ৩০ ধারায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে এক নারীসহ দুজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত আরও এক নারী ও ১০ পুরুষকে আসামি করা হয়। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের আসামি করা হয়।
 লিংক-https://www.jagonews24.com/law-courts/news/786299

মামলায় গত ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ মার্জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন।

হাইকোর্টের দেওয়া এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আবেদনটির শুনানি নিয়ে গত ২১ আগস্ট চেম্বার আদালত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। একই সঙ্গে আদালত আবেদনটি ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।

আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম শুনানি করেন। মার্জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জহুরুল ইসলাম।

পরে আইনজীবী জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মার্জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল থাকছে। এতে করে মার্জিয়ার কারামুক্তিতে আইনগত বাধা নেই।’

হেনস্তার শিকার তরুণী ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি গত ১৭ মে এক বন্ধুকে নিয়ে ঢাকা থেকে নরসিংদীতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে পরদিন ভোরে নরসিংদী রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। এ সময় জিনস ও টপস পরায় গালিগালাজ-মারধরের শিকার হন তরুণী।

তাঁর সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুও মারধরের শিকার হন। এক ব্যক্তি পুরো দৃশ্য ভিডিও করেন। এই ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ছড়িয়ে পড়ে। পোশাকের জন্য তরুণীকে হেনস্তার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেনঅনেকে।এ ঘটনায় পর নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করে। মামলায় গত ৩০ মে মার্জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হন। পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

লিংক- https://www.prothomalo.com/bangladesh/znqape557u

Published from Blogger Prime Android App
এনআইডিতে ছবির বদলে বায়োমেট্রিক

নিয়মের দাবি পর্দানশিন নারীদের
 অনলাইন ডেস্ক
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) পর্দার বিধান রক্ষার দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। এ জন্য এনআইডিতে ছবির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের কথা বলেছেন তারা। সেইসঙ্গে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে সরকারি অফিসে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখার দাবি তাদের।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমীন ইয়াসমিন এসব দাবি তুলে ধরেন। 
তিনি বলেন, ‘দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়। পর্দা রক্ষার্থে এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না, যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’ 
‘এই পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ, সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
‘পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি’,- সংবাদ সম্মলনে বলেন শারমীন ইয়াসমিন। 
https://www.bd-pratidin.com/national/2022/03/21/751861


মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়ম দাবি

পর্দাশীল নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দাশীল নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দাশীল হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দাশীল নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ ও মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.dailyamarsangbad.com/capital/news-216699


মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়ম দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ মার্চ ২০২২, ০২:০৪ পিএম
পর্দানশিন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.dhakapost.com/national/105369


মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে
বায়োমেট্রিক নিয়মের দাবি
মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে বায়োমেট্রিক নিয়মের দাবি
জাতীয় পরিচয়পত্রে পর্দার বিধান রক্ষা করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়।
চেহারা খুলে ছবি না তোলার কারণে এসব নারীরা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অনেক সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না।
শারমিন ইয়াসমিন দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
https://www.rtvonline.com/country/dhaka/170717/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF


মুখ দেখাতে আপত্তি, পরিচয়পত্রে বায়োমেট্রিক নিয়ম দাবি
 জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
 প্রকাশিত: ২০:০৫, ২১ মার্চ ২০২২  
পর্দানশিন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন; যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ ও মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.risingbd.com/national/news/450960


পর্দানশিন নারীদের ছবি না তুলে বায়োমেট্রিক নিয়মের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ২১ মার্চ ২০২২
মুখ না দেখিয়ে পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমান। একই সঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা শনাক্তকরণের জন্য নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যবস্থা রাখার দাবি জানান তারা।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সম্মেলনে মোহাম্মদিয়া জামেয়া শরিফ গবেষণাগারের মুফতি আব্দুল হালিম কোরআনে বর্ণিত সুরা আজহাবের শেষ আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, নারীদের চোখসহ পুরো অঙ্গ ডেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ নিজেই। নারীদের সৌন্দর্য তাদের মুখ বা চোখের মাধ্যমেই বোঝা যায়। এখান থেকেই যতো ফেতনা শুরু হয়।
রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়রে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় শনাক্তের জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়রে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি।
তিনি বলেন, পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়রে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়েছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় পর্দানশিন নারীদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় অনেক নারী রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শারমিন দাবি জানিয়ে বলেন, শনাক্তকরণে ছবির পরিবর্তে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় রাজারবাগ দরবার শরিফের নারী আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফেরদৌসিসহ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজারবাগ দরবার শরিফের পুরুষ সদস্যরাও অংশ নেন।
https://www.jagonews24.com/women-and-children/news/748153


পর্দা করা নারীদের পরিচয়পত্রে শুধু বায়োমেট্রিকের 
দাবি মহিলা আনজুমানের
২১ মার্চ ২০২২, ১৯:১৮
পর্দা করা নারীদের পরিচয়পত্রে শুধু বায়োমেট্রিকের দাবি মহিলা আনজুমানের
পর্দা করা নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদির ক্ষেত্রে শুধু বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এসময় তারা সরকারি অফিসে পর্দা করা নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখার দাবিও জানিয়েছেন।
মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনও গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র করতে চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় ও গায়েরে মাহরাম তার চেহারা দেখে। পর্দা করা নারীরা এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনও সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, ‘এতে বিধবা, তালাক হওয়া নারী বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। সন্তান-সন্ততি নিয়ে তাদের জীবন ধারণও জটিল হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। তাই, পর্দা করা নারীদের সনাক্তকরণে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.banglatribune.com/others/734542/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A7%9F%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0





পরিচয়পত্রে ছবি চান না পর্দা করা নারীরা
মেরিনা মিতুমেরিনা মিতু, ঢাকা ২১ মার্চ, ২০২২ ১৬:৪৮ আপডেট: ২১ মার্চ, ২০২২ ২০:৫৪google_news
বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায় উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তানসন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
যে নারী পর্দা করেন, তাকে শনাক্তে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য নথিতে ছবির বদলে আঙুলের ছাপ ব্যবহারের দাবি তুলেছে রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমান। সরকারি অফিসে পর্দানশীন নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা শনাক্তকরণে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যবস্থা রাখারও দাবি জানিয়েছে তারা।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রাজারবাগ শরিফের মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় শনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি।
‘পর্দানশীন হওয়ায় এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না এবং কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’
বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায় উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তানসন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, ‘শনাক্তকরণে ছবির ব্যর্থতায় আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল।
‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কখনও দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এই পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দানশীন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।’
https://www.newsbangla24.com/news/184281/Demand-to-take-fingerprints-not-pictures-on-the-identity-card-of-the-veiled-woman


চেহারা দেখিয়ে ছবি নয়, পরিচয়পত্রে 
বায়োমেট্রিকের ব্যবহার চান পর্দাশীল নারীরা!
ট্রিবিউন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৫ বিকাল মার্চ ২১, ২০২২
পর্দা রক্ষা করে চলেন এমন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার নিয়ম মেনে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান। একই সঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দাশীল নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব তুলে ধরেন মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন নথির সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।”
“পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। ফলে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবনধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।”
সংগঠনটির দাবি, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতির নাম বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় এতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। এ পদ্ধতিতে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://bangla.dhakatribune.com/bangladesh/2022/03/21/1647868432211

রাজারবাগ দরবার শরীফের 
মহিলা আনজুমানের সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ: সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৫ পিএম আপডেট: ২১.০৩.২০২২ ৭:১২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ  
'ছবি ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র করতে না দেয়া বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে অসাংবিধানিক'- এমন দাবি করে পর্দার বিধান মেনে পর্দানশীন নারীদের পরিচয় সনাক্তের ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব প্রদান করেছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান। জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে সোমবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তারা। সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা জানান, পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সঙ্গে সকল রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিত করা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচক হিসেবে ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শারমিন ইয়াসমিন। তিনি জানান, ছবি থেকে পরিচয় সনাক্তকরণের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলেই বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এ কারণেই ছবির বদলে সর্বক্ষেত্রে পরিচয় সনাক্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি জানায় সংগঠনটি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয় এটি তার ছবি। পর্দানশীন হওয়ায় এসব মহিলারা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য।  কারণ সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন রহিমা আহমদ নামক একজন বিধবা, ত্বহিরা জাহান নামক একজন প্রবাসীর স্ত্রী, শিল্পী আহমদ নামক একজন স্বামী পরিত্যক্তা এবং মার্জিয়া আহমদ নামক একজন অসুস্থ ব্যক্তির স্ত্রীর। তারা প্রত্যেকেই পর্দানশীন মহিলা হওয়ায় চেহারা খুলে ছবি তুলে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেনি, যাদের নিকটস্থ মাহরাম পুরুষ না থাকায় তাদের প্রত্যেকের জীবনে তৈরি হয়েছে মানবিক সংকট।
সংবাদ সম্মেলনের আলোচক আরো বলেন, কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় এরকম আরো অনেক পর্দানশীন নারী অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন: সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, চাকরির আবেদন করা, অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, বাসা ভাড়া নেয়া, সম্পত্তির উত্তরাধিকার হওয়া, জমি রেজিস্ট্রি করা, সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ব্যাংক লেনদেন করা, জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ওএমএস কার্ড করা, স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, জরুরি কাজে বাহিরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ট্রেড লাইসেন্স করা, বিদ্যুৎ বিল দেয়া, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা, মোবাইল ব্যাংকিং করা, দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা এবং নমিনি হওয়া।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১ (১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, 'প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে'। সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।  কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরিতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে গিয়ে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই যমজ ভাই বা দুই যমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্রিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে। যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে এবং নিরপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে। যেমন: ২০১৯ সালে আলোচিত জাহালম নামক এক ব্যক্তির কথা আপনাদের মনে থাকার কথা। ব্যাংক জালিয়াত সালেকের সঙ্গে চেহারায় মিল থাকায় যিনি ৩ বছর বিনা অপরাধে জেল খেটেছিলেন।
সনাক্তকরণে ছবির ব্যর্থতায় আধুনিক যুগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত হয়ে উঠেছে দাবি করে শারমিন ইয়াসমিন বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। উদাহরণস্বরূপ: বায়োমেট্রিক পদ্ধতি, যেমন- ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকরণ নিয়ে বলা যায়; পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন যমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্ট হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনাক্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছ।
তিনি বলেন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের সুবিধাও অনেক। একজন মানুষ কোথাও গেলে আইডি কার্ড ভুলে বাসায় ফেলে আসতে পারে, হারিয়েও ফেলতে পারে। কিন্তু হাতের আঙ্গুল কখনই সে ফেলে আসে না বা হারিয়ে ফেলে না। মূলত: ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই 'জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০'- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলার মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।
এ সময় আলোচকগণ সরকার ও প্রশাসনের কাছে ২টি দাবি উত্থাপন করেন। তাদের প্রথম দাবি, পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে  জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে।  এ ক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
তাদের দ্বিতীয় দাবি, সরকারি অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ/আদান-প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য নারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
https://www.shomoyeralo.com/details.php?id=174970


পর্দানশীন মহিলাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেওয়ার দা‌বি
 সোমবার, মার্চ ২১, ২০২২
ঢাকা : সরকার ও প্রশাস‌নের প্রতি পর্দানশীন মহিলাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হ‌লে এক সংবাদ সম্মেলন তারা এ দা‌বি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও আজকের অনুষ্ঠানের আহবায়ক শারমিন ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখায় নিশ্চিত করতে হয়।তারা তা কর‌তে পার‌ছে না ব‌লে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারী কাগজ তৈরী করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।
তি‌নি ব‌লেন, পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না।এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
বক্তারা বলেন, কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজী না হওয়ায় অনেক পর্দানশীন মহিলারা অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন- ১. সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, ২. চাকরির আবেদন করা, ৩.অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, ৪.বাসা ভাড়া নেয়া, ৫. সম্পত্তির উত্তোরাধিকার হওয়া, ৬. জমি রেজিস্ট্রি করা, ৭.সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, ৮. সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ৯. ব্যাংক লেনদেন করা, ১০. জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ১১. ওএমএস কার্ড করা, ১২. স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, ১৩. জরুরী কাজে বাইরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ১৪. ট্রেড লাইসেন্স করা, ১৫. বিদ্যুৎ বিল দেয়া, ১৬. বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা। ১৭.মোবাইল ব্যাংকিং করা ১৮.দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, ১৯.সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা, ২০. নমিনি হওয়া।
বক্তারা বলেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১।(১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”। সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই জমজ ভাই বা দুই জমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্তিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে। যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে, এবং নিরাপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে।
তারা ব‌লেন, আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন জমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্টও হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনান্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০”- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা সরকার প্রশাসনের কাছে ২টি দাবী উত্থাপন করে-
১) পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরীর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
২) সরকারী অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ/আদান -প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
http://www.primenewsbd.net/2022/03/21/%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F/






ছবি ছাড়া এনআইডি পাওয়ার দাবিতে 
রাজারবাগের নারী মুরিদদের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা 
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২২, ১৯:৫৫
পর্দানশীন নারীদের পর্দার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমানের নেত্রীরা। 
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন নেত্রীরা। 
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
মহিলা আনজুমানের নেত্রীরা বলেন, রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন নথিপত্র তৈরির সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজি না হওয়ায় অনেক পর্দানশীন নারী অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 
নেত্রীরা বলেন, ছবি দিয়ে শনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ ’— এ ছবি দিয়ে শনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও ছবির মতো একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার কারণে অসংখ্য পর্দানশীন নারীর মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে। 
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শারমিন ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরিফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.ajkerpatrika.com/159804/%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80

সরকারি সব কাজে পর্দানশীল মহিলাদের 
ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার দাবি
হাসনাত নাঈম
২১/৩/২০২২ ১:৫২:৩০ PM
পর্দানশিন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরির ব্যবস্থায় তাদের পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান। একইসঙ্গে তারা সরকারী অফিসে পর্দানশীল মহিলাদের সাথে যোগাযোগ বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখাও দাবি জানিয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন।
https://ridmik.news/article/3P9Knw/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF


ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়মের দাবি জানিয়েছেন 
মহিলা আনজুমান
জাতীয়
২১ মার্চ ২০২২News Desk
পর্দানশিন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://dinajpurnews.com/332715



এনআইডিতে ছবি নয় বায়োমেট্রিকের 
নিয়ম দাবি পর্দানশিন নারীদের
চ্যানেল 24 ডেস্ক
প্রকাশিত : ১৫:১৪, ২১ মার্চ ২০২২ আপডেট: ১৫:১৬, ২১ মার্চ ২০২২
জাতীয় পরিচয়পত্রে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। সেই সঙ্গে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে সরকারি অফিসে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দা রক্ষার্থে এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না, যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। 
পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীটার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
শারমিন ইয়াসমিন দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
https://www.channel24bd.tv/national/article/96138/%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0






মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে 
বায়োমেট্রিকের দাবি
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২২, ১৭:২১  
নিজস্ব প্রতিবেদক
পর্দাশীল নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দাশীল নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দাশীল নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দাশীল হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন-ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দাশীল নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ ও মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.bd-journal.com/bangladesh/196128/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF










মুখ খুলে ছবি নয়, বায়োমেট্রিক নিয়মের দাবি পর্দাশীল নারীদের
March 21, 2022
এবার জাতীয় পরিচয়পত্রে পর্দার বিধান রক্ষা করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। আজ সোমবার ২১ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, “দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন নথির সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “পর্দানশিন হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। ফলে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।”
তিনি বলেন, ”পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবনধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।”
এদিকে সংগঠনটির দাবি, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতির নাম বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর হওয়ায় এতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। এ পদ্ধতিতে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না।
https://news.bd24report.com/post/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0/


পর্দানশীন মহিলাদের মুখ দেখানোতে আপত্তি
ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়ম চালুর দাবি
 একুশে সংবাদ  প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২২
সরকার ও প্রশাসনের প্রতি রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের আহবান-পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সাথে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার প্রাপ্তির ব্যবস্থাকরন ও পর্দানশিন নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের কার্যক্রম চালু করতে হবে। সেইসঙ্গে সংগঠনটি এও দাবি করেছেন যে, সরকারি অফিসে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখতে হবে।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমানের আলোচকরা পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সাথে সকল রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিতের দাবী তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও আজকের অনুষ্ঠানের আহবায়ক শারমিন ইয়াসমিন।  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
আলোচক শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন।  তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখায় নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি। পর্দানশীন হওয়ায় এসব মহিলারা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না।  এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারী কাগজ তৈরী করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন রহিমা আহমদ নামক একজন বিধবা, ত্বহিরা জাহান নামক একজন প্রবাসীর স্ত্রী, শিল্পী আহমদ নামক একজন স্বামী পরিত্যক্তা এবং মার্জিয়া আহমদ নামক একজন অসুস্থ ব্যক্তির স্ত্রীর, যারা প্রত্যেকেই পর্দানশীন মহিলা হওয়ায় চেহারা খুলে ছবি তুলে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেনি, যাদের নিকটস্থ মাহরাম পুরুষ না থাকায় তাদের প্রত্যেকের জীবনে তৈরী হয়েছে মানবিক সংকট।
সংবাদ সম্মেলনের আলোচক বলেন, কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজী না হওয়ায় এরকম আরো অনেক পর্দানশীন মহিলারা অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন- ১. সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, ২. চাকরির আবেদন করা, ৩.অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, ৪.বাসা ভাড়া নেয়া, ৫. সম্পত্তির উত্তোরাধিকার হওয়া, ৬. জমি রেজিস্ট্রি করা, ৭.সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, ৮. সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ৯. ব্যাংক লেনদেন করা, ১০. জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ১১. ওএমএস কার্ড করা, ১২. স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, ১৩. জরুরী কাজে বাইরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ১৪. ট্রেড লাইসেন্স করা, ১৫. বিদ্যুৎ বিল দেয়া, ১৬. বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা। ১৭.মোবাইল ব্যাংকিং করা ১৮.দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, ১৯.সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা, ২০. নমিনি হওয়া।
আলোচক বলেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১।(১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”।  সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই জমজ ভাই বা দুই জমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্তিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে।  যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।  উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে, এবং নিরাপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে। যেমন- ২০১৯ সালে আলোচিত জাহালম নামক এক ব্যক্তির কথা আপনাদের মনে থাকার কথা।  ব্যাংক জালিয়াত সালেকের সাথে চেহারায় মিল থাকায় যিনি ৩ বছর বিনা অপরাধে জেল খেটেছিলেন।  
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আলোচক আরো বলেন, সনাক্তকরণে ছবির ব্যর্থতায় তাই আধুনিক যুগে তাই বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না।  বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। উদাহরস্বরূপ, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি, যেমন-ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকরণ নিয়ে বলা যায়, পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন জমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্টও হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনান্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের সুবিধাও অনেক।  একজন মানুষ কোথাও গেলে আইডি কার্ড ভুলে বাসায় ফেলে আসতে পারে, হারিয়েও ফেলতে পারে। কিন্তু হাতের আঙ্গুল কখনই সে ফেলে আসে না বা হারিয়ে ফেলে না। মূলতঃ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০”- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা মৌলিক অধিকার হরণ করা  হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা সরকার প্রশাসনের কাছে ২টি দাবী উত্থাপন করে বলেন-
১) পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরীর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
২) সরকারী অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ/আদান -প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
https://www.ekusheysangbad.com/amp/national/news/345005


মুখ দেখানোয় আপত্তি, ছবির বদলে
 বয়োমেট্রিকের নিয়ম করার দাবি
 March 21, 2022  নিজস্ব প্রতিবেদক  0 Comments
Share this:
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার ও প্রশাসনের প্রতি রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান পর্দানশীন মহিলাদের পর্দার সাথে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার প্রাপ্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (২১ মার্চ) সংগঠনটির উদ্যোগ জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমানের আলোচকরা এ দাবি তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও আজকের অনুষ্ঠানের আহবায়ক শারমিন ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
আলোচক শারমিন ইয়াসমিন বলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখায় নিশ্চিত করতে হয়, এটি তার ছবি। পর্দানশীন হওয়ায় এসব মহিলারা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। এতে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারী কাগজ তৈরী করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন রহিমা আহমদ নামক একজন বিধবা, ত্বহিরা জাহান নামক একজন প্রবাসীর স্ত্রী, শিল্পী আহমদ নামক একজন স্বামী পরিত্যক্তা এবং মার্জিয়া আহমদ নামক একজন অসুস্থ ব্যক্তির স্ত্রীর, যারা প্রত্যেকেই পর্দানশীন মহিলা হওয়ায় চেহারা খুলে ছবি তুলে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারেনি, যাদের নিকটস্থ মাহরাম পুরুষ না থাকায় তাদের প্রত্যেকের জীবনে তৈরী হয়েছে মানবিক সংকট।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য আলোচকরা বলেন, ‘কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজী না হওয়ায় এরকম আরো অনেক পর্দানশীন মহিলারা অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন- ১. সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, ২. চাকরির আবেদন করা, ৩.অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, ৪.বাসা ভাড়া নেয়া, ৫. সম্পত্তির উত্তোরাধিকার হওয়া, ৬. জমি রেজিস্ট্রি করা, ৭.সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, ৮. সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ৯. ব্যাংক লেনদেন করা, ১০. জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ১১. ওএমএস কার্ড করা, ১২. স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, ১৩. জরুরী কাজে বাইরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ১৪. ট্রেড লাইসেন্স করা, ১৫. বিদ্যুৎ বিল দেয়া, ১৬. বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা। ১৭.মোবাইল ব্যাংকিং করা ১৮.দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, ১৯.সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা, ২০. নমিনি হওয়া।’
তারা বলেন, ‘সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১।(১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”। সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই জমজ ভাই বা দুই জমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্তিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে। যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে, এবং নিরাপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে। যেমন- ২০১৯ সালে আলোচিত জাহালম নামক এক ব্যক্তির কথা আপনাদের মনে থাকার কথা। ব্যাংক জালিয়াত সালেকের সাথে চেহারায় মিল থাকায় যিনি ৩ বছর বিনা অপরাধে জেল খেটেছিলেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা আরো বলেন, ‘সনাক্তকরণে ছবির ব্যর্থতায় তাই আধুনিক যুগে তাই বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। উদাহরস্বরূপ, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি, যেমন-ফিঙ্গারপ্রিন্ট সনাক্তকরণ নিয়ে বলা যায়, পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন জমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্টও হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনান্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহারের সুবিধাও অনেক। একজন মানুষ কোথাও গেলে আইডি কার্ড ভুলে বাসায় ফেলে আসতে পারে, হারিয়েও ফেলতে পারে। কিন্তু হাতের আঙ্গুল কখনই সে ফেলে আসে না বা হারিয়ে ফেলে না। মূলতঃ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০”- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা সরকার প্রশাসনের কাছে ২টি দাবী উত্থাপন করে-
১) পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরীর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
২) সরকারী অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ/আদান -প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
https://dailybangladeshtime.com/archives/5667


জাতীয় পরিচয়পত্রে পর্দার বিধান রক্ষার দাবি জানিয়েছে পর্দানশিন নারীরা
By স্টাফ রিপোর্টার -মার্চ ২১, ২০২২15 0
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) পর্দার বিধান রক্ষার দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। এ জন্য এনআইডিতে ছবির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের কথা বলেছেন তারা। সেইসঙ্গে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে সরকারি অফিসে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখার দাবি তাদের।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমীন ইয়াসমিন এসব দাবি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়। পর্দা রক্ষার্থে এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না, যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’
‘এই পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ, সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’
‘পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি’,- সংবাদ সম্মলনে বলেন শারমীন ইয়াসমিন।
https://protidinshebok.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a7%9f-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%9f%e0%a6%aa%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b0/







পর্দানশিন মহিলাদের সনাক্তকরণে 
পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না: আনজুমান
মার্চ ২১, ২০২২, ২:৪০ অপরাহ্ণ | অনলাইন সংস্করণ
পর্দানশিন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা,
বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরির ব্যবস্থায় তাদের পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান।
একইসঙ্গে তারা সরকারী অফিসে পর্দানশিন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখাও দাবি জানিয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন।
https://dailykolomkotha.com/bangladesh/national/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d/


মুখ দেখানোতে আপত্তি, ছবির বদলে বায়োমেট্রিকের নিয়ম দাবি
ঢাকা, ২১ মার্চ – পর্দাশীল নারীদের পরিচয় শনাক্তে পর্দার বিধান রক্ষা করে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। একইসঙ্গে সরকারি অফিসে পর্দাশীল নারীদের সুবিধার্থে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমিন ইয়াসমিন এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দাশীল নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়।
পর্দাশীল হওয়ায় এসব নারীরা চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না বা গায়েরে মাহরাম পুরুষকে চেহারা দেখাচ্ছেন না। যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন-ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই পর্দাশীল নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ ও মাশহুরা ফিরদাউসী প্রমুখ।
https://www.deshebideshe.com/162336/


পর্দানশীন মহিলাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেওয়ার দা‌বি

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২
ঢাকা : সরকার ও প্রশাস‌নের প্রতি পর্দানশীন মহিলাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমান।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হ‌লে এক সংবাদ সম্মেলন তারা এ দা‌বি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য ও আজকের অনুষ্ঠানের আহবায়ক শারমিন ইয়াসমিন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজারবাগ দরবার শরীফের মহিলা আনজুমানের সদস্য সুমাইয়া আহমদ, মাশহুরা ফিরদাউসীসহ আরো শতাধিক পর্দানশীন মহিলা।
শারমিন ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোন গায়েরে মাহরামকে চেহারা দেখান না। অথচ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় সনাক্ত করার জন্য চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয় এবং গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখায় নিশ্চিত করতে হয়।তারা তা কর‌তে পার‌ছে না ব‌লে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোন সরকারী কাগজ তৈরী করতে পারছেন না এবং কোন নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।
তি‌নি ব‌লেন, পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা বা প্রবাসীদের স্ত্রীদের জন্য। কারণ সামান্য সহযোগীতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না।এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।
বক্তারা বলেন, কোরআন সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে মুখ খুলে ছবি তুলতে রাজী না হওয়ায় অনেক পর্দানশীন মহিলারা অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেমন- ১. সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা, ২. চাকরির আবেদন করা, ৩.অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটা, ৪.বাসা ভাড়া নেয়া, ৫. সম্পত্তির উত্তোরাধিকার হওয়া, ৬. জমি রেজিস্ট্রি করা, ৭.সন্তানের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করা, ৮. সন্তান স্কুলে ভর্তি করানো, ৯. ব্যাংক লেনদেন করা, ১০. জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, ১১. ওএমএস কার্ড করা, ১২. স্বামীর পেনশনের টাকা তোলা, ১৩. জরুরী কাজে বাইরে গেলে হোটেল ভাড়া করা, ১৪. ট্রেড লাইসেন্স করা, ১৫. বিদ্যুৎ বিল দেয়া, ১৬. বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা তোলা। ১৭.মোবাইল ব্যাংকিং করা ১৮.দেশের অভ্যন্তরে প্লেনের টিকিট কাটা, ১৯.সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা, ২০. নমিনি হওয়া।
বক্তারা বলেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের ৪১।(১) অনুচ্ছেদের- (ক) অংশে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে”। সংবিধানের এ অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন পর্দানশীন মহিলার পরিপূর্ণ পর্দা করার অধিকার রাষ্ট্রই তাকে দিয়েছে এবং পর্দা করাকে তার মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংবিধানের এ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরীতে সনাক্তকরণের নামে মহিলাদের ধর্ম পালনের অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তাও একটি অযৌক্তিক কারণ অর্থাৎ চেহারার ছবি দেখে সনাক্তকরণ করতে। অথচ পরিচয় সনাক্তকরণে ছবি নির্ভুল কোন মাধ্যমই না। পৃথিবীতে দুই জন মানুষের চেহারা প্রাকৃতিকভাবেই এক রকম হতে পারে। যেমন, দুই জমজ ভাই বা দুই জমজ বোনের চেহারা এক রকম হতে পারে। আবার কৃত্তিম উপায়েও দুইজনের চেহারা এক রকম করা সম্ভব। পাশাপাশি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চেহারায়ও ভিন্নতা আসতে পারে। যেমন- বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থার ভিন্নতার কারণে একজনের চেহারার ছবিতে অমিল লক্ষ্য করা যায়। এ সমস্ত কারণে সনাক্তকরণে নির্ভুলতার দণ্ডে ছবি অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। উপরন্তু ছবিকে সনাক্তকরণের মাধ্যম করায় অনেক অপরাধী পার পেয়ে যাচ্ছে, এবং নিরাপরাধ লোক নির্যাতিত হচ্ছে।
তারা ব‌লেন, আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তি নির্ভর এ পদ্ধতিতে সনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সাথেও এই পদ্ধতিতে কোন তারতম্য ঘটে না। পৃথিবীতে যদি ৭০০ কোটি মানুষ থাকে, তবে একজনের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কখনই মিলবে না। এমনকি দুইজন জমজ ব্যক্তিরও ফিঙ্গারপ্রিন্টও হবে ভিন্ন। তাই আধুনিক যুগে অপরাধী সনান্তকরণে ফিঙ্গারপ্রিন্ট অধিক গ্রহণযোগ্য ও নির্ভুল মাধ্যম হিসেবে বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবি দিয়ে সনাক্তকরণ পদ্ধতি ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণেই “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০”- এ ছবি দিয়ে সনাক্তকরণের বদলে বায়োমেট্রিক সনাক্তকরণকেই গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও ছবির মত একটি পুরাতন ও ত্রুটিযুদ্ধ পদ্ধতি ধরে রাখার জন্য অসংখ্য পর্দানশীন মহিলা মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, বঞ্চিত করা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি থেকে, যা সত্যিই একটি অমানবিক বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা সরকার প্রশাসনের কাছে ২টি দাবী উত্থাপন করে-
১) পর্দানশীন মহিলাদের সনাক্তকরণে পর্দার বিধান লঙ্ঘন হয় না, এমন পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ওএমএস কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ইত্যাদি তৈরীর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সনাক্তকরণে পুরাতন ও ত্রুটিপূর্ণ ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করতে পারে।
২) সরকারী অফিস বা কার্যালয়ে পর্দানশীন মহিলাদের সাথে যোগাযোগ/আদান -প্রদান বা সনাক্তকরণের জন্য মহিলা কর্মকর্তা/কর্মচারির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
https://www.timesofbangla24.com/%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%b6%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f/26441/


এনআইডিতে ছবির বদলে বায়োমেট্রিক 
নিয়মের দাবি পর্দানশিন নারীদের
জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) পর্দার বিধান রক্ষার দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফ। এ জন্য এনআইডিতে ছবির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের কথা বলেছেন তারা। সেইসঙ্গে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে সরকারি অফিসে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখার দাবি তাদের।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরীফের সদস্য শারমীন ইয়াসমিন এসব দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়।
গায়েরে মাহরাম পুরুষকে তার চেহারা দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়। পর্দা রক্ষার্থে এসব নারী চেহারা খুলে ছবি তুলছেন না, যার কারণে তারা জাতীয় পরিচয়পত্রসহ কোনো সরকারি কাগজ তৈরি করতে পারছেন না। এমনকি কোনো নাগরিক অধিকারও লাভ করতে পারছেন না।’ ‘এই পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে উঠছে বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য। কারণ, সামান্য সহযোগিতার জন্য তারা নিকটস্থ মাহরাম পুরুষকে কাছে পাচ্ছেন না।
এমন অবস্থায় সন্তান-সন্ততি নিয়ে জীবন ধারণ তাদের জন্য বেশ জটিল হয়ে উঠেছে।’ ‘পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনোই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না।
বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি’,- সংবাদ সম্মলনে বলেন শারমীন ইয়াসমিন।
https://deshdorpon.com/news/enaidite-chbir-bdle-bayometrik-niymer-dabi-prdanshin-nareeder

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget