শাটডাউনের সুপারিশ করায় কারিগরি পরামর্শক কমিটিকে আইনী নোটিশ
শাটডাউনের সুপারিশ করায় কারিগরি পরামর্শক কমিটিকে আইনী নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি দেশজুড়ে শাটডাউনের মত জনবিরোধী পরামর্শ দেয়ার দায়ে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ শহীদুল্লা এবং এর সদস্য সচিব প্রফেসর ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গতকাল ইয়াওমুল আহাদ (রোববার, ২৭ জুন) দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাতের সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষ থেকে এই আইনী নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি সম্বন্ধে তাদের মূল্যায়ন বাস্তবতাবর্জিত, অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর। লকডাউন/শাটডাউন করোনার মৃত্যুহার থামাতে পারে- এমন মন্তব্যের কোনো প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কারণ সারা বিশ্বে যেসব দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে (মিলিয়ন জনসংখ্যা মৃত্যুহার), তার প্রথম ১০টিতেই লকডাউন হয়েছে। অপরদিকে লকডাউন না হয়েও সুইডেন ২৫তম অবস্থানে আছে।
আবার অনেক দেশে লকডাউন তুলে নেয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এ ব্যাপারে গত ২২ মে ২০২০ তারিখে ব্রিটিশ দৈনিক "দি সান" পত্রিকায় বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রসায়ন বিজ্ঞানী ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মাইকেল লেভিট বহু আগেই বলেছে, বিশ্বব্যাপী জারিকৃত লকডাউন ‘বিশাল ভুল’ ছিল। এতে সমাজের বড় ক্ষতির পাশাপাশি কোনো ধরনের হার্ড ইমিউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
আনহার্ড ডটকমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে প্রফেসর লেভিট মন্তব্য করে বলেছে, ‘চীন করোনার হুমকি কীভাবে মোকাবিলা করেছে তা যদি বিশ্ব ভালোভাবে খেয়াল করত, তবে সরকারগুলো ভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিত। বিশেষ করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করত না।’
মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় গবেষকরা বলেছে, করোনা মোকাবেলায় লকডাউন দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সবচেয়ে বড় ভুল।
এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এক আলোচনায় বলেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ২৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়। তিনি বলেন যে, এর মধ্যে ৬৫ ভাগ বিভিন্ন অসংক্রামক ব্যধিতে মারা যান। ২৪ ভাগ মানুষ মারা যান বার্ধক্যজনিত কারণে। এই মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু। করোনার কারণে এই মৃত্যুর হার বাড়েনি বরং বাংলাদেশে যে স্বাভাবিক মৃত্যু আছে সেটাই বজায় রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে কোন মৃত্যুই করোনাজনিত মৃত্যু এই ভ্রান্ত ধারণা ঠিক নয়। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। বাংলাদেশে যে স্বাভাবিক মৃত্যুর হার ছিল তার কোন পরিবর্তন এখন পর্যন্ত হয়নি।
নোটিশে উপরে উল্লেখিত বক্তব্যসমূহের প্রেক্ষিতে বলা হয়, পরামর্শক কমিটির শাটডাউনের পরামর্শের কারণে জনমনে অহেতুক আতংক সৃষ্টি হতে পারে এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে বিভ্রান্তির শিকার হতে পারেন। এই ধরনের ভুল, অতিরঞ্জিত ও অসমর্থিত তথ্য/মতামত গণমাধ্যমে প্রকাশ করে তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। যা বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে একটি অপরাধ বটে।
উক্ত নোটিশ পাওয়ার ৩ (তিন দিনের) মধ্যে তাদের শাটডাউন সম্পর্কিত মতামতসমূহ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
লিংক- http://www.al-ihsan.net/view-post/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/5/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B6/147473


