June 2020
১০০০কোটি টাকা ১২ রবিউল আউয়াল ৫০০ বিশিষ্ট নাগরিকের আহবান ৫৭ ধারায় ৬৩ দিন ৬৪জেলা ৭১টিভি ৯৯৯ bbc ntv অবমাননা অসাংবিধানিক আইজিপি আইন আইনমন্ত্রী আইনি নোটিশ আইপিএল আইমান ফোরম আওয়ামী ওলামা লীগ আদালত আল বাইয়্যনাত ইফা ইসকন ঈদে মিলাদুন্নবী ঈমান বাঁচানো ফাণ্ড ঈশার আযান বন্ধ একাত্তর টিভি এনটিভি এনায়েতআব্বাসী কটুক্তি কটূক্তি কড়িগ্রাম মসজিদ কমিটি করোনা করোনা ভাইরাস কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী কুরবানি নিষিদ্ধ কুরবানির পশু কুরবানী কুরবানীর হাট কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ কোরবানি ক্যাম্পেইন বন্ধে ক্লোজআপ কাছে আসার রিকশা গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গান-বাজনা গ্রহণযোগ্য নয় গ্রিক দেবী গ্রিক দেবীর মূর্তি চাঁদ দেখা চ্যালেঞ্জ ছবি জয় হিন্দ জররি সেবা জাতীয় পরিচয় পত্র জাফর ইকবাল জাফরুল্লাহ জিয়া জুয়া জেলা প্রশাসন ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিএমপি কমিশনার ডিওএইচএস পরিষদ ডিসি ঢাবি শিক্ষক ঢাবি শিক্ষক জিয়া তথ্যমন্ত্রী তদন্তে সিআইডি দাড়ি দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায় দেবী চলচ্চিত্র দৈনিক আল ইহসান দৈনিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বদেশ দ্বীন ইসলাম ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ন ডরাই নগ্নতা উৎসাহিত নবীজীর ম‌ানহানি নানীর বাণী-দ্য আরেফিন নিধার্রিত স্থানে নিষেধাজ্ঞা নুরুল ইসলাম সুজন নৌপরিবহন সচিব পবিত্র কাবা শরীফ পরিচালক পর্দা পশু জবাই পশুর হাট পহেলা বৈশাখ পাঠ করা পুবিত্র মিলাদ শরীফ পুলিশ সুপার পেীর মেয়র প্রকাশক প্রতিবাদ প্রতিবাদলিপি প্রদর্শনী প্রধান শিক্ষক প্রসাদ প্রসাশন প্রিয় নুসরাত প্রেসক্লাব ফিঙ্গার প্রিন্ট ফেরেশতা ফ্রান্স ফ্ল্যাট বগুড়া বালা-মুসিবত বাল্যবিবাহ বিপিএল বিবিসি বিবিসি বাংলা বোরকা-হিজাব বোরখা হাইকোর্টে রিট দায়ের বোরখা-হিজাব ভারত ভাস্কর্য ভোরের কাগজ মঙ্গল যাত্রা মজলিসু রইয়াতিল হিলাল মসজিদ মসজিদ অবমাননা মসজিদ ভাঙ্গা মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মাদরাসায় নৃত্য মাদ্রাসার বই মানহানি মানহানী মামলা মারজিয়া আক্তার শিলা- নরসিংদী মাস্ক ব্যবহার মাহমুদুল মাদানী মিলাদ শরীফ মুযাফফর মূর্তি মূর্তি নিয়ে অপব্যাখ্যা মূর্তি-ভাস্কর্য পক্ষের কথিত সাংবাদিকের যুক্তি খণ্ডন মোমবাতি প্রজ্জলন যুব আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত রমেক হাসপাতাল রাজারবাগ দরবার শরীফ রাজারবাগ শরীফ রাজ্জাক রাবি ভিসি রাসূলের অবমাননায় পূর্বদেশের বিরুদ্ধে মামলা রাস্তায় কুকুর রাস্তায় কুকুরের উপদ্রব রিট রুল রেল মন্ত্রী লকডাউন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৮ লিগ্যাল নোটিশ শবে বরাত শরীয়ত বিরোধী শান মুবারক শাবান মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রা সময় টিভি সম্পাদক সম্মিলিত ইসলামী জোট সরকারী সাইয়্যিদুল আইয়াদ ১২ শরীফ সুন্নতি সামগ্রী সুন্নতি সামগ্রী প্রদর্শনী সুপ্রিম কোর্ট স্কুলছাত্রী স্কুলে মন্ত্রপাঠ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ্জ পালন নিষিদ্ধ করায় প্রতিবাদলিপি হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম হাইকমিশনার হাইকোর্ট হাউজিং কমপ্লেক্স হাজরে আসওয়াদ হাজরে আসওয়াদকে মূর্তির হাদীস শরীফ হারাম হাসানুল হক ইনু হিউম্যান মিল্ক ভ্যাংক হিযাব

লকডাউন প্রত্যাহার করে সবকিছু স্বাভাবিক করার দাবিতে রিট দায়ের

লকডাউন প্রত্যাহার করে সবকিছু স্বাভাবিক করার দাবিতে রিট দায়ের

লকডাউন প্রত্যাহার করে সবকিছু স্বাভাবিক করার দাবিতে রিট দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারঘোষিত রেড জোনগুলোতে ঢালাও লকডাউন প্রত্যাহার ও দেশব্যাপী স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকা- পুনরায় চালুর আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিমের পক্ষে রিট মামলাটি দায়ের করেছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শেখ ওমর শরীফ। মামলাটি ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য গত রোববার অনলাইনে জমা দেওয়া হয়।

রিট পিটিশনে বলা হয়, সরকার সম্প্রতি করোনার নাম দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে ঢালাওভাবে লকডাউন জারি করেছে। বাংলাদেশে প্রচলিত “সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮”-এর অধীনে কেবলমাত্র সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চলাচল, বসতবাড়ি কিংবা ব্যবহৃত দ্রব্যাদিতে সরকার নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে। অসুস্থ মানুষদের কারণে সমগ্র এলাকা কিংবা সমগ্র শহর লকডাউন করার কোনো আইনগত এখতিয়ার সরকারের নেই। তাছাড়া করোনাকে এখনো বাংলাদেশ সরকার উক্ত আইনের অধীনে “সংক্রামক ব্যাধি” হিসেবে ঘোষণাও করেনি। এমতাবস্থায় সুস্থ-সবল নাগরিকদের সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত পেশার স্বাধীনতা, চলাচলের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের আইনগত কর্তৃত্ব সরকারের নেই।

পিটিশনে আরো বলা হয়, লকডাউন মৃত্যুহার কমাতে পারে, এমন ধারণার কোনো প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কারণ সারা বিশ্বে যেসব দেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি হারে মৃত্যু হয়েছে (মিলিয়ন জনসংখ্যায় মৃত্যুহার হিসেবে), তার প্রথম ১০টিতেই লকডাউন হয়েছিল। অপরদিকে লকডাউন না হয়েও সুইডেন মৃত্যুহারের দিক থেকে ১১তম অবস্থানে আছে। আবার অনেক দেশে লকডাউন তুলে নেয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। মামলাটি বিচারক ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চে শুনানির জন্য অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছে।

লিংক -১.  https://www.banglatribune.com/others/news/630279/%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9F?fbclid=IwAR32-MzWD73ew2_7BRNCHVHhHp8YG8u2VHzgNB-nCWCSz54npYCtDeOWJLc

২. https://bisshobarta24.com/2020/06/%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%ac/


লকডাউনে থেমে নেই মসজিদ ভাঙ্গা

মসজিদুল আবেদিন জামে মসজিদ

লকডাউনে থেমে নেই মসজিদ ভাঙ্গা

ঢাকা আগারগাঁওয়ের প্রাক্তন বিএনপি বস্তির কোল ঘেঁষে অর্ধশত বছরের পুরনো মসজিদুল আবেদীন জামে মসজিদ। হাজার হাজার ভাসমান পরিবারের তিনপুরুষ অবধি নামাজ আদায় করার একমাত্র মসজিদ। বলা চলে, সেই মসজিদটিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল জনবসতি। আজ সেখানে নেই সেই বিএনপি বস্তি। পিঁচঢালাই সড়কের অপর পাশে প্রতিষ্ঠা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, শত শত দোকান ও কয়েক কুড়ি পাকা দালানও হয়েছে। মসজিদটি কিন্তু সেখানেই ঠাঁয় দাড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে।

পাঞ্জেগানা নামাজ, জুমুয়া, ঈদের জামাত এবং জানাযার নামাজে প্রতি ওয়াক্তেই ভরে উঠে সেই মসজিদটি। কিন্তু আজকে সেই মসজিদটিই হয়ে উঠেছে গুটিকতক স্বার্থান্বেষী মহলের চোখের বালি। এই মহলের মধ্যে রয়েছে মসজিদ কমিটির প্রধান জনাব আব্দুল গণি, ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ আরো কয়েকজন।

স্থানীয় লোক মারফত জানা গেছে উক্ত মসজিদের জমিটি অনুর্ধ্ব ষাট বছর পুর্বে আগারগাঁও এলাকার মরহুম জয়নুল আবেদীন সাহেব ওয়াকফ করে যান। বর্তমানে উনার সন্তানগণই মসজিদটির মুতওয়াল্লী হিসেবে সার্বিক তত্ত্বাবধান করে আসছেন। কিছুদিন পুর্বে সড়ক প্রশস্তকরণের নামে মসজিদটির ভূমি অধিগ্রহণ করা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গণির গোপন বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে মসজিদের দুই-তৃতীয়াংশ জমি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহিত হবে এবং অধিগ্রহনের বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা মসজিদ কমিটিকে দেওয়া হবে। সেই টাকার লোভেই আব্দুল গণি মসজিদটি ভাঙার জন্য উঠে পড়ে লাগে। উক্ত এলাকার ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফোরকান সাহেবও এ বিষয়ে অবগত আছেন।

মুতওয়াল্লীদের পরিবারবর্গের সাথে ফোনালাপে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের সাথে মসজিদ মুতওয়াল্লীদের এই মসজিদ বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়। মসজিদটি ভাঙার বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত আগ্রহ দেখে খটকা লাগে মসজিদ মুতওয়াল্লীদের মনে। তারা বিষয়টি আইনী প্রক্রিয়ায় সমাধানের জন্য উচ্চ আদালতে রীট দায়ের করে। উচ্চ আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে মসজিদের জমিটির জন্য স্ট্যাটাস ক্যু বা স্থিতিবস্থা রুল জারী করে। সেখানে উভয় পক্ষকে একমাসের সময় দেওয়া হয় বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সমাধান করে নেওয়ার জন্য। এরই মাঝে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় এবং সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। কোর্টের কার্যক্রমও অনেকাংশে এই সাধারণ ছুটির আওতায় চলে আসে। তখন থেকে এযাবত এই বিষয়টি নিয়ে আর কোন উচ্চবাচ্য হয়নি।

স্থিতিবস্থা রুল জারীর কপি

ছয়দিন পুর্বে সিটি কর্পোরেশন থেকে মসজিদের মুতওয়াল্লীকে চিঠি দেওয়া হয় যে অদ্য ২১ তারিখ রোজ রবিবার সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি আসবে মসজিদের জমিটি চিহ্নিত করার জন্য। ২০ তারিখ সন্ধ্যায় স্থানীয় থানা কর্তৃক মসজিদের ইমাম সাহেবের নিকট হতে মসজিদের ওয়াকফনামা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র নেওয়া হয় এবং জানানো হয় যে আগামীকাল সকাল ১০ টায় থানা হতে পুলিশ ফোর্স আসবে উচ্ছেদ অভিযানে। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর একটি বুলডোজার এনে মসজিদের সামনে রাখা হয় এবং বুলডোজার দিয়ে আঘাত হেনে মসজিদের মেহরাবের দেয়ালে ফাটল ধরিয়ে দেওয়া হয়। বুলডোজারটিকেও সারা রাত মসজিদের সামনেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে মসজিদের ইমাম সাহেব এবং মুসল্লীগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। উনারা আশঙ্কা করছেন যে হয়তো জমি চিহ্নিতকরণের নামে পুলিশী প্রহরায় মসজিদটি আজকে ভেঙে ফেলা হবে।

মসজিদের ভেতর থেকে (ফাঁটা মেহেরাব)

এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে আজ সকলে মসজিদের সামনে একত্রিত হবে এবং সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হলেও মসজিদ ভাঙা প্রতিহত করবে।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/06/the-mosque-is-broken/


চট্টগ্রামের ওলী-আউলিয়া, হক্কানী ওলী-মুর্শিদ নিয়ে বিরূপ
মন্তব্য করায় দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদককে আইনী নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তকে চট্টগ্রামের আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশটি চট্টগ্রামে বিশিষ্ট নাগরিক মুহম্মদ আলী হায়দার সাহেবের পক্ষ থেকে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মাসুদুজ্জামান সাহে এই আইনী নোটিশটি প্রেরণ করেন।
নোটিশ থেকে জানা যায়, গত ৩ জুন ২০২০ তারিখে দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত “চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা করার কি কেউ নেই?” শীর্ষক একটি মন্তব্য-প্রতিবেদনে চট্টগ্রামকে একটি মৌলবাদী, ধর্মীয় গোঁড়া ও উগ্রবাদী চিন্তার চর্চার কেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করে লেখা প্রকাশ করা হয়।

নোটিশে বলা হয়, চট্টগ্রাম সম্বন্ধে এ ধরণের মূল্যায়ন বাস্তবতাবর্জিত ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ। চট্টগ্রামকে এভাবে উপস্থাপন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য- যা চট্টগ্রামবাসীদের জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর। চট্টগ্রাম কিভাবে তথাকথিত “একটি মৌলবাদী, ধর্মীয় গোঁড়া ও উগ্রবাদী চিন্তার চর্চার কেন্দ্র” কিংবা চট্টগ্রাম কিভাবে “একটি সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় হানাহানির কদর্য চেহারা”-র শহর, সেটার কোনো তথ্য-উপাত্ত বা ব্যাখ্যাও এই মন্তব্য-প্রতিবেদনটিতে পাওয়া যায় না।

নোটিশে আরও বলা হয়, পীর-আউলিয়ার প্রতি ভক্তি-সম্মান, পীর-মুরিদের পারস্পরিক ভালোবাসা-স্নেহ-ভক্তি এগুলো সবই চট্টগ্রামের গৌরবময় সংস্কৃতির অংশ। তাই চট্টগ্রামবাসীর আউলিয়া-ভক্তি নিয়ে মন্তব্য এবং চট্টগ্রামকে “সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় হানাহানির কদর্য চেহারা”-র শহর হিসেবে উপস্থাপন- উভয়টিই সম্পূর্ণ বাস্তবতাবর্জিত, বিদ্বেষপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য।
নোটিশে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে বাংলাদেশের কোনো শ্রেণির দ্বীনি মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করা বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য। আপনার উল্লেখিত মন্তব্যসমূহ বাংলাদেশ দ-বিধির ২৯৫(ক) ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ ধারার লঙ্ঘন।

এমতাবস্থায় এই নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে এ ধরণের মন্তব্যসমূহ প্রত্যাহার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

লিংক-https://bisshobarta24.com/2020/06/%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%93%e0%a6%b2%e0%a7%80-%e0%a6%86%e0%a6%89%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a6%b9/

৫০০ বিশিষ্ট নাগরিকের আহবান : লকডাউন দিয়ে দেশকে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিবেন না

লকডাউন দিয়ে দেশকে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক : যারা লকডাউনের পক্ষে বলে দেশের অর্থনীতিকে আরো ক্ষতিগ্রস্থ করতে চায় এবং দেশের মানুষকে আতঙ্কগ্রস্থ করতে চায়, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার আহবান জানিয়েছেন দেশের ৫০০ বিশিষ্ট নাগরিক। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি রক্ষায় আর কোন প্রকার লকডাউন না দিয়ে পণ্য আমদানীর পরিবর্তে রপ্তানীমুখী নীতি গ্রহণেরও আহবান জানিয়েছেন তারা। গতকাল গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা কথা বলেন, “করোনা ভাইরাস ১৯৩০ সালে আবিষ্কৃত পুরাতন একটি ভাইরাস। যা মানুষের স্বাভাবিক সর্দি, ঠাণ্ডা, জ্বর হওয়ার জন্য দায়ী। গত ২০১৯ সালের শেষ দিকে ভাইরাসটির একটি নতুন স্ট্রেইনের আগমন ঘটে, যা শীত প্রধান দেশগুলোতে ব্যাপকহারে মৃত্যু ঘটায়। যদিও তা গরম বা নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোতে তেমন মৃত্যু ঘটাতে পারেনি এবং ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়েই সিংহভাগ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছে।

কিন্তু একটি অতি উৎসাহী মহল এই রোগটি নিয়ে অতিআতঙ্ক ছড়িয়ে চলেছে, যা তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহের উদ্রেগ করেছে। বিশেষ করে, এ মহলটি মানুষের মধ্যে নানা প্রকার গুজব ছড়িয়ে করোনাকে এমন ভয়ঙ্কর রোগ হিসেবে প্রচার করেছে যে, “করোনার অপর নাম মৃত্যু”। তাদের এমন গুজবের কারণে করোনা ভীতির কারণে অনেক মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ সম্প্রতি গুজব ছড়ায় যে, ‘বাংলাদেশে শুধু ঢাকায়ই সাড়ে ৭ লাখ আক্রান্ত হয়েছে।’ আইইডিসিআর এই নিউজের প্রতিবাদও জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বক্তারা আরো বলেন, জনগণের উপর লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্সসহ নানা ধরনের ভ্রান্ত নিয়ম নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে, যা করোনা ভাইরাস নামক রোগের মোটেও গ্রহণযোগ্য কোন চিকিৎসা নয়।  বলাবাহুল্য এইসব ভ্রান্ত নিয়মনীতি পালন করতে গিয়ে জনগণ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয়, এসব অপপ্রচারকারীদের অতি আতঙ্কের কারণে অনেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়ে স্ট্রোকের ঘটনাও ঘটছে।

করোনাভীতি ছড়িয়ে জনগণ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে –

১) ৬৫ দিন লকডাউন বা সাধারণ ছুটির কারণে আমরা দ্বীনি, অর্থনৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। খুব সামান্য সময়ের ব্যবধানে এই ক্ষতি পোষানো সম্ভব নয়।

২) লকডাউন দিয়েও অনেক দেশ করোনায় মৃত্যুহার কমাতে পারেনি। উদাহরণ- আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, জার্মানি। তাহলে লকডাউন কিভাবে করোনার সমাধান হতে পারে? অপরদিকে, লকডাউন না দিয়েও সুইডেন মৃত্যুহারে (প্রতি মিলিয়ন জনসংখ্যায়) সপ্তম। তার আগের ৬টি রাষ্ট্র লকডাউন দিয়েও মৃত্যুর গতি থামাতে পারেনি। পাশাপাশি তাইওয়ানও লকডাউন না দিয়ে মৃত্যুহার সামান্য।

৩) মহামারী হলো, মহা আকারে মারী (মৃত্যু)। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের নামে ৩০-৪০ জনের মৃত্যু কখনই প্রমাণ করে না করোনা মহামারী তৈরী করেছে। অথচ প্রতিদিন বাংলাদেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর হার প্রায় আড়াই হাজারের মত। উপরন্তু এই ৩০-৪০ জনের অধিকাংশ বার্ধক্যজনিত ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় মৃত্যুবরণ করেছে।

৪) একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করোনা নিয়ে ভীতি তৈরী করছে এবং লকডাউন দিয়ে জীবন-জীবিকা স্থবির করে দিতে চাইছে।
৫) অতিরিক্ত করোনা ভীতির কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে এবং করোনা ভিন্ন অন্য রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছে ।

৬) লকডাউনের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এতে বহু লোক চাকুরী হারিয়ে বেকার জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশের জিডিপি’র মারাত্মক পতন ঘটেছে। রোজা ও ঈদের বাজার ধরতে পারেনি মানুষ। ৬৫ দিনে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫-৬ লক্ষ কোটি টাকার মত।

৭) করোনায় ছোঁয়াছে ভীতি প্রচারের কারণে মানুষের মাঝে মনুষ্যত্বের বিলুপ্তি ঘটেছে। এতে একজন মানুষ অন্য মানুষের সাহায্যার্থে, এমনকি নিজ পিতা-মাতার জন্য আপন সন্তানরা এগিয়ে আসছে না।

৮) লকডাউনের অর্থনৈতিক ক্ষতিতে প্রায় সকল রাষ্ট্রই বুঝতে পেরেছে, তাই সব দেশ লকডাউন তুলে নিচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশে একটি মহল এখনও রাষ্ট্রকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে পুনরায় লকডাউন ও কারফিউ দেয়ার জন্য।

৯) সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর নামে এখন বিভিন্ন স্থানে হয়রানি করা হচ্ছে এবং মসজিদগুলোতে ফরজ নামাজে কাতারের মাঝে ফাকা রাখতে বলা হচ্ছে, যা শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। হ্যান্ড স্যানেটাইজার নামক নাপাক অ্যালকোহল দিয়ে হাত ধুইতে বাধ্য করা হচ্ছে। সুন্নতি মুসাফাহা-মুয়ানাকায় বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে, যা আমাদের দ্বীন ইসলাম পালনের ক্ষেত্রে মারাত্মক বাধাগ্রস্ত করেছে।

১০) ৩০ মিনিটের বেশী মাস্ক পড়ে থাকা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। তারপরও মাস্ক না পড়লে ৬ মাসের জেল/জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে, যা মানুষকে আরো অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিবে। এছাড়া বিষাক্ত জীবানুনাশক যত্রতত্র ছিটানোর ফলে মানুষের শ্বাসযন্ত্র মারাত্বক বিষক্রিয়ার সম্মুখিন হয়েছে এবং হচ্ছে।

এমতাবস্থায় বিবৃতিদাতাদের বক্তব্য হলো-

ক) লকডাউন দিয়ে যদি সুস্থতা লাভ করা যেতো, তাহলে লকডাউন দেয়ার পরও কেন? ঔষধ খেতে হয় এবং ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হয়।

খ) করোনা ভাইরাসের সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কেন আমাদের জনগণের উপর ৬৫ দিনের লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্সসহ বিভিন্ন হাতুরে ডাক্তারি চাপিয়ে দেয়া হলো? যারা এ সকল ভ্রান্ত ব্যবস্থা প্রচার-প্রসার করে রাষ্ট্রকে তা গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।

গ) যারা নতুন করে যারা লকডাউন, কাউফিউ, গ্রিন-ইয়োলো-রেড জোনের দাবী তুলে জনগণকে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চাইছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

ঘ) ৬৫ দিনের লকডাউনে জনগণের ক্ষতি পূরণে; যারা এগুলোর পক্ষে কাজ করেছে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে তা শোধ করা হোক।

ঙ) মাস্ক নিয়ে আইন, মসজিদে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর নিয়মনীতি বাতিল করা হোক।

চ) যেসব মিডিয়া মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাদের নিষিদ্ধ করা হোক।

ছ) নতুন করে যেকোন প্রকার লকডাউন দেয়া বন্ধ করা হোক।

জ) দেশের অর্থনীতি রক্ষায় যেকোন পণ্য আমদানীর পরিবর্তে রপ্তানীমুখী নীতি গ্রহণ করে; সব ধরণের পণ্য দেশে উৎপাদনের দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হোক।

বিবৃতিদাতারা হলেন: মুহম্মদ আব্দুর রউফ, এডিসন গ্রুপ, মুহম্মদ সাইফুল হাবিব,ব্যবসায়ী, বগুড়া, মুহম্মদ কমল,ব্যবসায়ী, বগুড়া, মুহম্মদ আবুল কাশেম, ফার্মাসিষ্ট, মুহম্মদ এরশাদ, কিশোরগঞ্জ, মুহম্মদ বজলুর রহমান, শিক্ষক, মুহম্মদ দ্বীন ইসলাম, ক্যাশিয়ার, পেট্রোলিয়াম কোং, মুহম্মদ শাহদাত রহমান, ট্রান্সপোর্ট সুপার, মুহম্মদ মাহবুব বিল্লাহ,সাপ্লায়ার, মুহম্মদ মিন্টু,ব্যবসায়ী সহ মোট ৫৩০ জন ।

https://rfn24.com/2020/06/%e0%a7%ab%e0%a7%a6%e0%a7%a6-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%b9%e0%a6%ac/


Facebook Comments

লকডাউনের পক্ষে বক্তব্য দেয়ায় ৫ জনকে আইনী নোটিশ

লকডাউনের পক্ষে বক্তব্য দেয়ায় ৫ জনকে আইনী নোটিশ

লকডাউনের পক্ষে বক্তব্য দেয়ায় ৫ জনকে আইনী নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের মানুষের ও দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর লকডাউনকে সমর্থন করে লকডাউন জারির পক্ষে বক্তব্য দেয়ায় দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকাদ্বয়ের সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষ থেকে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, হেলথ এ্যান্ড হোপ হসপিটালের চেয়ারম্যান ড. লেনিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ভাইরোলোজিস্ট ডা. নজরুল ইসলাম, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. মোজাহেরুল হক এবং ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পৃথক আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি জনাব এবিএম. গোলাম মোস্তফা তাজসহ আর ২ জন আইনজীবির স্বাক্ষরিত আইনী নোটিশে এই ৫ জনকে লকডাউনকে সমর্থন দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রেরিত নোটিশসমূহে বিভিন্ন গণমাধ্যমের উদ্বৃতি দিয়ে উল্লিখিত ব্যক্তিদের লকডাউনকে সমর্থন করা বক্তব্যসমূহকে বাস্তবতাবর্জিত, অবৈজ্ঞানিক ও বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশসমূহে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনেক বৈজ্ঞানিকরাই বলেছে, বিশ্বব্যাপী জারিকৃত লকডাউন ‘বিশাল ভুল’ ছিল। এতে সমাজের বড় ক্ষতির পাশাপাশি কোনো ধরনের হার্ড ইমিউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নোটিশগ্রহীতারা লকডাউন নিয়ে যে ধরণের মন্তব্য করেছে তার কারণে জনমনে অহেতুক আতংক সৃষ্টি হতে পারে এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে বিভ্রান্তির শিকার হতে পারেন। এই ধরনের ভুল, অতিরঞ্জিত ও অসমর্থিত তথ্য/মতামত গণমাধ্যমে প্রকাশ করা দায়িত্বহীনতার পরিচয়। এমতাবস্থায় নোটিশগ্রহীতাদেরকে নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে মন্তব্যসমূহ প্রত্যাহার করে, ক্ষমাপ্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

https://bisshobarta24.com/2020/06/%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a6/

শরীয়তবিরোধী শর্ত আরোপ করায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

শরীয়তবিরোধী শর্ত আরোপ করায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

শরীয়তবিরোধী শর্ত আরোপ করায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায়ে কাতারের মাঝে ফাঁক ফাঁক করে দাঁড়ানোর শরীয়তবিরোধী শর্ত আরোপ করায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন মুহম্মদ তাজ জামে মসজিদের খতীব আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আজিজুল্লাহ। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান তার পক্ষ থেকে নোটিশটি পাঠান।

নোটিশে গত ৬ মে ২০২০ তারিখে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কিছু শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের মসজিদসমূহে জামায়াতে নামাজ পড়ার অনুমতির বিজ্ঞপ্তির ৪ ও ৫ নং শর্তসমূহে উল্লেখিত: কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তিন ফুট পরপর দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর [অর্থাৎ এক কাতার বাদ দিয়ে] কাতার করতে হবে; এই নির্দেশনা লংঘিত হলে মসজিদ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উল্লেখিত নির্দেশনাকে শরীয়ত পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করে নোটিশদাতা জানিয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কিছু পবিত্র নির্দেশনা মুবারক দিয়েছেন, যা হলো– তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নাও আর পরস্পর মিলে দাঁড়াও। [পবিত্র বুখারী শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৭১৯] -তোমরা কাতার সোজা কর, কাঁধের সাথে কাঁধ বরাবর কর, ফাঁক বন্ধ কর, শয়তানের জন্য কোন ফাঁক রাখবে না। যে ব্যক্তি কাতারের সংযোগ স্থাপন করে, মহান আল্লাহ পাক তিনিও তার সাথে সংযোগ স্থাপন করেন, আর যে কাতার ছিন্ন করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সাথে সংযোগ ছিন্ন করেন। [পবিত্র আবু দাউদ শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৬৬৬] – তোমারা [নামাজের কাতারে] সোজা হয়ে দাঁড়াও, বিচ্ছিন্ন হয়ো না, তাহলে তোমাদের অন্তরে অনৈক্য সৃষ্টি হবে। [পবিত্র নাসাঈ শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৮১২]- হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা যেভাবে তাদের প্রতিপালকের সামনে লাইন বেঁধে দাঁড়ায়, তোমরা কি সেভাবে লাইন বাঁধবে না?
হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বললেন, হে আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিভাবে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা তাদের রবের সামনে কাতারবন্দী হন? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “তারা প্রথম লাইন (আগে) পূর্ণ করে এবং পরস্পরের সাথে মিলে দাঁড়ায়।” [পবিত্র মুসলিম শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৮৫৪] – নিশ্চয়ই মহমান আল্লাহ পাক ও উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, যারা কাতারসমূহকে সংযুক্ত করে। আর যে ব্যক্তি ফাঁক বন্ধ করল, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। [পবিত্র সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৯৯৫] – বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বলেছেন, [নামাজের কাতারে] আমাদের প্রত্যেকেই তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলাতাম। [পবিত্র বুখারী শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৭২৫]

সম্মানিত হানাফী মাযহাবের ফিকহের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘বাদাইউস সানাই’-তে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: “আর যখন কাতারে দাঁড়াবে তখন পরস্পর মিলে দাঁড়াবে এবং কাঁধের সাথে কাঁধ বরাবর করবে; কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন: তোমরা পরস্পর মিলে দাঁড়াও এবং কাঁধের সাধে কাঁধ মিলাও।”

দুই কাতারের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমানোর ব্যাপারে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, তোমরা [নামাজের] কাতারসমূহে মিলে মিশে দাঁড়াবে।

এক কাতারকে অপর কাতারের নিকট রাখবে। পরস্পর কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে। ওই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! আমি চাক্ষুস দেখতে পাচ্ছি, কাতারের খালি [ফাঁকা] জায়গাতে শয়তান যেন একটি বকরীর বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করছে।” [পবিত্র আবু দাউদ শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৬৬৭]

নোটিশে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের এতদ্বয় দলীল প্রদান করে নোটিশদাতা জানান, জামায়াতের কাতারের ক্ষেত্রে তিন ফুট দূরত্ব কিংবা এক কাতার বাদ রেখে আরেক কাতারে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ পবিত্র হাদীস শরীফ কিংবা শারীয়াতের নির্দেশনায় নেই। পবিত্র ইসলামী শারীয়াতে অসুস্থ ব্যক্তিকে মসজিদে না আসার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু কারো অসুস্থতার অজুহাতে জামায়াতের কাতারে ফাঁক রাখা কিংবা এক কাতার বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ পবিত্র ও সম্মানিত শরীয়াতে নেই। সুতরাং ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ৬ মে ২০২০ তারিখে জারিকৃত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে প্রদত্ত ৪ ও ৫ নং শর্তসমূহ পবিত্র দ্বীন ইসলামের পরিপন্থী। সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, সুতরাং ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকারও রয়েছে। জামায়াতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কাতারে ফাঁক না রেখে দাঁড়ানোর দ্বীনি অধিকার আমার মক্কেলসহ বাংলাদেশের সকল মুসলিমের রয়েছে। অথচ আপনি বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করেছেন। সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ গ্রহণকারী একজন দায়িত্বশীল পদাধিকারী হিসেবে আপনার কাছে এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়।

নোটিশে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ধর্র্ম মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত উল্লেখিত জরুরি বিজ্ঞপ্তির ৪ ও ৫ নং শর্তসমূহ প্রত্যাহার করে নেয়ার আহবান জানানো হয়। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়।

লিংক-https://bisshobarta24.com/2020/05/%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a7%9f%e0%a6%a4%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a7%e0%a7%80-%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%aa-%e0%a6%95%e0%a6%b0/

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget