May 2020
১০০০কোটি টাকা ১২ রবিউল আউয়াল ৫০০ বিশিষ্ট নাগরিকের আহবান ৫৭ ধারায় ৬৩ দিন ৬৪জেলা ৭১টিভি ৯৯৯ bbc ntv অবমাননা অসাংবিধানিক আইজিপি আইন আইনমন্ত্রী আইনি নোটিশ আইপিএল আইমান ফোরম আওয়ামী ওলামা লীগ আদালত আল বাইয়্যনাত ইফা ইসকন ঈদে মিলাদুন্নবী ঈমান বাঁচানো ফাণ্ড ঈশার আযান বন্ধ একাত্তর টিভি এনটিভি এনায়েতআব্বাসী কটুক্তি কটূক্তি কড়িগ্রাম মসজিদ কমিটি করোনা করোনা ভাইরাস কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী কুরবানি নিষিদ্ধ কুরবানির পশু কুরবানী কুরবানীর হাট কোটি কোটি কন্ঠে মিলাদ শরীফ কোরবানি ক্যাম্পেইন বন্ধে ক্লোজআপ কাছে আসার রিকশা গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গান-বাজনা গ্রহণযোগ্য নয় গ্রিক দেবী গ্রিক দেবীর মূর্তি চাঁদ দেখা চ্যালেঞ্জ ছবি জয় হিন্দ জররি সেবা জাতীয় পরিচয় পত্র জাফর ইকবাল জাফরুল্লাহ জিয়া জুয়া জেলা প্রশাসন ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিএমপি কমিশনার ডিওএইচএস পরিষদ ডিসি ঢাবি শিক্ষক ঢাবি শিক্ষক জিয়া তথ্যমন্ত্রী তদন্তে সিআইডি দাড়ি দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায় দেবী চলচ্চিত্র দৈনিক আল ইহসান দৈনিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বদেশ দ্বীন ইসলাম ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ন ডরাই নগ্নতা উৎসাহিত নবীজীর ম‌ানহানি নানীর বাণী-দ্য আরেফিন নিধার্রিত স্থানে নিষেধাজ্ঞা নুরুল ইসলাম সুজন নৌপরিবহন সচিব পবিত্র কাবা শরীফ পরিচালক পর্দা পশু জবাই পশুর হাট পহেলা বৈশাখ পাঠ করা পুবিত্র মিলাদ শরীফ পুলিশ সুপার পেীর মেয়র প্রকাশক প্রতিবাদ প্রতিবাদলিপি প্রদর্শনী প্রধান শিক্ষক প্রসাদ প্রসাশন প্রিয় নুসরাত প্রেসক্লাব ফিঙ্গার প্রিন্ট ফেরেশতা ফ্রান্স ফ্ল্যাট বগুড়া বালা-মুসিবত বাল্যবিবাহ বিপিএল বিবিসি বিবিসি বাংলা বোরকা-হিজাব বোরখা হাইকোর্টে রিট দায়ের বোরখা-হিজাব ভারত ভাস্কর্য ভোরের কাগজ মঙ্গল যাত্রা মজলিসু রইয়াতিল হিলাল মসজিদ মসজিদ অবমাননা মসজিদ ভাঙ্গা মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মাদরাসায় নৃত্য মাদ্রাসার বই মানহানি মানহানী মামলা মারজিয়া আক্তার শিলা- নরসিংদী মাস্ক ব্যবহার মাহমুদুল মাদানী মিলাদ শরীফ মুযাফফর মূর্তি মূর্তি নিয়ে অপব্যাখ্যা মূর্তি-ভাস্কর্য পক্ষের কথিত সাংবাদিকের যুক্তি খণ্ডন মোমবাতি প্রজ্জলন যুব আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত রমেক হাসপাতাল রাজারবাগ দরবার শরীফ রাজারবাগ শরীফ রাজ্জাক রাবি ভিসি রাসূলের অবমাননায় পূর্বদেশের বিরুদ্ধে মামলা রাস্তায় কুকুর রাস্তায় কুকুরের উপদ্রব রিট রুল রেল মন্ত্রী লকডাউন লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৮ লিগ্যাল নোটিশ শবে বরাত শরীয়ত বিরোধী শান মুবারক শাবান মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রা সময় টিভি সম্পাদক সম্মিলিত ইসলামী জোট সরকারী সাইয়্যিদুল আইয়াদ ১২ শরীফ সুন্নতি সামগ্রী সুন্নতি সামগ্রী প্রদর্শনী সুপ্রিম কোর্ট স্কুলছাত্রী স্কুলে মন্ত্রপাঠ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ্জ পালন নিষিদ্ধ করায় প্রতিবাদলিপি হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম হাইকমিশনার হাইকোর্ট হাউজিং কমপ্লেক্স হাজরে আসওয়াদ হাজরে আসওয়াদকে মূর্তির হাদীস শরীফ হারাম হাসানুল হক ইনু হিউম্যান মিল্ক ভ্যাংক হিযাব

‘ইসলামিক স্টাডিজ’ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় লিগ্যাল নোটিশ

‘ইসলামিক স্টাডিজ’ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় লিগ্যাল নোটিশ

‘ইসলামিক স্টাডিজ’ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় নেত্রকোনা জেলার কলমান্দা উপজেলার ইউএনওকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.বি.এ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুহম্মদ মাহদী হাসান।রোববার বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট মাসুদুজ্জামান রেজিস্টার্ড ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদ বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-কে “স্যার” না বলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করেছে নেত্রকোনা জেলা কলমাকান্দা থানার অফিস ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম। সে এ সময় ওই শিক্ষার্থীকে ‘ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট হলো মাইগ্যা ডিপার্টমেন্ট, এখানে তো মাইগ্যারা পড়ে’ বলে মন্তব্য করে।

নোটিশে খবরের বরাত দিয়ে বলা হয়, ভবানীপুর এলাকার দুই বাড়িতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে লোকজন আসায় এলাকায় ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছিলো। এরপর এলাকা লকডাউন করার জন্য এলাকার লোকজন চেয়ারম্যানসহ নাজিরবাজার এলাকায় ইউএনও’র কাছে অনুরোধ করেন। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী ইউএনও-কে স্যার না বলায় তার উপর চড়াও হন কলমাকান্দা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম। তিনি এসময় ওই শিক্ষার্থীকে জেরা করেন।

এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর বিভাগ ‘ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট হলো মাইগ্যা ডিপার্টমেন্ট, এখানে তো মাইগ্যারা পড়ে’ বলে মন্তব্য করেন। এই বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উক্ত মন্তব্যকে অত্যন্ত অসম্মানজনক ও মানহানীকর উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশ্যিত ঘটনাটি ও আপনার মন্তব্যটি অত্যন্ত অসম্মানজনক ও মানহানিকর। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তাকে “স্যার” বলতে বাধ্য নন। এটি মূলত ব্রিটিশ আমলের একটি ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি। তাই কোনো শিক্ষার্থী যদি কলমাকান্দার ইউএনও-কে “স্যার” সত্যিই না বলে থাকেন, সেটি বাংলাদেশে বিদ্যমান কোনো আইনে অপরাধ নয়। বিশেষত উক্ত শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ডিপার্টমেন্টের ছাত্র, সেই ডিপার্টমেন্ট নিয়ে আপনার অশালীন মন্তব্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও মানহানিকর।

যে ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করেন, সেই ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলাটা প্রকারান্তরে দ্বীন ইসলামেরই অবমাননা। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ মোতাবেক “…আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহারলাভ যে কোন স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষতঃ আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোন ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।” সুতরাং সুনির্দিষ্ট কোনো আইনের লঙ্ঘন না হলে বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের প্রতি অসম্মানজনক কোনো কথা বলা যাবে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী কার্যত কোনো অপরাধ করেননি। বরং উক্ত শিক্ষার্থীকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলতে গিয়ে পুরো ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে নিয়ে অপমানজনক কথা বলেছে এবং প্রকারান্তরে দ্বীন ইসলামকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করেছে।

উক্ত নোটিশে এ ধরণের অবমাননাকর মন্তব্য প্রত্যাহার করে সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/04/%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a6%9c-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a7%87-%e0%a6%85/


স্ত্রীকে ফেরৎ আনার জন্য লিগ্যাল ...

শরীয়ত বহির্ভূত যাকাত সংগ্রহ: ‘বিদ্যানন্দ’র চেয়ারম্যানশরীয়ত বহির্ভূত যাকাত সংগ্রহ: ‘বিদ্যানন্দ’র চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস ও শিপ্রা দাসকে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্মানিত শরীয়তে যে সকল খাতে যাকাত দেয়ার কথা বলা হয়েছে সেই সকল খাতের বাইরে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে যাকাত সংগ্রহ করে ভিন্ন খাতে ব্যয়ের মাধ্যমে শরীয়ত অবমাননা করায় ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের’ চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক শিপ্রা দাসকে পৃথক লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুবুল আলম। রেজিস্টার্ড ডাকযোগে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নামের স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটের দ্বারা বাংলাদেশের মুসলিমদের যাকাত সংগ্রহ করে এবং সংগৃহীত যাকাতের অর্থ দিয়ে কৃষকের জন্য সার-বীজ, মহিলাদের জন্য গরু-বাছুর, সেলাই মেশিন ক্রয়, রিকশা ক্রয় ইত্যাদি কাজ করে থাকে।

অথচ যাকাত পবিত্র দ্বীন ইসলামের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ও একটি পবিত্র ইবাদত। পবিত্র কুরআন মাজীদে “যাকাত” শব্দের উল্লেখ এসেছে ৩২ বার। নামাজের পরে সবচেয়ে বেশি বার “যাকাত” শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে। যাকাত যেহেতু একটি পবিত্র ইবাদত, অন্যান্য ইবাদতের মতো এই ইবাদতটিও পবিত্র দ্বীন ইসলামের শারীয়াত তথা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সম্পন্ন করতে হয়। পবিত্র কুরআন মাজীদ ও হাদীস শরীফে যাকাত আদায় ও বিতরণ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিধিবিধান রয়েছে। যাকাতের একটি অন্যতম প্রধান বিধান হচ্ছে, যাকাত আদায়কারী ও যাকাত গ্রহীতা উভয়কেই দ্বীনদার মুসলিম হতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান হচ্ছে, কোনো রকম শর্ত ছাড়াই যাকাত গ্রহীতাকে যাকাতের পুরো অর্থের মালিকানা প্রদান করতে হবে; যাকাত গ্রহীতা সেই অর্থ কিভাবে খরচ করবেন সেটার এখতিয়ার আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা পুরোপুরিই যাকাত গ্রহীতাকে প্রদান করেছেন। যাকাত বিতরণকারী নিজে থেকে কোনো শর্ত আরোপ করতে পারবে না।

কিন্তু বিদ্যানন্দ নামক প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যানারে বাংলাদেশের মুসলিমদের যাকাত সংগ্রহ করছে। অথচ বিদ্যানন্দ নামের প্রতিষ্ঠানটি “শিক্ষা অনুকূল স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা (সরকারী নিবন্ধন নম্বর এস -১২২৫৮ / ২০১৫)” হিসেবে নিবন্ধিত। The Societies Registration Act, 1860-এর অধীনে কেবল “societies established for the promotion of literature, science, or the fine arts, or for the diffusion of useful knowledge, the diffusion of political education or for charitable purposes”শ্রেণির প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন প্রদান করা হয়। The Societies Registration Act, 1860 -এর অধীনে কোনো ধর্মীয় ইবাদত পালনের লাইসেন্স দেওয়া হয় না। কোনো ধর্মীয় ইবাদত/উপাসনা যথেচ্ছভাবে পালন করা যায় না। প্রত্যেকটি ধর্মের নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যেই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে হয়। বাংলাদেশের নাগরিক মাত্রই এই ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রাপ্য। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে।

নোটিশে আইনজীবি জানান, আমার মক্কেল একজন দ্বীনদার মুসলিম। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নাযিলকৃত পবিত্র দ্বীন ইসলামকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসেন। তিনি বাংলাদেশের একজন সম্মানিত নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধানে তার দ্বীন পালনের অধিকার স্বীকৃত রয়েছে। আমার মক্কেল আপনাদের কাছে জানতে চান, আপনারা (নোটিশগ্রহীতাগণ) বাংলাদেশের কোন্ আইনের বলে পবিত্র দ্বীন ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ যাকাত আদায় করছেন? কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ইবাদতকে যথেচ্ছভাবে পালনের লাইসেন্স/এখতিয়ার আপনারা কোথা থেকে পেয়েছেন? মুসলিমদের পবিত্র ইবাদত যাকাত আদায়ের শর্ত [যেমন, মুসলিম হওয়া] আপনারা লঙ্ঘন করতে পারেন কিনা? যাকাত গ্রহীতাকে যাকাতের অর্থ নিজের ইচ্ছামতো খরচ করতে না দিয়ে আপনারা যাকাতের টাকায় রিকশা, সেলাই মেশিন, গরু-বাছুর ইত্যাদি কিনে দিচ্ছেন কোন্ শরীয়ত অনুসরণ করে? যাকাত গ্রহীতা কেন আপনাদের গৃহীত প্রকল্প অনুযায়ী যাকাতের টাকা ভোগ করবেন? অথচ যাকাত গ্রহীতার নিজের বিবেচনামতো যাকাতের অর্থ খরচ করার এখতিয়ার স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা যাকাত গ্রহীতাকে প্রদান করেছেন। কিছু কথিত আলেমকে দিয়ে একটি তথাকথিত “বিশেষজ্ঞ” কমিটি বা “উপদেষ্টা” কমিটি গঠন করলেই একটি অবৈধ কাজ বা আইনগত কর্তৃত্ববিহীন কাজ কোনোক্রমেই বৈধ হয়ে যায় না।

নোটিশে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের দ-বিধি, ১৮৬০-এর ২৯৫(ক) ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মানুসারীদের কোনো শ্রেণির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ও হিংসাকৃতভাবে লিখিত বা উচ্চারিত কথা দ্বারা সে শ্রেণির ধর্মকে বা ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমানিত করে বা অপমানিত করার চেষ্টা করে, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নোটিশগ্রহীতারা কোনো আইনগত এখতিয়ার ও ধর্মীয় যোগ্যতা ছাড়াই পবিত্র দ্বীন ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ ও পবিত্র ইবাদত যাকাতকে শরীয়াতবিরোধী পন্থায় সংগ্রহ ও বিতরণ করছেন। আপনাদের ওয়েবসাইটে বর্ণিত যাকাত সংক্রান্ত বিকৃত আয়োজনের মাধ্যমে আপনারা (নোটিশগ্রহীতাগণ) এই নোটিশদাতার দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন।

নোটিশদাতা নোটিশে ৩ দিনের মধ্যে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে- সুস্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে শরীয়াতবিরোধী পন্থায় যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ বন্ধ, দীর্ঘদিন ধরে পবিত্র দ্বীন ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ ও পবিত্র ইবাদত যাকাত সম্বন্ধে অন্যায়, অন্যায্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা এবং পবিত্র দ্বীন ইসলামের অবমাননামূলক কর্মকা- ভবিষ্যতে আর করবে না এমন প্রতিশ্রুতি প্রদানের জন্য আহবান জানিয়েছে। অনথ্যায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে।

লিংক- https://bisshobarta24.com/2020/05/%e0%a6%b6%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a7%9f%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%a4-%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a4-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%97/

স্ত্রীকে ফেরৎ আনার জন্য লিগ্যাল ...
মসজিদে জামায়াতে ‘কাতারে ফাঁক করে দাঁড়ানোর’ শরীয়তবিরোধী শর্ত আরোপ করায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক

মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায়ে কাতারের মাঝে ফাঁক ফাঁক করে দাঁড়ানোর শরীয়তবিরোধী শর্ত আরোপ করায় ধর্মপ্রতিমন্ত্রীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন মুহম্মদ তাজ জামে মসজিদের খতীব আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আজিজুল্লাহ। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান তার পক্ষ থেকে নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে গত ৬ মে ২০২০ তারিখে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কিছু শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের মসজিদসমূহে জামায়াতে নামাজ পড়ার অনুমতির বিজ্ঞপ্তির ৪ ও ৫ নং শর্তসমূহে উল্লেখিত: কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তিন ফুট পরপর দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর [অর্থাৎ এক কাতার বাদ দিয়ে] কাতার করতে হবে; এই নির্দেশনা লংঘিত হলে মসজিদ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উল্লেখিত নির্দেশনাকে শরীয়ত পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করে নোটিশদাতা জানিয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কিছু পবিত্র নির্দেশনা মুবারক দিয়েছেন, যা হলো-- তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নাও আর পরস্পর মিলে দাঁড়াও। [পবিত্র বুখারী শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৭১৯] -তোমরা কাতার সোজা কর, কাঁধের সাথে কাঁধ বরাবর কর, ফাঁক বন্ধ কর, শয়তানের জন্য কোন ফাঁক রাখবে না। যে ব্যক্তি কাতারের সংযোগ স্থাপন করে, মহান আল্লাহ পাক তিনিও তার সাথে সংযোগ স্থাপন করেন, আর যে কাতার ছিন্ন করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সাথে সংযোগ ছিন্ন করেন। [পবিত্র আবু দাউদ শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৬৬৬] - তোমারা [নামাজের কাতারে] সোজা হয়ে দাঁড়াও, বিচ্ছিন্ন হয়ো না, তাহলে তোমাদের অন্তরে অনৈক্য সৃষ্টি হবে। [পবিত্র নাসাঈ শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৮১২]- হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা যেভাবে তাদের প্রতিপালকের সামনে লাইন বেঁধে দাঁড়ায়, তোমরা কি সেভাবে লাইন বাঁধবে না?
হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বললেন, হে আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিভাবে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা তাদের রবের সামনে কাতারবন্দী হন? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “তারা প্রথম লাইন (আগে) পূর্ণ করে এবং পরস্পরের সাথে মিলে দাঁড়ায়।” [পবিত্র মুসলিম শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৮৫৪] - নিশ্চয়ই মহমান আল্লাহ পাক ও উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, যারা কাতারসমূহকে সংযুক্ত করে। আর যে ব্যক্তি ফাঁক বন্ধ করল, এর বিনিময়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। [পবিত্র সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৯৯৫] - বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি বলেছেন, [নামাজের কাতারে] আমাদের প্রত্যেকেই তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তির কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলাতাম। [পবিত্র বুখারী শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৭২৫]

সম্মানিত হানাফী মাযহাবের ফিকহের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘বাদাইউস সানাই’-তে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: “আর যখন কাতারে দাঁড়াবে তখন পরস্পর মিলে দাঁড়াবে এবং কাঁধের সাথে কাঁধ বরাবর করবে; কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন: তোমরা পরস্পর মিলে দাঁড়াও এবং কাঁধের সাধে কাঁধ মিলাও।”
দুই কাতারের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমানোর ব্যাপারে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, তোমরা [নামাজের] কাতারসমূহে মিলে মিশে দাঁড়াবে। 

এক কাতারকে অপর কাতারের নিকট রাখবে। পরস্পর কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে। ওই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! আমি চাক্ষুস দেখতে পাচ্ছি, কাতারের খালি [ফাঁকা] জায়গাতে শয়তান যেন একটি বকরীর বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করছে।" [পবিত্র আবু দাউদ শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ নং- ৬৬৭]

নোটিশে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের এতদ্বয় দলীল প্রদান করে নোটিশদাতা জানান, জামায়াতের কাতারের ক্ষেত্রে তিন ফুট দূরত্ব কিংবা এক কাতার বাদ রেখে আরেক কাতারে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ পবিত্র হাদীস শরীফ কিংবা শারীয়াতের নির্দেশনায় নেই। পবিত্র ইসলামী শারীয়াতে অসুস্থ ব্যক্তিকে মসজিদে না আসার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু কারো অসুস্থতার অজুহাতে জামায়াতের কাতারে ফাঁক রাখা কিংবা এক কাতার বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ পবিত্র ও সম্মানিত শরীয়াতে নেই। সুতরাং ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ৬ মে ২০২০ তারিখে জারিকৃত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে প্রদত্ত ৪ ও ৫ নং শর্তসমূহ পবিত্র দ্বীন ইসলামের পরিপন্থী। সাংবিধানিকভাবে যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, সুতরাং ইসলামী আক্বীদাসমূহ রাষ্ট্র দ্বারা সুরক্ষিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মুসলিমদের নিজ দ্বীন পালনের অধিকারও রয়েছে। জামায়াতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কাতারে ফাঁক না রেখে দাঁড়ানোর দ্বীনি অধিকার আমার মক্কেলসহ বাংলাদেশের সকল মুসলিমের রয়েছে। অথচ আপনি বাংলাদেশের মুসলিমদেরকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার পালনে বাধা সৃষ্টি করেছেন। সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ গ্রহণকারী একজন দায়িত্বশীল পদাধিকারী হিসেবে আপনার কাছে এটা মোটেও প্রত্যাশিত নয়। 

নোটিশে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ধর্র্ম মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত উল্লেখিত জরুরি বিজ্ঞপ্তির ৪ ও ৫ নং শর্তসমূহ প্রত্যাহার করে নেয়ার আহবান জানানো হয়। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়।

লিংক-http://www.al-ihsan.net/view-post/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A6%AC%E0%A6%B0/5/%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A7%9F%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%AA-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B6/115261?fbclid=IwAR2GQXDohJteQS_uV_MIKeZf2rPKpAt4d4OoX-2o82zPTwJPFAUbt3vS4Ic

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget